সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি মুম্বই ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সলমান খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সেই হুমকিতে সলমান খানকে হরিণ শিকার মামলায় ক্ষমা চাওয়া এবং ৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করা হয়।

বলিউড অভিনেতা সলমান খানকে ফের হুমকি লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর। গতকাল রাতে মুম্বাই ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে বার্তা দিয়ে হুমকি দেওয়া হয় সলমানকে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। হুমকিদাতা ব্যক্তিকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন সলমান খান। সম্প্রতি মুম্বই ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সলমান খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সেই হুমকিতে সলমান খানকে হরিণ শিকার মামলায় ক্ষমা চাওয়া এবং ৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করা হয়।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সলমান খানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহরুখ খানকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ফয়জান নামে এক ব্যক্তি। এই বিষয়ে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছত্তিশগড়ের রায়পুরের বাসিন্দা এবং শাহরুখ খানকে হুমকিমূলক ফোন করেছিলেন বলে অভিযোগ।

বলিউড সুপারস্টার সলমান খানের নিরাপত্তা হয়তো বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু বারবার হুমকি আসা বন্ধ হচ্ছে না। সলমান খানের জীবন ফের হুমকির মুখে। সম্প্রতি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে হুমকি বার্তা পায় মুম্বাই ট্রাফিক কন্ট্রোল সেল। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে পাঠানো বার্তায় দাবি করা হয়েছে, এই হুমকি বার্তা পাঠিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই। এতে বলা হয়, সলমান খান যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে তিনি আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চান অথবা ৫ কোটি টাকা দেন। এটা না করলে সলমান খানকে মেরে ফেলবে তারা। এই বার্তায় লেখা আছে আমাদের গ্যাং এখনো সক্রিয়।

সোমবার মধ্যরাতে সলমান খানের নামে এই হুমকি বার্তার তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, গতকাল (সোমবার) মধ্যরাতে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে আধিকারিকের কাছে পৌঁছয় বার্তা। বার্তা পড়ে তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। আপাতত ওই হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। ৫ দিন আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। ৩০ অক্টোবরও, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের নিয়ন্ত্রণে একটি হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিল। এছাড়া ২ কোটি টাকা দাবি করা হয়। এ সময় বলা হয়, টাকা না পেলে তিনি সলমান খানকে মেরে ফেলবেন।

বর্তমানে সলমান খানের হুমকির বিষয়ে ওয়ারলি থানায় মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া যে নম্বর থেকে হুমকি বার্তা এসেছিল তাও খুঁজে বের করা হচ্ছে।