- Home
- Entertainment
- Bollywood
- COVID 19: করোনায় আক্রান্ত শিল্পা শিরোদকর, ফের কি ভারতে বাড়ছে ভাইরাসের প্রকোপ?
COVID 19: করোনায় আক্রান্ত শিল্পা শিরোদকর, ফের কি ভারতে বাড়ছে ভাইরাসের প্রকোপ?
২০২৫ সালে ভারতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ: বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শিরোদকর কোভিড পজিটিভ। তিনি ইনস্টাগ্রামে এই তথ্য জানিয়ে সবাইকে সুরক্ষিত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও ভারতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, এশিয়ার কিছু দেশে সংক্রমণ বাড়ছে।

শিল্পা শিরোদকর কোভিড আক্রান্ত, ভারতে কি আবার বাড়ছে?
বলিউড অভিনেত্রী এবং 'বিগ বস ১৮' এর প্রতিযোগী শিল্পা শিরোদকর কোভিড-১৯ পজিটিভ। ১৯ মে ২০২৫ তারিখে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'নমস্কার বন্ধুরা! আমার কোভিড টেস্ট পজিটিভ এসেছে।
সুরক্ষিত থাকুন
সুরক্ষিত থাকুন এবং মাস্ক পরুন!' তার এই পোস্টে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সবাই তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।
ভারতে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি
দেখা যাক, ভারতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, তবুও কিছু রাজ্যে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ১৯ মে ২০২৫ পর্যন্ত, দেশে মোট ২৫৭ টি সক্রিয় সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে কেরালায় ৯৫, তামিলনাড়ুতে ৬৬ এবং মহারাষ্ট্রে ৫৬ টি সংক্রমণ রয়েছে।
অসুস্থ রোগীর সংখ্যা
মুম্বাইয়ের কে.ই.এম. হাসপাতালে দুইজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যারা আগে থেকেই গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং পরে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে।
এশিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি
সিঙ্গাপুর, হংকং এবং চীন এর মতো এশীয় দেশগুলিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৃদ্ধি JN.1 নামক ওমিক্রনের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্টের কারণে হতে পারে, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
দেশগুলিতে সংক্রমণ
যদিও এই ভ্যারিয়েন্টে কোনও গুরুতর পরিবর্তন দেখা যায়নি। এই দেশগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও, ভারতে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
জীবনে কোভিড-১৯ এর প্রভাব
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেস (IIPS) এর একটি গবেষণা অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ভারতের আয়ুষ্কাল ১.৬ বছর কমেছে, যা ২০19 সালে ৭০.৪ বছর থেকে কমে ২০২১ সালে ৬৮.৮ বছর হয়েছে। এই হ্রাস বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা গেছে, যাদের মধ্যে ২.২ বছর কমেছে, নারীদের ক্ষেত্রে ০.৫ বছর।
কোভিড-১৯ এর জন্য সতর্কতা জরুরি
ভারতে কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে, তবে এশীয় দেশগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। জনগণের মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এর মতো সাধারণ সুরক্ষা মেনে চলা উচিত। লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করানো এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

