সংক্ষিপ্ত

• কলকাতা ডার্বির বাকি আর ১০ দিন
• এরমধ্যেই আলাদা আকার নিল দুই প্রধানের সমর্থকদের অসভ্যতা
• মোহনবাগান সমর্থকদের অসভ্যতার পাল্টা দিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা
• ব্যাপার দেখে লজ্জায় পড়েছে দুই প্রধানের সুশীল সমর্থকরা
 

আইএসএলের ইতিহাসের প্রথম কলকাতা ডার্বির আর দুই হপ্তাও বাকি নেই। তাই ডার্বির প্রাক্কালে প্রত্যাশা মতোই সোশ্যাল মিডিয়ায় এটিকে-মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে ট্রোলিং, তীক্ষ্ণ বাক্যবান বিনিময় শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে, এবার দুই প্রধানের তরফ থেকে একে অপরের প্রতি চরম আগ্রাসনের নামে চূড়ান্ত অসভ্যতার নজির দেখল শহর কলকাতা।

আরও পড়ুনঃআইএসএলে কোন কোন ফুটবলরারা হতে পারেন লাল-হলুদের তুরুপের তাস, দেখে নিন এক নজরে

গতকাল দমদমের ডায়মন্ড প্লাজার শপিং মলের কাছে স্পোর্টিং ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের একটি খেলোয়াড়ের কাটআউটকে মুন্ডু বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। সেই ছবি গতকাল মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আইএসএল উপলক্ষ্যে শহর কলকাতা তার আশেপাশের এলাকায় এটিকে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের নানান খেলোয়াড়দের কাটআউটের ছবি দেওয়া হয়। গতবছরও আইএসএল উপলক্ষ্যে শহরজুড়ে এটিকের ফুটবলারদের কাটআউট লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেসময় এইরকম কোনও গন্ডগোল হয়নি। তবে ডার্বির পারদ যে চড়ছে তা ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়ের কাটআউটের ছবিকে এভাবে ভেঙে দেওয়া দেখেই স্পষ্ট হয়ে যায়। 

আরও পড়ুনঃআক্রমণ-মাঝমাঠ-ডিফেন্সে সমান শক্তিশালী, জেনে নিন আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের টিম প্রোফাইল

আরও পড়ুনঃশতবর্ষে টার্গেট আইএসএল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, তার আগে দেখে নিন লাল-হলুদের টিম প্রোফাইল

অসভ্যতার পাল্টা অসভ্যতা করতে ছাড়েনি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও। বদলা নিতে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার যাদবপুর স্টেশনের লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন সাবওয়ের দেওয়ালে মোহনবাগানকে নিয়ে কুৎসিত ভাষায় গালাগাল লিখে রেখেছে ইস্টবেঙ্গলের একটি নিদিষ্ট ফ্যান ফোরামের সদস্যরা। সোজা কথায় একে হুলিগানিজম ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। ফুটবল মাঠে হুলিগানিজমের উৎপত্তি প্রধানত দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে দিয়ে, যারা ফুটবল নিয়ে আবেগকে একটা আলাদা লেভেলে নিয়ে যায়। এর ফল বেশীরভাগ সময়ই ভালো হয় না। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই আবেগ গিয়ে পৌঁছায় চরম আগ্রাসনে। প্রতিপক্ষ সমর্থকদের হেনস্থা, যানবাহনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, দোকান ভাঙচুর করা, এসব হুলিগানিজমেরই নিদর্শন। ভারতীয় ফুটবলে এখনও এই ধরণের প্রভাব না এলেও গত কয়েক বছরে কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থকরা যেভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠছেন একে অপরের প্রতি, তাতে অদূর ভবিষ্যতে কলকাতায় এই চিত্র নিয়মিত হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুনঃআইএসএলে কোন কোন ফুটবলরারা হতে পারেন লাল-হলুদের তুরুপের তাস, দেখে নিন এক নজরে