সংক্ষিপ্ত

'দিদির ঘরে ঢোকার অধিকার শুধু আমার ছিল, তিনি কাউকেই অনুমতি দিতেন না', লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন পারিবারিক বন্ধু সৌভিক দাশগুপ্ত। 'দিদিই আমার মেয়ের নাম দিলেন', জানালেন সৌভিক দাশগুপ্ত।

'দিদির ঘরে ঢোকার অধিকার শুধু আমার ছিল, তিনি কাউকেই অনুমতি দিতেন না', লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন পারিবারিক বন্ধু সৌভিক দাশগুপ্ত (Souvik Dasgupta)।উল্লেখ্য, গুরুতর অসুস্থ হয়ে  টানা ২০ দিনের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মেলোডি কুইনের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সারা বাংলা। 

লতা মঙ্গেশকরের পারিবারিক বন্ধু সৌভিক জানিয়েছেন, 'নিশ্চয়ই আগের জন্মে ভালো কাজ করেছি, ইশ্বরের আর্শীবাদ ছিল, যে দিদি বাড়িতে দিদির ঘরে ঢোকার অধিকার শুধু আমার ছিল। তিনি কাউকেই অনুমতি দিতেন না। প্রচুর এমন ছিল, যে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ঢুকে পড়তাম। প্রচুর আলোচনা, প্রচুর গল্প হত দিদির সঙ্গে। আমাদের শঙ্কর-জয়কিসান, কল্যাণজি-আনন্দজি, কলকাতার হেমন্তদা, সলিলদাকে নিয়ে অফুরন্ত কথা হত। সলিলদাকে নিয়ে তো আপ্লুত হয়ে যেতেন। বলতেন জানিস তো সলিলদা খুব তাড়াতাড়ি চলে গলে, থাকলে আরও ভাল ভাল কাজ হত, সৃষ্টি হত।' পারিবারিক কথা ইস্যুতে সৌভিক জানালেন, আমার যখন থার্ড ইস্যু যখন হবে, দিদি তখন বললেন এবার তোর ছেলে হবে। আমি নাম রাখব। আমি বললাম যে, খুব ভাল। কিন্তু আমার মেয়ে হল। দিদি বললেন যে, মনখারাপ করিস না, মেয়েই ভাল। মেয়েই সব কিছু করে। দেখ আমরা এতগুলি বোন। পরে ভাই হয়েছে। এরপরে দিদিই আমার মেয়ের নাম দিলেন আনন্দী', বলে জানালেন সৌভিক দাশগুপ্ত।

আরও পড়ুন, 'শুধু আপনার জন্যই গাইব', স্টুডিও-র সঙ্গে ঝগড়া সত্ত্বেও হেমন্তের জন্যই গান গেয়েছিলেন লতা

প্রসঙ্গত,  গুরুতর অসুস্থ হয়ে  টানা ২০ দিনের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।সম্প্রতি করোনামুক্ত হলেও কাটছিল না শারীরিক অসুস্থতার জটিলতা পাঁচ সদস্যে চিকিৎসকদের বিশেষ টিম কয়েকদিন আগেই স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, বর্তমানে ভালো আছেন  লতা মঙ্গেশকর। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।  কিন্তু তিন সপ্তাহ পার করেই আবারও বাড়ল উদ্বেগ।৫ ফেব্রুয়ারি ফের শারীরিক অবস্থার প্রবল অবনতি হয়। যার ফলে তাঁকে আইসিইউ কেবিনে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখতে হয়। ভারতের মেলোডি কুইনের শারীরিক অবস্থা যে ভালে নয় তা বারবার জানান দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতিত সামদানিও জানিয়েছিলেন ভেন্টিলেটরে থাকা লতা মঙ্গেশকরকে সমানে অ্যাগ্রেসিভ থেরাপি ও টলারেটিং প্রসিডিউর দিতে হচ্ছে। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল একরাশ মনখারাপ। তবুও আশা ভোঁসলের বার্তা পেয়ে ফের বুক বেঁধেছিল দেশ। আশা ভোসলে তখন জানিয়েছিলেন, লতাদিদি ভালো আছেন। রাতে  লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালেও যান আশা ভোঁসলে।৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ অবধি চির ঘুমের দেশে যান সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর।  

আরও পড়ুন, Lata Mangeshkar: 'রঙ্গিলা বাঁশি' থেকে 'নিঝুম সন্ধ্যায়', আজও লতার বাংলা গানে নিজেকে হারায় বাঙালি

আরও পড়ুন, 'বাংলা গানের সঙ্গে একটা নিবিঢ় যোগযোগ ছিল লতাজির', 'অনুরোধের আসর'-সহ নানা মুহূর্তে ভাসলেন মমতা