সংক্ষিপ্ত

বীরভূমের রামপুরহাটের বাগটুই গ্রামে ভাদু শেখ-সহ আট জনকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের গৃহবন্দি করে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগেরও দাবি উঠেছে।

বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের (Rampurhut) ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মন্তব্য করলেন অভিনেতা রণবীর সোরে (Ranvir Shorey )। বাংলার প্রাক্তন জামাইও বলা যেতে পারে। তিনি কঙ্গনা সেনশর্মার (Konkona Sen Sharma)প্রাক্তন স্বামী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, আপনি যদি দেখতে চান অসৎ মানুষের একটি দল একটি রাজ্য চালাচ্ছে আর তাদের জনগণের কী দশা হতে পারে তার উৎকৃষ্টতম নজির হল পশ্চিমবঙ্গ। তিনি বলেছেন আজ পশ্চিমবঙ্গকে দেখুন। তারপরই তিনি বলেছেন, ছবি পোস্ট করা তিনি সহ্য করতে পারছেন না। সঙ্গে রামপুরহাট সহিংসতা বলেও ট্যাগ করেছেন অভিনেতা। 

গতকালই বীরভূমের রামপুরহাটের বাগটুই গ্রামে ভাদু শেখ-সহ আট জনকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের গৃহবন্দি করে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগেরও দাবি উঠেছে।বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি রীতিমত অক্সিজেন সংগ্রহ করতে আসরে নেমেছে। 

এবার সেই একই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলিউড অভিনেতা রণবীর শোরেও প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন- এমনটাও হতে পারে। কারণ বলিউডে একটা সময় প্যারালাল সিনেমায় যথেষ্ট দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু তারপরই হারিয়ে যান রণবীর শোরে। তাঁর অভিনয় সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও হাতে গোনা কাজই রয়েছে তাঁর। কিন্তু তার অনেক পরে কাজ শুরু করে অনেকেই ইঁদুর দৌড়ে পিছনে ফেলে দিয়েছে তাঁকে। 

বলি-স্টারের টুইটার ঘাঁটলে স্পষ্ট হয়ে যায় রণবীর শোরে নরেন্দ্র মোদীর একজন অনুগামী। রাজনীতির থেকে তিনি ক্রোডেলেই বেশি স্বাচ্ছান্দ্য। কিন্তু  হঠাৎ করে রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে তাঁর রাজনৈতিক টুইট কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করেই । তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট রাজনৈতিক। অনেকেই তাঁর বার্তা পছন্দ করেছেন ও শেয়ার করেছেন। বেশ কিছু নেটবাসী রণবীর শোরের বার্তার উত্তরও দিয়েছেন। যেখানে তাঁরা রাজ্যে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তাঁরা। 

রণবীরের প্রাক্তন স্ত্রী কঙ্গনা সেন শর্মাকে এখনও পর্যন্ত তেমনভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি। কিন্তু তিনি তাঁর মা অপর্ণা সেন রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট সচেতন। একটা সময় বামঘনিষ্ট হিসেবে তাঁর পরিচিত ছিল। কিন্তু নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর তৎকালীন শাসকদল বামফ্রন্ট তথা সিপিএম-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামনের সারিতেই ছিলেন তিনি। বুদ্ধিজীবীদের মিছিলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবেই তাঁর পরিচিতি। একাধিক ইস্যুতেই তাঁকে সওয়াল করতেও দেখা যায়। তবে রামপুরহাট ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।  

জানেন কি, ফুলশয্যার খাট কেন রজনীগন্ধা আর গোলাপ দিয়ে সাজান হয়

আসুস নিয়ে এল টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ, দাম থেকে ফিচার- সবই রয়েছে এখানে

বিপ্লবী ভারত গ্যালারি- চোখের সামনে তুলে ধরবে স্বাধীনতার ইতিহাস, উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে