সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই নিয়ে মুখ খুলেছেন সঞ্জয় দত্ত। মারণ রোগ বাসা বাঁধার পর তার শরীর ও মনে কী প্রভাব পড়েছিল, তা নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জয় দত্ত।
মারণ ভাইরাস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেনন বলি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। স্টেজ ফোর-এ ধরা পড়েছিল ফুসফুসের ক্যান্সার। সকলেই তার শরীর খারাপের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। ভক্তদের প্রার্থনায় সুস্থ হয়ে কেজিএফ চ্যাপ্টার ২-তে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত। সম্প্রতি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই নিয়ে মুখ খুলেছেন সঞ্জয় দত্ত। মারণ রোগ বাসা বাঁধার পর তার শরীর ও মনে কী প্রভাব পড়েছিল, তা নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জয় দত্ত।
সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, প্রথমদিকে তার শুধুমাত্রই পিঠে ব্যথা হচ্ছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছিল ততই যেন নিঃশ্বাসের কষ্ট শুরু হয়। তারপরেই আর দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান। ব্যথার ওষুধ খেয়েই সবকিছু চলছিল। তারপর আচমকাই একদিন নিঃশ্বাসে কষ্ট শুরু হয় তখনই তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রথমেই ক্যান্সারের কথা আমাকে কেউ জানায়নি। তারপর ওরা আমায় জানায় আমার ক্যান্সার হয়েছে। সেইসময় স্ত্রী, পরিবার, বোন কেউই ছিল না। অভিনেতা আরও জানান, ক্যান্সার ধরা পড়ার পর বোন প্রিয়া তার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিল। মান্যতা সেই সময় দুবাইতে ছিল। ক্যান্সার নাম শোনা মাত্রই গোটা জীবনের ফ্ল্যাশব্যাকটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
সঞ্জয় দত্ত জানান, আমার গোটা পরিবারের অনেককেই কেড়ে নিয়েছে ক্যান্সার। মা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন। স্ত্রী রিচা শর্মা ব্রেন ক্যান্সারে মারা গিয়েছে। তাই ক্যান্সারের কথা শুনে প্রথমেই বলেছিলাম আমি কেমোথেরাপি নেব না। যদি মরে যেতে হয় এমনিই মরে যাবে,কোনও চিকিৎসা নিয়ে কেন মরব। তারপর পরিবারের সকলকে ভেঙে পড়তে দেখে তিনি ঠিক করেন ক্যান্সারের চিকিৎসা করাবেন। কারণ অভিনেতার মনে হয়েছিল তিনি যদি ভেঙে পড়েন তাহলে পরিবার ও কাছের মানুষরাও ভেঙে পড়বে। উল্লেখ্য,ক্যান্সার নিয়েই কেজিএফ-এর শুটিং করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধলেও দমে যায়নি সঞ্জয়ের ডেডিকেশন। সমস্ত কিছু বাধা পেরিয়ে ছবিতে শুটিং করে গেছেন সঞ্জয়। নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে ছবির শুটিং করেছিলেন কঠিন দৃশ্যের, যা ছিল বাড়তি পাওনা।মার্কিন মুলুকে উড়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করেছিল অভিনেতা ও তার পরিবার। কিন্তু সমস্যা দানা বাঁধছে ভিসা নিয়ে। মুম্বই বিস্ফোরণের অভিশাপ আজও পিছু ছাড়েনি সঞ্জয়ের। সালটা ১৯৯৩। মুম্বই বিস্ফোরণের জেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখার জন্য গ্রেফতার হতে হয়েছিল সঞ্জয়কে। যদিও গ্রেফতারির পরে জামিনে মুক্তিও পেয়েছিলেন সঞ্জয়। দীর্ঘ এতবছর কেটে গেলেও এই অভিশাপ এখনও তাড়িয়ে বেরাচ্ছে সঞ্জয়কে। ভারতীয় আইনে তিনি রেহাই পেলেও মার্কিন আইনের গেরোয় ভিসা পাচ্ছিলেন না। লাং ক্যান্সারে চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় স্লোয়ান কেটেরিং ক্যান্সারে যাওয়ার কথা ছিল সঞ্জয় দত্তের। কারণ তার মা নার্গিসেরও সেইখানেই চিকিৎসা হয়েছিল। সঞ্জয় দত্তের মা নার্গিস প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। অবশেষে সমস্ত বাধা পেরিয়ে মারণ রোগকে হারিয়ে যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
আরও পড়ুন-
সঞ্জয় দত্ত: রণবীর ছাড়া এই ইন্ডাস্ট্রির কেউ সঞ্জুতে আমার চরিত্র করতে পারতো না
শামসেরা রিভিউ: রণবীর কাপুর এবং সঞ্জয় দত্তের ছবি স্বাধীনতার অধিকারের স্বার্থে প্রতিশোধের গল্প বলে
মুন্না ভাই ৩ তৈরির ইঙ্গিত দিলেন সঞ্জয় দত্ত, দর্শকদের হাসাতে আসবেন মুন্না-সার্কিট জুটি