- Home
- Entertainment
- Bollywood
- বাইপাসের বদলে কেন স্টেন্ট বসানো হল সুস্মিতার শরীরে, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের পর কেমন আছেন নায়িকা
বাইপাসের বদলে কেন স্টেন্ট বসানো হল সুস্মিতার শরীরে, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের পর কেমন আছেন নায়িকা
- FB
- TW
- Linkdin
বয়স ২০ হোক আর ৪০, বয়সকে তুড়ি মেরে যে কোনও রোগ জাকিয়ে বসছে শরীরে। কোনও কিছু না বোঝার আগেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছে বহু মানুষ। শুধুমাত্র বয়স্কদেরই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এই ধারণা এখন অতীত।
যত দিন যাচ্ছে, অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। কঠোর নিয়মের মধ্যে থেকেও রেহাই পেলেন না ৪৭-এর সুস্মিতা সেন। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে,হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। হার্ট অ্যাটাক যে কোনও বয়সের মানুষকেই নিমেষে কাবু করে দিচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, নিঃশব্দে শরীরের ভিতরে যে ক্ষয় হচ্ছ, আর্টারি ব্লক হচ্ছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হার্টকে কাবু করার আগে যে একেবারেই তা জানান দেয় না, তেমনটাও নয়, তবে বেশিরভাগ সময় সেই লক্ষণ আমরা বুঝতেই পারি না।
আবার কখনও বুঝতে পারলেও সামান্য ট্রিটমেন্ট করে থেমে যাই আমরা। তবে এটাও ঠিক সাময়িকভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলে ভিতরে ভিতরে বাড়তে থাকে বিপদের ঝুঁকি। তবে বাইপাস না করে কেন হার্টে স্টেন্ট বসানো হল সুস্মিতার, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
হার্টের অসুখ ধরা পড়লে কিংবা হার্ট অ্যাটাকের পর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হবে, নাকি বাইপাস সার্জারি করা হবে, তা পুরোটাই নির্ভর করে কতগুলি আর্টারির কত শতাংশ ব্লক হয়েছে এবং যিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন তার শারীরিক অবস্থা ও রোগীর বয়সের উপর।
ইদানীং হার্টের অসুখে আক্রান্ত হলে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানোর দিকেই ঝুঁকছেন। এছাড়াও বাইপাস করতেও যে পরিমাণ খরচ লাগে, তা স্টেন্ট বসানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই কম লাগে।
বাইপাসের পর বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে, যেমন-কাটা জায়গায় ব্যথা হওয়া, চুলকানির মতো বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে বাইপাসের চেয়ে স্টেন্ট বসালে ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে। একবার স্টেন্ট বসানোর পর যদি কোনও সমস্যা হয় তারপর আবারও অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো যায়। কিন্তু বাইপাস সার্জারির পর শরীরে যদি নতুন করে সমস্য়া হয় সেক্ষেত্রে শারীরিক জটিলতা বাড়ে।
কিন্তু এক্ষেত্রে এটাও জেনে রাখা ভাল আর্টারির বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্লক থাকলে এবং ব্লকগুলি লম্বা লম্বা হলে তখন কিন্তু বাইপাস করতেই হয়। একবার স্টেন্ট বসানো মানেই যে চিরতরে বিপদমুক্ত তেমনটা নয়, প্রয়োজনে স্টেন্ট আবারও বসাতে হতে পারে।
স্টেন্ট বসানোর পর দু-তিন দিনের মধ্যে রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং স্বাভাবিক জীবনে রোগীর ফিরতে খুব বেশি সময় লাগে না।
স্টেন্ট বসানোর পর পুরোপুরি চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো চলতে হবে এবং বিশ্রাম নেওয়া ভীষণ জরুরি। নিয়মিত মেডিক্যাল চেক আপ এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকা যায়।