সংক্ষিপ্ত
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (English Premier League) ক্রমেই বাড়ছে কোভিড ১৯ (Covid 19) -এর আক্রান্তের সংখ্যা। যার কারণে ক্রিসমাস উইকে (Christmas Week) রবিবার (Sunday) বাতিল দুটি ম্যাচ।
বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের (Omicron)। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আত্রান্তের সংখ্যা। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোভিড ১৯ (Covid 19) -এ আক্রান্তের সংখ্যা। যার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়া বিশ্বেও। বিশেষ করে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (English Premier League)। বিশ্বের এই অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল লিগে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্লেয়ার, সাপোর্টিং স্টাফ থেকে শুরুর ক্লাবের অফিসিয়ালরা। তালিকায় রয়েছে প্রিমিয়ার লিগের (Premier League) সঙ্গে যুক্ত সবর্বস্তরের ব্যক্তি। রয়েছে টটেনহ্যাম, চেলসি সহ একাধিক বড় ক্লাবের নামও। ইতিমধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থগিত হয়ে গিয়েছে একাধিক ম্য়াচ। বছর শেষেও কোভিডের থাবা থেকে বাদ গেল না ইপিএল (EPL)।
ইংল্যান্ডে অতি সাড়ম্বড়ে পালিত হয় বড়দিন। ক্রিসমাস সপ্তাহে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলি ঘিরে আলাদাই উন্মদনা ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু রবিবার কোভিড১৯-এর কারণে বাতিল হয়ে গেল প্রিমিয়ার লিগের দুটি ম্যাচ। রবিবার ২৬ ডিসেম্বর ইপিএলে খেলাছিল লিভারপুল বনাম লিডস ও উলভস বনাম ওয়াটফোর্ড। কিন্তু ইপিএলের তরফে জানানো হয়েছে যে এই দুটি ম্যাচ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। লিভারপুলের বিরুদ্ধে খেলতে চায়নি লিডস। তাদের বেশ কয়েক জন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষ। অপরদিকে কোভিড থাবা বসিয়েছে ওয়াটফোর্ড দলেও। একাধিক ফুটবলার আক্রান্ত অতিমারী ভাইরাসে। সেই কারণে উলভসের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াটফোর্ড ম্য়ানেজমেন্ট।
দুটি ম্য়াচ বাতিল হলেও, প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্য়াচ আয়োজিত হচ্ছে বছরের শেষ রবিবারে। লিভারপুল বনাম লিডস ও উলভস বনাম ওয়াটফোর্ড ম্যাচ ছাড়াও ইপিএলে ওই দিন রয়য়েছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-লেস্টার সিটি ম্যাচ। সেই ম্যাচ অবশ্য হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে ইপিএলের তরফে। ম্যান সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওয়ালাও সেই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। বলেছেন,' হাতে দু’দিন সময় আছে। প্রতিদিন সবার করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। যদি কারও রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে, তা হলেও আশা করি রবিবার দল নামাতে পারব।' গত বছরও ক্রিসমাসের সময় একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় লিগ। তারপর ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় মাস্কও বাধ্যতামূলক নয় করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। কিন্তু ফের করোনা আক্রান্ত বাড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনেরও।