সংক্ষিপ্ত
- নিজের ছেলেকে শ্বাসরোধ খুন করল ফুটবলার বাবা
- করোনা ভাইরাসে মৃত্যু বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা
- পরে পুলিসি জেরায় খুনের কথা স্বীকার অভিযুক্তের
- ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব
করোনা আতঙ্কে জেরবার গোটা বিশ্ব। দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ক্রীড়া বিশ্বেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই মারণ ভাইরাসের। বিগত ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে এই লাইনগুলির সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু কোনও ফুটবলার নিজের ছেলেকে শ্বাসরোধের করে খুন করে, করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্য়ু প্রমাণের চেষ্টা করেছে। এমন খবর শুনেছেন? কী শুনে ইবাক হলেন? কিন্তু এটাই সত্যি। ঘটনা তুরস্কের এক ছোট্ট গ্রামের। সেখানে নিজের পাঁচ বছরের ছোট্ট ফুটফুটে ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তার ফুটবলার বাবা। ঘটনাটি ঘটোছে গত ২৩ এপ্রিল। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুনঃরাজীব খেলরত্নের জন্য শুটার অঞ্জুম মুদগিলের নাম প্রস্তাব এনআরএআইয়ের
সেভহার তোকতাস। তুরস্কের প্রথম সারির একটি ক্লাবের ফুটবলার ছিলেন তিনি। বর্তমানে অবসর নিয়েছেন তিনি। অভিযোগ গত ২৩ এপ্রিল নিজের ছেলেকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন সেভহার। এরপর তুরস্কের বুরসা শহরের একটি হাসপাতালে সন্তানকে ভর্তি করেন তিনি। হাসপাতালের তরফে চিকিৎসক জানতে চাইলে সেভহার বলেন বলেন তার ছেলে কাসিম করোনায় আক্রান্ত। একইসঙ্গে চিকিৎসককে এও জানান সেভহারতীব্র শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে ভুগছে কাসিম। বেশ কয়েক দিন ধরেই সে গুরুতর অসুস্থ। সেভহারের কথা শুনে প্রথমটায় তাঁকে বিশ্বাসও করে নেন চিকিৎসকেরা। যদিও তদন্তের অংশ হিসেবে বাচ্চাটির শরীরে অটোপ্সি করা হয়। করোনা পরীক্ষাতেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরই সেভারের বিরুদ্ধে সন্দেহ দানা বাধে। পুলিসে খবরও দেওয়া হয় হাসপাতেলের তরফ থেকে। পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুনঃনস্টালজিক সচিন,শেয়ার করলেন প্রিয় বন্ধুর বাড়িতে কাটানো মুহূর্তের ছবি
আরও পড়ুনঃস্লেজিং সামলানোর ক্ষেত্রে কে এগিয়ে সচিন না বিরাট, আক্রমের জবাব
তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন সন্তানকে হত্যা করে নিজেকে শেষ পর্যন্ত সামলে রাখতে পারেননি এই প্রাক্তন ফুটবলার। পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করে পুঙ্খানুপুঙ্খ ঘটনার বিবরণ দেন সেভহার। পুলিশকে তিনি জানান, ‘কাসিম ঘুমিয়ে ছিল, আমি ঘুমের মধ্যেই বালিশ দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরি। প্রাথমিকভাবে সামান্য প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও শেষ অবধি আর পেরে ওঠেনি। পনেরো মিনিট ধরে আমি ওর মুখ বালিশ চাপা দিয়েছিলাম। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় ওর শরীর।’ জানা গিয়েছে ঘটনার পর স্থানীয়দের সাহায্য চেয়ে সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যান সেভহার। ঘন্টাদু’য়েক আইসিইউ’তে থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে ছোট্ট কাসিম।তারপরই সেভহারকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে কী কারণে ছেলেকে খুন করল বাবা তা এখনও জানা যায়নি। চলছে তদন্ত। কিন্তু এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। ছোট্ট কাসিমের ছবি দেখে চোখে জল সকলের। সেভহারের কঠিনতম শাস্তির দাবি উঠেছে।