সংক্ষিপ্ত

প্রয়াত (Passes Away) সঙ্গীত শিল্পী (Singer) কেকে (KK)। কলকাতায় অনুষ্ঠানে এসে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। হোটেলেও ফিরে যান তিনি। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেকে-র প্রয়াণে শোক প্রকাশ পিএম মোদীর।
 

সঙ্গীত জগতে ফের নক্ষত্র পতন। কলকাতায় অনুষ্ঠানে এসে প্রয়াত হলেন তারকা সিঙ্গার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্য়ালয়ের কলেজের ফেস্টে এসেছিলেন তিনি।  অনুষ্ঠানে অসুস্থ বোধ করায় হোটেলে ফিরে যান তিনি। সেখানে গিয়ে অসুস্থতা বাড়ে। তড়িঘড়ি তাকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসাপাতালে চিকিৎসকরা প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেকে-র এমন অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সব মহল। তার ফ্যানেরাও মেনে নিতে পারছেন না প্রিয় তারকার এমন অকাল প্রয়াণ। রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বুধবার সকালে আসার কথা পরিবারের সদস্যদের। ময়না তদন্তের পর তুলে দেওয়া হবে দেহ। 

কেকে-র মৃত্যুর খবর যেমন শোকস্তব্ধ সঙ্গীত জগরষ অভিনয় জগৎ থেকে গোটা বিনোদন জগৎ। ঠিক তেমন সমাজের অন্য়ান্য ক্ষেত্রও কেকে-র প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছে। তারকা সঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়ায়  প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদী শোক বার্তায় লিখেছেন,'কে কে নামে পরিচিত বিশিষ্ট গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তার গানে আবেগের বিস্তৃত পরিসর প্রতিফলিত হয়েছে। তার গান সকল বয়সের মানুষকে একভাবে নাড়া দিত। সব বয়সের মানুষের জন্য গান গেয়েছেন তিনি। তার গানের মাধ্যমে আমরা তাকে সবসময় মনে রাখব। তার পরিবার ও ভক্তদের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।' 

 

 

প্রসঙ্গতজন্ম ২৩ অগাস্ট, ১৯৬৮। ছোটবেলা কাটে নয়াদিল্লিতে। কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমার ছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের প্রেরণা। তাঁকে দেখেই মূলত সঙ্গীত জীবনে আসেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কেকে জানান, তিনি আর.ডি বর্মন, মাইকেল জ্যাকসন এবং আরও বেশ কয়েকজন হলিউড গায়কের অনুরাগী ছিলেন। দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর মাস ছয়েকের জন্য মার্কেটিং এক্সিকিউটিভের কাজ করেন কেকে। এর কয়েক বছর পর ১৯৯৪ সালে তিনি মুম্বই পাড়ি দেন বলিউডে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে। ১৯৯৭ সালে 'হম দিল দে চুকে সনম' ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক। হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লম, মারাঠি, ভাষায় প্লেব্যাক করেছেন। ২০০৫-এ তামিল ভাষায় বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে কন্নড় ভাষায় সাউথের ফিল্ম ফেয়ার অ্য়াওয়ার্ড পান।  কেকে-র অকাল প্রয়াণ সত্যিই মেনে নেওয়া কঠিন। 

আরও পড়ুনঃ'এমনভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না', কেকেআর আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্ত সঙ্গীত জগৎ

আরও পড়ুনঃBREAKING NEWS : কলকাতায় লাইভ শো চলাকালীন হার্ট অ্যাটাক, প্রয়াত গায়ক কেকে