সংক্ষিপ্ত

কলকাতার জন্য শূন্যতা কিছুটা হলেও পূরণ করেছেন নায়িকার কাছের বন্ধু পারমিতা। প্রতি বছর ওঁর বাড়িতে বড় আকারে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা হয়। এ বছর স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং বন্ধুদের নিয়ে সেখানেই মেতেছিলেন ঋতুপর্ণা।

ধন-সম্পদের দেবী সবার মঙ্গল করুন। সবার শ্রীবৃদ্ধি হোক, সমৃদ্ধি আসুক প্রতি ঘরে—কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন দেবীর কাছে সমস্ত রাজ্যবাসীর জন্য এই প্রার্থনাই জানালেন টলিউডের ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কলকাতায় থাকলে লক্ষ্মীপুজোতেও দম ফেলার ফুরসত পেতেন না প্রথম সারির নায়িকা। তাঁর বাড়িতে বড় করে লক্ষ্মীপুজো হয়। ধুমধাম করে পুজো হয় শ্বশুরবাড়িতেও। দুই বাড়ির পুজো তাঁকেই তো সামলাতে হত।

বিশেষ কারণে তিনি সিঙ্গাপুরে। কলকাতার জন্য তাই বড্ড মনকেমন তাঁর। সেই ফাঁক কিছুটা হলেও ভরাট করেছেন নায়িকার কাছের বন্ধু পারমিতা। প্রতি বছর ওঁর বাড়িতে বড় আকারে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা হয়। এ বছর স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং বন্ধুদের নিয়ে সেখানেই মেতেছিলেন ঋতুপর্ণা। অভিনেত্রীর পাঠানো ভিডিয়ো অনুযায়ী, কোজাগরী লক্ষ্মী আরাধানার সকালে তিনি স্নিগ্ধ সমুদ্র সবুজ শাড়িতে। খোলা চুলে, হাল্কা রূপটানে ঋতু যেন শরতের শিউলির মতোই পবিত্র। সঞ্জয় এ দিন বেছে নিয়েছিলেন বেনিয়ার পাঞ্জাবি। তাতে লাল সুতোর জমাটি কাজ।

সকাল থেকে উপোসে থাকা ঋতুপর্ণা হোম, পুষ্পাঞ্জলি কিচ্ছু বাদ দেননি। বলেন, ‘‘পুজো শেষ হতেই ভোগ খেয়েছি। নাড়ু, খিচুড়ি। সবার সঙ্গে হইহই করে কিছু ক্ষণ দুঃখ ভুলেছিলাম।’’ এ দিন তিনি নিজের বাড়িতেও ছোট করে পুজো করেন। এ ছাড়া, তাঁর মা নিজেই বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করেন। ঋতুপর্ণার কথায়, ‘‘ছোট থেকে দেখে আসছি, আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর প্রচণ্ড জাঁকজমক। আমিও এই দিনটিকে নিষ্ঠাভরে পালন করি।’’ পুজো হয়েছে সঞ্জয়ের কলকাতার বাড়িতেও। সেখানে পুরোহিতমশাই এসে মন্ত্রোচ্চারণ করে দেবীকে আবাহন করেছেন।  

রবিবার সকাল সকাল ঋতুপর্ণা তাঁর একটি পুরনো ছবি ভাগ করে নেন। ছবিতে নায়িকার হাতে কাঁসার থালা। শ্বেতপাথরের মেঝেয় বসে তিনি। থালায় ধানের ছড়া, গাঁদা ফুলের মালা, পান পাতা, মিষ্টি। আর তাঁর মতোই সুন্দর ছোট্ট এক দেবী প্রতিমা। একটু দূরে রাখা তামার পুষ্পপত্র। সেখানে বেলপাতা, ফুল, চন্দন, শাঁখ, মোমবাতি সহ পুজোর বাকি উপকরণ। পাশে রাখা ধুনুচি থেকে অল্প অল্প ধোঁয়া উড়ছে। মেঝেজুড়ে আলপনা। সমস্ত উপাচার জানাচ্ছে, অভিনেত্রী তাঁর মতো করে লক্ষ্মীপুজোর জোগাড় করছেন। তাঁর আপ্ত সহায়ক, পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর মতে, ছবিটি সম্ভবত ২০১৮-র। কলকাতায়, লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে তোলা। তাঁর ক্যামেরাই লেন্সবন্দি করেছিল তাঁকে।

দেবীকে সাজানোর পাশাপাশি পর্দার ‘পারমিতা’ও সেজেগুজে ‘জ্যান্ত লক্ষ্মী’! লাল, পেটা জরি পাড় শাড়ির জমিনে সাদা-কালো চেক আর রঙিন আলপনা, কল্কার সখ্য। সদ্য স্নান করে উঠেছেন। তাই আধভেজা চুল খোলা। সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর। কপালজুড়ে সিঁদুর সিঁদুর টিপ। সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না। ঋতুপর্ণা যথারীতি অনন্যা।


আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোর দিন গৃহসজ্জায় মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস, জেনে নিন কী কী করবেন

আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোর ভোগবৃত্যান্ত, পুজোয় কি কি ভোগ নিবেদন করা হয় চঞ্চলা লক্ষ্মীকে

আরও পড়ুন- ঘরে লক্ষ্মী বাস চাইলে করুন এই কাজ, কোনও দিন হবে না অর্থের অভাব