সংক্ষিপ্ত

বিশ্ববরেণ্য পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত এই সিনেমায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের স্তোত্র পাঠ করতে দেখা গেছে প্রধান চরিত্রাভিনেতাকে। কিন্তু, তা ঘটেছে তাঁর যৌন সঙ্গমের সময়। এই বিষয়টি নিয়েই হিন্দু দর্শকদের মনে ক্ষোভ জন্মেছে। 

২১ জুলাই ২০২৩ তারিখে মুক্তি পেয়েছে বিশ্ববরেণ্য পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত সিনেমা ‘ওপেনহাইমার’। সিনেমাটি নিয়ে নোলান-ভক্তরা ছাড়াও বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষদেরও উৎসাহ কম নেই। ভারতীয় অভিনেতা রণবীর কাপুর পর্যন্ত সিনেমা হলে গিয়ে ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখে এসেছেন। সিনেমাটি গড়ে উঠেছে বিশ শতকের আমেরিকান বিজ্ঞানী জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহাইমার-এর আবিষ্কার এবং জীবনযাপনকে কেন্দ্র করে। এই জীবনযাপনের যৌন অংশটি সিনেমার পর্দায় ফুটে উঠতেই এক বিরাট বিতর্কের সৃষ্টি হল সারা ভারত জুড়ে।

ওপেনহাইমার সিনেমায় ভগবদ গীতা-য় উল্লিখিত ভগবান শ্রী কৃষ্ণের স্তোত্র পাঠ করতে দেখা গেছে প্রধান চরিত্রাভিনেতা সিলিয়ান মারফিকে। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছে এটি অবশ্যই একটি পবিত্র কাজ। কিন্তু, এই পবিত্র কাজটিই অভিনেতাকে করতে দেখা গেছে সহ অভিনেত্রী জিন ট্যাটলকের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার সময়। যৌন সঙ্গম-কে ‘অপবিত্র’ বলে সরাসরি উল্লেখ না করলেও এটি যে একেবারেই গীতা পাঠ করার সময় নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী দর্শকরা। তাঁদের কাছ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্টতই রাগের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

‘ওপেনহাইমার’ হল ক্রিস্টোফার নোলানের প্রথম চলচ্চিত্র যেখানে একটি যৌন দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তাঁর কোনও ছবিতেই ‘সেক্স সিন’ ছিল না। তাই এই সিনেমাটি নিয়ে প্রথম থেকেই দর্শক এবং সমালোচক, উভয় মহলেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু, সিনেমা প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা গেল, যৌন দৃশ্যের সময়েই রাখা হয়েছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ভগবদ গীতা পাঠ। এই বিষয়টিকেই অসম্মানজনক এবং আপত্তিকর বলে মন্তব্য করে ছবিটি ‘ব্যান’ করার ডাক দিয়েছেন বহু হিন্দু ধর্মীয় দর্শক। অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে দৃশ্যটি ঐতিহাসিকভাবে সঠিক বা প্রয়োজনীয় ছিল না।

অনেক দর্শক বলেছেন, যেহেতু, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ‘অ্যাটমিক বোমা’ ফর্মুলাকে কেন্দ্র করেই এই দৃশ্যে বিজ্ঞানী জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহাইমার-এর চেতনা জেগে ওঠার বিষয়টি দেখানো হয়েছে এবং বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণকে ‘অ্যাটমিক শক্তির জনক’ বলে মনে করতেন, সেইজন্য এই ধারণাটি সিনেমায় তাঁর অত্যন্ত নিবিড় মুহূর্তেও প্রকট করা প্রয়োজন ছিল। গীতায় শ্রী কৃষ্ণ পাণ্ডবপুত্র অর্জুনকে বলেছিলেন, ‘এখন আমিই মৃত্যু হয়ে উঠেছি। যে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেবে’, এই শ্লোক-টিকেই বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার পদার্থবিদ্যা তথা পারমাণবিক বোমার ভয়ঙ্কর শক্তি রূপান্তরের গোড়াপত্তন হিসেবে ধরেছিলেন। তিনি সংস্কৃত ভাষা, হিন্দু ধর্ম, বিশেষ করে শ্রীমদ্ভাগবত গীতার প্রতি অত্যন্ত বেশি আকৃষ্ট ছিলেন। বাস্তব জীবনেও ওপেনহাইমার নিজের আবিষ্কারের পরে বলেছিলেন যে, গীতার এই শ্লোকটিই তার মনে এসেছিল, যখন তিনি প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ দেখেছিলেন। তবে, ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমায় যৌন দৃশ্যের ঐতিহাসিক নির্ভুলতা নিয়ে ভারত জুড়ে চাপানউতোর অব্যাহত।

আরও পড়ুন-

Viral Video: “চা নিরামিষ-ই হয় স্যার”, ‘হালাল সার্টিফায়েড’ চা নিয়ে হিন্দু যাত্রীর সঙ্গে রেলকর্মীর দ্বন্দ্ব
এগারো হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ, নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ব্যাপক মজবুত করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

Kuber Mantra: সম্পদের দেবতা কুবের-কে তুষ্ট করতে প্রত্যেকদিন জপ করুন এই ১০৮টি মন্ত্র

Sex Tips: হাতে সময় না থাকলে চটজলদি উদ্দাম যৌনরসের মজা উপভোগ করবেন কীভাবে?