সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি মা হতে চলেছেন, সুখবরটি নিজেই দিয়েছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত অভিনেত্রী পরীমণি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম না করে এবার অন্তঃসত্তা পরীমণিকে খোঁচা তসলিমার। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নাম না করে এবার অন্তঃসত্তা পরীমণিকে ( Pori Moni) খোঁচা তসলিমার। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মা হতে চলেছেন, সুখবরটি নিজেই দিয়েছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত অভিনেত্রী পরীমণি। তবে অনুরাগীদের এই সুখবর দেওয়ার পর থেকেই পরীমণিকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে। এহেন পরিস্থিতিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম না করে এবার অন্তঃসত্তা পরীমণিকে খোঁচা দিলেন এবার বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Writer Taslima Nasrin )।

তসলিমা নাসরিন ফেসবুকে একটি পোস্ট করে শুরুতেই প্রশ্ন তুলে লেখেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার এত দরকার কেন। লেখিকার মতে, সাহসী মেয়েরা সোশ্যাল ট্যাবু ভেঙে ফেললেও '৩০ পার হলেই সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ব্যকুল হয়ে ওঠে।' আর এরপরেই মোক্ষম প্রশ্ন তোলেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, 'এই ব্যকুলতা কতটা নিজের জন্য এবং কতটা পুরুষতান্ত্রিক রীতিনীতি মানার জন্য। আমি মনে করি নিজের জন্য নয়, মেয়েরা সন্তান দিতে চায় সমাজের দশটা লোকের জন্য', বলে তোপ দাগেন লেখিকা। এরপরেই লেখিকা নারীকুল পরামর্শ দেন, 'একজন সফল নারীর অহেতুক সন্তান জন্ম দিয়ে কাজের সময় নষ্ট করা উচিত নয়।' এরপর তিনি বলেন, লালন-পালনেই তো ব্যয় হয়ে যায় জীবনের অনেকটা সময়। তবে এই সন্তান জন্ম দেওয়ার মধ্যে যে আদতে সুপ্ত স্বার্থপরতা লুকিয়ে থাকে, এনিয়েও কথা বলেন তিনি।

তসলিমার এই বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট ইতিমধ্য়েই ভাইরাল। ১২ হাজার লাইকের বন্য়া। পড়ে বিতর্কিত অজস্র কমান্ট। প্রয়োজন বুঝে উত্তর দিতে এবং নেটিজেনদের তোপ দাগতে মোটেই পিছু পা হননি বরাবরের এই সাহসী বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। কালীকৃষ্ণ গুহ বলে এক ব্যক্তি কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, সন্তানের জন্ম দেবার ক্ষমতা নারীর অপার অতুলনীয় একটি ক্ষমতা। যা একটি প্রাণীকে টিকিয়ে রাখে। তবে কোনও নারী যদি এই ক্ষমতার ব্যবহার করতে না চান, তাহলে আর কী বলার আছে, বলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। এদিকে তসলিমা এই কমেন্টের ধারালো উত্তর দিয়ে লিখেছেন, নারী তাঁর মেধা এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে অর্জন করেনি প্রজনন ক্ষমতা। নারীর জন্মই হয়েছ প্রজননতন্ত্রসমেত। এখানেই শেষ নয়, কমেন্ট বক্সে আরেক নেটিজেন চিকিৎসক তসলিমা খোঁচা দিতে গিয়ে নিজের তোপের মুখোমুখি হয়েছেন। চিকিৎসক ভট্টাচার্য, লিখেছেন মাতৃত্বের অনুভতি আপনার জীবনে হয়েছে কি। এরপরেই ওই পুরুষ চিকিৎসককে পাল্টা প্রশ্ন করেন তসলিমা, মাতৃত্বের অনুভূতি তার জীবনে হয়েছে কিনা। মুহূতে ওই রিপ্লাই ওঠে হাসির রোল। 

প্রসঙ্গত, ফেসবুকের ওই পোস্টে কোথাও পরীমণির নাম প্রকাশ করেননি তসলিমা। উল্লেখ্য গত বছরের ১৭ অক্টোবর শরিফূল রাজকে বিয়ে করেন পরীমণি। এদিকে মা হতে চলেছেন, এই সুখবরটি সোমবার দুপুরে নিজেই দিয়েছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত অভিনেত্রী পরীমণি। কন্যা হলে রাণি, পুত্র হলে রাজা, ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই সন্তানের নামকরণও করে ফেলেছেন অভিনেত্রী। আর তারপরেই এই বিতর্কিত পোস্ট করেন লেখিকা।