সংক্ষিপ্ত

বচ্চন বধূ ঐশ্বর্যর সঙ্গে জয়া বচ্চনের সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়। অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করা নিয়ে বচ্চন পরিবারে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল এবং তারপর থেকেই নাকি গৃহবিবাদ চরমে ওঠে।

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। অভিনয় থেকে রিলেশন সবসময়েই লাইমলাইটের শীর্ষে বচ্চন বধূ। কোনও না কোনও কারণে বারংবার শিরোনামে থাকে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নাম। তাকে নিয়ে আজও সরগরম পেজ-থ্রির পাতা। ঐশ্বর্যর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক যে বেশ ভাল তা সকলেরই। ঐশ্বর্য যেমন পুত্রবধু হিসেবে ভাল তেমনি মা হিসেবেও। শ্বশুর অমিতাভ ও শাশুড়ি জয়াকে শ্রদ্ধাও করেন এবং খুবই ভালবাসেন ঐশ্বর্য। বিশেষত, বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে পুত্রবধূ ঐশ্বর্যর সম্পর্ক যে গদগদ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে জানেন কি,পুত্রবধূ ঐশ্বর্যর পিছনে নাকি নিন্দা করেন জয়া বচ্চন।

প্রায় ১৫ বছর পার করে ফেলেছেন ঐশ্বর্য ও অভিষেক। কখনও ঐশ্বর্য ও অভিষেকের সম্পর্ক নিয়ে রেষারেষি, তো কখনও আবার জয়া বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বর্যর মনোমালিন্য। তবে কেরিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনে একটি ভারসাম্য রেখে চলেছেন অভিনেত্রী। মেয়ের জন্মের পর থেকে কাজ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন বলি নায়িকা। আজকাল কোনও বলিউডের পার্টিতে খুব বেশি দেখা যায় না। তবুও তাকে নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই। তবে শাশুড়ি ও বউমার সম্পর্ক কেমন, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

সূত্র বলছে, বচ্চন বধূ ঐশ্বর্যর সঙ্গে জয়া বচ্চনের সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়। অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল ছবিতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করা নিয়ে বচ্চন পরিবারে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল এবং তারপর থেকেই নাকি গৃহবিবাদ চরমে ওঠে। বিভিন্ন সময় নাম না করেই তিনি ঐশ্বর্যকে বিঁধেছেন। তাদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এক সাক্ষাৎকারে জয়া বচ্চন বলেন, আমার ঐশ্বর্যর কিছু পছন্দ না হলে সেটা সামনেই বলি, তবে পিছনে নিন্দে করলে সেটা আমার অসম্মান বলেই মনে হয়। পাশাপশি জয়া বলেন, ঐশ্বর্যর সঙ্গে আমার খুব ভাল সময় কাটে। ক্যামেরার সামনেও বচ্চন পরিবার সবসময় নিজেদের সুখী দেখায়। জয়া আরও বলেছিলেন, অমিতাভ বচ্চন প্রথম ঐশ্বর্যকে দেখে অনুভব করেছিলেন যে তাদের মেয়ে শ্বেতা আবার ঘরে ফিরে আসছে। শ্বেতার যা ফাঁকা রেখে গেছে তা আবারও পূরণ করেছিল রাই সুন্দরী। বলতে গেলে ঐশ্বর্য খুব সহজেই মেয়ে শ্বেতার অভাব পূরণ করেছিল। শ্বেতার বিয়ে হয়েও যাওয়ার পর বাড়িটা পুরো ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল, সেই জায়গাটা খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করেছিল পুত্রবধূ ঐশ্বর্য। জয়া আরও জানিয়েছিলেন, কীভাবে তাদের মেয়ে শ্বেতার জায়গা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পূরণ করেছিল ঐশ্বর্য। ওকে পেয়ে অমিতাভও খুব খুশি ছিল। জয়া বচ্চন সেই সাক্ষাৎকারে বৌমা-শ্বশুরের সম্পর্ক নিয়ে আর কথা বলেছিলেন। জয়া জানিয়েছিলেন, ঐশ্বর্যকে প্রথম বার কাছ থেকে দেখে অমিতাভ কেঁদে ফেলেছিলেন ঐশ্বর্য, তিনি ভেবেছিলেন যেন শ্বেতা বাড়ি এসেছে।