সংক্ষিপ্ত

 বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং-এ ভারতীয় ফুটবল শীর্ষস্থানে না থাকলেও, ডার্বির রাজনৈতিক, সামাজিক ও ঐতিআসিক গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। 
'সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল', বাঙালির ফুটবল মানেই লাল হলুদ-সবুজ মেরুণ জার্সি, বাঙালির ফুটবল মানেই আবেগ, বাঙালির ফুটবল মানেই ইতিহাস, বাঙাল-ঘটি, চিংড়ি-ইলিশ। বাঙালির ফুটবল মানেই ডার্বি। 

অপেক্ষার আর মাত্র কিছুক্ষণ, আড়াই বছর পর ফের শহরে ফিরছে ডার্বি। ফের ময়দান মেতে উঠতে চলেছে লাল হলুদ বনাম সবুজ মেরুণ যুদ্ধে। উত্তেজনায় রীতিমত ফুটছে তিলোত্তমা। এদিকে ময়দানে কান পাতলেই শোনা যায় টিকিটের হাহাকার। অনলাইনে মিলছে না টিকিট, ভরসা এখন অফলাইনই। একমাত্র ক্লাব থেকেই মিলবে এই টিকিট। তবু চাহিদায় বিন্দুমাত্র ভাঁটা নেই। এমনকী বাকি নেই বিক্ষোভ পথ অবরোধও। ফুটবল নিয়ে বাঙালির আবেগ আজ আরও একবার দেখা যাবে। 
বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং-এ ভারতীয় ফুটবল শীর্ষস্থানে না থাকলেও, ডার্বির রাজনৈতিক, সামাজিক ও ঐতিআসিক গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। 
'সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল', বাঙালির ফুটবল মানেই লাল হলুদ-সবুজ মেরুণ জার্সি, বাঙালির ফুটবল মানেই আবেগ, বাঙালির ফুটবল মানেই ইতিহাস, বাঙাল-ঘটি, চিংড়ি-ইলিশ। বাঙালির ফুটবল মানেই ডার্বি। 
কলকাতা ডার্বি কে স্থানীয় ভাবে 'বড় ম্যাচ'ও বলা হয়। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রায় একশো বছরেরও বেশি পুরনো। এটি এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯২১ সালের ৮ অগাস্ট প্রথম কোচবিহার কাপে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। এশিয়ান ফুটবলের সর্বশ্রেষ্ঠ ডার্বি হিসাবে বিবেচিত হয় কলকাতা ডার্বি। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ডার্বিগুলির মধ্যে একটা। 
এই দুই ক্লাব বছরে অন্তত ৩ বার মুখোমুখি হয়। দুবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এবং একবার কলকাতা ফুটবল লিগে। এছাড়া ফেডারেশন কাপ, আইএফএ শিল্ড, ডুরান্ড কাপ ইত্যাদি অন্যান্য প্রতিযোগিতায় একাধিকবার মুখোমুখি হয় এই দুই ক্লাব। 
কলকাতা ডার্বির সঙ্গে অনেকক্ষেত্রেই মিল পাওয়া যায় স্কটিশ প্রফেশনাল ফুটবল লিগের ওল্ড ফার্ম ডার্বির। যেহেতু মোহনবাগান মূলত 'নেটিভিস্ট' জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে এবং ইস্টবেঙ্গল মূলত 'অভিবাসী' জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। দেশভাগ পূর্ববর্তী সময় উদ্বাস্তু হয় এপারে আসা বাঙালদের প্রতিনিধিত্ব করে এই লাল-হলুদ জার্সি পরিহিত ক্লাব ইস্টবেঙ্গল, অপরদিকে বাংলার পশ্চিম অংশের লোকেদের প্রতিনিধিত্ব করে মোহনবাগান। 

আরও পড়ুনডার্বি জিততে কেমন একাদশ সাজাতে পারেন স্টিভেন কনস্টেনটাইন ও জুয়ান ফেরান্দো, দেখে নিন এক নজরে 


মোহনবাগান ভারতের প্রাচীনতম ফুটবল ক্লাবগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভারতীয় ফুটবলে একের পর এক মাইলফলক এঁকেছে এই ক্লাব। 
১৯২০ সালে জোড়াবাগান ক্লাব মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল। এই খেলায় তাঁদের তারকা হাফব্যাক শৈলেশ বোসকে ছাড়াই সংগঠিত হওয়ায় রীতিমত চটে যান ক্লাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী। এরপরই জন্ম হয় ইস্টবেঙ্গলের। ১৯২১ সালের ৮ আগস্ট কোচবিহার কাপে প্রথম মুখোমুখি হয় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয়েছিল এই ম্যাচ। মোহনবাগান ১০ আগস্ট ১৯২১ সালে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে পুনরায় খেলা সেমিফাইনাল জিতেছিল। গোলদাতা ছিলেন রবি গাঙ্গুলি, পল্টু দাশগুপ্ত এবং অভিলাষ ঘোষ। ২৮ মে ১৯২৫ তারিখে কলকাতা ফুটবল লিগে মোহনবাগান গ্রাউন্ডে প্রথম লিগ মিটিং হয়েছিল যেখানে নেপাল চক্রবর্তীর একক গোলে ইস্টবেঙ্গল ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল। 

আরও পড়ুনকলকাতা ডার্বির ইতিহাসে থাকবে চিরস্মরণীয়, ফিরে দেখা ইস্ট-মোহন দ্বৈরথের সেরা ৫টি ম্যাচ