সংক্ষিপ্ত
- ৭ জুন বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়
- এবারের থিম, আজ নিরাপদ খাবার খেলে আগামীতে তা সুস্থ রাখবে
- করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খাবারের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রয়োজন
- এই সময় খাদ্য সুরক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
খাবারের মধ্যে দিয়ে অনেক ধরনের জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। সেগুলিকে খালি চোখে কোনওভাবেই দেখা যায় না। তাই ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সঞ্চয়স্থান, বিতরণ, প্রস্তুতি এবং গ্রহণের প্রতিটি পর্যায় নিরাপদ রয়েছে কি না তা খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে। আমরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যেসব খাবার খাই সেগুলি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী, সেগুলি কোনওভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস পালন করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খাবার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সময় খাদ্য সুরক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার একাধিক অধিবেশনে আলোচনা হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালের রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ৭ জুন দিনটিকে বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য এবং কৃষি বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে এই দিন পালন করে। খাবারের মধ্যে দিয়ে যে রোগগুলি আমাদের শরীরে প্রবেশ সেগুলি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার কাজ করে হু।
এই বছরের বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের থিম হল "Safe food today for a healthy tomorrow" অর্থাৎ আজ নিরাপদ খাবার খেলে আগামীতে তা সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। হু-এর মতে, নিরাপদ উপায়ে খাবারের উৎপাদন ও ব্যবহার মানুষ, পৃথিবী এবং অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা দেবে। যা আমাদের ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগবে।
তাই খাবার সুরক্ষিত কি না তা সবার আগে জানা প্রয়োজন। তার জন্য ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সঞ্চয়স্থান, বিতরণ, প্রস্তুতি এবং গ্রহণের প্রতিটা পর্যায়ের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, দূষিত খাবার বা জলের মাধ্যমে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস, রাসায়নিক পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে। এর ফলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। আর এগুলি এতটাই সূক্ষ্ম হয় যে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না।
তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খাবারের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তার জন্য খাওয়ার আগে ২০ সেকেন্ড সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি। স্টোরেজ বা প্যাকেজিংয়ের সময় খাবারের পণ্যগুলিকে দূষণের থেকে দূরে রাখা উচিত বলে জানিয়েছে সিডিসি। এছাড়া বাজার থেকে ফল, সবজি কেনার পর তা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। ডিম কেনার পর তা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে ফেটে না যায়। বাসন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই তা ধুয়ে নেবেন। গরম জলে ধুলে খুবই ভালো। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে সাধারণ জলেই ধুয়ে নিতে পারেন।