সংক্ষিপ্ত

১১ জানুয়ারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর নিউমোনিয়ার লক্ষণ ছিল। যার ফলে আইসিইউ-তেই রাখা হয় তাঁকে। বিগত ২৮ দিন ধরে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন সম্রাজ্ঞী। ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বসন্ত পঞ্চমীর দিনই খবর আসে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে তাঁর। আর সেই কারণেই ভেনটিলেশনে রাখা হয়েছে ভারতের মেলোডি কুইনকে। এই খরবে গোটাদেশের উৎকন্ঠার পারদ চড়তে থাকে।

সারা দেশের রবিবার একটাই ধর্ম, সুর একটাই-বিষাদ, মা সরস্বতীর নিরঞ্জন। প্রকৃত অর্থেই সুরের সরস্বতীকে নিয়ে ফিরলেন সাক্ষাৎ মা সরস্বতী। নিস্বঃ করে গেলেন ভারতবর্ষ তথা সারা বিশ্বের সঙ্গীতপ্রেমীদের। মৃত্যুকালে লতা মঙ্গেশকরের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১১ জানুয়ারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর নিউমোনিয়ার লক্ষণ ছিল। যার ফলে আইসিইউ-তেই রাখা হয় তাঁকে। বিগত ২৮ দিন ধরে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন সম্রাজ্ঞী। ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বসন্ত পঞ্চমীর দিনই খবর আসে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে তাঁর। আর সেই কারণেই ভেনটিলেশনে রাখা হয়েছে ভারতের মেলোডি কুইনকে। এই খরবে গোটাদেশের উৎকন্ঠার পারদ চড়তে থাকে। ৬ই ফেব্রুয়ারী চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা, সারা দেশের প্রার্থনাকে বিফল করে চির নিদ্রায় গেলেন সকলের আরাধিকা। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় শিল্পী মহলের সঙ্গে। উঠে আসে সকলের শোক সন্তপ বার্তা।

উজ্জয়নি মুখোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী- কিছুক্ষণ আগে থেকে পাড়ার পুজোর সব গান থেমে গেছে শুধু এক প্যার কা নাগমা, মেরি আওয়াজ হি প্যাহেচান হ্যাঁ। একের পর এক এই গান। তখন চোখে জল এল, মনে হল উনিই প্রকৃত অর্থে অমর। খুব অবাক করা বিষয়, সারা দেশ আজ একটা শোকেই শোকাহত। এই প্রজন্ম কেন আগামী ১০০ বছরের প্রজন্মরের কাছএও উনি ইশ্বরই থাকবেন। ওনার গান একলব্যের মত শুনলেই অনেকটা শেখা হয়। আমি তো আমার জীবনে ওনার সাক্ষাত না পেলেও অনার থেকে পাওয়ার শেষ নেই আমার। 

অন্বেষা হাজরা (এই পথ যদি না শেষ হয়-এর ঊর্মী-র চরিত্রাভেনতা) ওনার গুণ সম্পর্কে কথা বলার ধৃষ্টতা আমাদের কারও নেই। তাই আজ শুধু শূণ্যতা ছাড়া আর কি বা থাকতে পারে। মৃত্যু অনিবার্য কিন্তু যখনই ওনার মত মানুষকে বিদায় দিতে হত তখনই এই শূন্যতা ঘিরে ধরত। কারও জীবনের পথই বোধায় ওনার গান ছাড়া চলা সম্ভব না। তাই আজ সারা দেশের কাঁদার দিন। 

অন্মেষা দত্ত, সঙ্গীত শিল্পী-আমি অবাক নই, হতাশ। শূন্যতা গ্রাস করছে। তবে এটাই তো পৃথিবীর নিয়ম। না মেনে যাব কোথায়। তাই এই শূন্যতা বোধায় সত্যি নীরব-ই করে। কিছু বলতে গেলে অদ্ভুত ভাবে গলা ধরে আসছে। হ্যাঁ-এটা ঠিক উনি শারীরিক ভাবে কষ্ট পাচ্ছিলেন। সেই অর্থে আরও দীর্ঘ জীবনের প্রার্থণা বোধয় খুব স্বার্থপরের মতই হবে। কিন্তু বিদায় বেলায় মনকে বোঝানো সত্যি সহজ নয়।

আরও পড়ুন: 'লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠের মধ্যে দিয়ে মেলে সরস্বতীর আশীর্বাদ', দেশের তরফ থেকে শোকজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আরও পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের সম্মানে ২ দিনের জাতীয় শোক, জেনে নিন জাতীয় শোকের নিয়ম