সংক্ষিপ্ত
- ব্যর্থ হয়ে গেল লিওনের লড়াই
- বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বড় ব্যবধানে হার তাদের
- একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ বায়ার্ন
- ফাইনালে পিএসজির মুখোমুখি বায়ার্ন মিউনিখ
শেষপর্যন্ত ৭ বছরের খরা কাটিয়ে আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো বায়ার্ন মিউনিখ। শেষবার তারা ফাইনালে উঠেছিল ২০১২-১৩ মরশুমে। সেমিফাইনালে বার্সেলোনা কে ৭-০ এগ্রিগেট ফলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল মুলার-রা। এবার সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্সের অলিম্পিক লিওন। ম্যানচেস্টার সিটি এবং জুভেন্তাসের মতো বড় দলের বিরুদ্ধে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল লিওন। খাতায় কলমে অনেক এগিয়ে থাকলেও তাই বায়ার্নের বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাসী হয়েই মাঠে নেমেছিল রুডি গার্সিয়ার ছেলেরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত ৩-০ গোলে হেরে সেমিফাইনালেই থেমে গেল লিওনের স্বপ্নের দৌড়।
আরও পড়ুনঃশীর্ষ আদালত না চাইলে চুপচাপ পদ থেকে সরে যাব, জানিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
স্কোরলাইন ৩-০ দেখালেও ম্যাচ কিন্তু একেবারেই একতরফা ছিল না। প্রথম ১৫ মিনিটে লিওনের প্রতিআক্রমণের সামনে বার বার কেঁপে গিয়েছে বায়ার্ন ডিফেন্স। কিন্তু শেষপর্যন্ত গোলের সামনে গিয়ে কখনও নিজেদের ভুলে আবার কখনও ন্যয়ারের অসাধারণ গোলকিপিংয়ে আটকে গিয়েছে গিয়েছে লিওন। আর বায়ার্নের মতো দকের বিরুদ্ধে সুযোগ নষ্ট করলে ভুগতে হবে এমনটাই স্বাভাবিক। আর বায়ার্ন সেটাই আরও একবার প্রমাণ করলো ম্যাচে।
আরও পড়ুনঃজোর কদমে চলছে আইপিএলের প্রস্তুতি, নেট দুনিয়া আগুন ঝরাচ্ছে হার্দিকের 'মাচো লুক'
আরও পড়ুনঃহন্যে হয়ে নিজের একটি গাড়ি খুঁজছেন সচিন, ভক্তদের কাছেও করলেন অনুরোধ
বায়ার্নের প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের ১৮ মিনিটে। তিন-চারজন লিওন খেলোয়াড়-কে এড়িয়ে পেনাল্টি বক্সের গোড়া থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন বায়ার্নের সার্জ গ্যানাবরী। দ্বিতীয় গোলটির ক্ষেত্রে মাঝমাঠে খেলা তৈরি করার পর বক্সে লিয়নডস্কি সহজ সুযোগ নষ্ট করার পর লুজ বলটি গোলে ঠেলেন সেই গ্যানাবরী। দ্বিতীয়ার্ধতে ফের ম্যানুয়েল ন্যয়ার-কে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় লিওন। উল্টোদিকে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে প্রতিযোগিতায় নিজের ১৫ তম গোল করে যান লিয়নডস্কি। ৩ গোল খাওয়া সত্ত্বেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন লিওন গোলকিপার অ্যান্টনি লোপেজ। তিনি না থাকলে আরও বড় ব্যবধানে হারতে হতে পারতো তাদের। তবে হেরে গিয়েও লিওন দেখিয়ে দিয়ে গেল যে বায়ার্ন মিউনিখ দুর্ভেদ্য নয়। নিজেদের সুযোগগুলি নিতে পারলে তাদের বিরুদ্ধেও গোল করা যায়। নিঃসন্দেহে রবিবারের ফাইনালের আগে পিএসজি কোচ টমাস টুচেল ব্যাপারটি মাথায় রাখবেন।