সংক্ষিপ্ত
পারভীন ববি বলিউডের প্রয়াত ডিভা। ২০০৫ সালে তীব্র সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর একাধিক অঙ্গ নষ্ট হয় যায়। নিজের ফ্ল্যাটেই তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। মৃত্যুর ১৭ বছর পরেও পারভীন ববির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করা যাচ্ছে না।
পারভীন ববি বলিউডের প্রয়াত ডিভা। ২০০৫ সালে তীব্র সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর একাধিক অঙ্গ নষ্ট হয় যায়। নিজের ফ্ল্যাটেই তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। মৃত্যুর ১৭ বছর পরেও পারভীন ববির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করা যাচ্ছে না। এমনকি ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু জুহুর মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সমুদ্রমুখী পারভীন ববির ফ্ল্যাট।
একটি সূত্র বলছে দালালরা দীর্ঘ দিন ধরেই বিক্রি বা ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে পারভীন ববির ফ্ল্যাটটি। ক্রেতা আসছে। দেখছে - কিন্তু ফ্ল্যাট কেনা বা ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। জানেন কি কী কারণে দিনের পর দিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলিতারকার ফ্ল্যাটটি।
স্বপ্নের শহর মুম্বই- যেখানে বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দাম আকাশ ছোঁয়া। একটি ছোট্ট বাড়ি হবে মুম্বইয়ে - এমন স্বপ্ন থাকে অনেকেরই দুই চোখে। কিন্তু তারপরেও পারভীন ববির সুন্দর ফ্ল্যটটি ক্রেতার অভাবে পড়ে রয়েছে। দালালরা বিক্রির জন্য মাত্র ১৫ কোটি টাকা দর হেঁকেছেন। আর ভাড়া চাইলে মাসে গুণতে হবে চার লক্ষ টাকা। তারপরেও না পাওয়া যাচ্ছে ক্রেতা না পাওয়া যাচ্ছে ভাড়াটিকা। রীতিমত হতাশ দালালরা।
পারভীন ববির অ্যাপাটমেন্টটি মুম্বইয়ের জুহু এলাকার রিভেরা বিল্ডিংয়ের ৭ চলায়। এই ফ্ল্যাটেই মৃতের প্রায় ৪ দিন পরে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রীর পচাগলা দেহ। এক ব্যক্তি যিনি এই ফ্ল্যাটবাড়ি সংক্রান্ত ব্যবসা করেন তিনি জানাচ্ছেন, “ফ্ল্যাটটি শুধুমাত্র বিক্রির জন্য নয়, ভাড়াও দেওয়া হবে৷ এটি সরাসরি ক্রয়ের জন্য ১৫ কোটি টাকা বা মাসিক ভাড়া ৪ লক্ষ টাকা বলা হচ্ছে।”
কিন্তু তারপরেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ নিয়ে বিশ্লেষণ করতে একটি সূত্র জানিয়েছেন, যারা ফ্ল্যাটটি দেখতে আসছে তারা প্রথমে জানেতই না এটি অভিনেত্রী পারভীন ববির। যখন তারা জানতে পারছে তখনই তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই পারভীন ববির ফ্ল্যাট শুনেই শ্রেফ না করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন আধুনিক যুগেও মানুষেক মধ্যে এক ধরনের কুসংস্থার কাজ করে। অনেকেই চার দিন অভিনেত্রী মৃত অবস্থায় থাকার জন্য ফ্ল্যাট কেনা নাকচ করে দেন। এই একই কারণএ ফ্ল্যাটটি ভাড়াও দেওয়া যাচ্ছে না, বলে তিনি দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন পারভীন ববি অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক।
তবে এপ্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল ২০১৪ সালে পারভীন ববির ফ্ল্যাটে এক ব্যক্তি কিছুদিনের জন্য ভাড়া ছিলেন। তিনি প্রথমে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করতেন। তাতে তিনি বেশ কিছু সমস্যায় পড়েন। পরবর্তীকালে পরিবার নিয়ে এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন। পরে তাকে ফ্ল্যাট থেকে উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে তারপরেও কেন পারভীন ববির ফ্ল্যাটের ক্রেতা বা ভাড়াটিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।