সংক্ষিপ্ত

  • মঙ্গলবারের যুবভারতীর পরিবেশ ছিল অসাধারণ
  • দর্শকদের হতাশ করেছেন তাঁরা
  • বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র মানতে পারছেন না সুনীল
  • টুইট করে নিজের হতাশা প্রকাশ ভারত অধিনায়কের

তিনি কলকাতার দুই প্রধানে খেলেছেন। লাল হলুদ বা সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে যখন যুবভারতীতে মাঠে নেমেছেন সুনীল তখন যে কোনও এক দিকের গ্যালারী তাঁর হয়ে গলা ফাটিয়েছে। কিন্তু হাউসফুল যুবভারতী যখন একটা দলের সমর্থনে গলা ফাটায় তখন সেই প্রতিপক্ষ কতটা চপে পরতে পারে সেটা সুনীল ভাল করেই জাননেত। তাই মঙ্গলবাবের ম্যাচের আগে কলকাতার কাছে একটাই আবেদন করেছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। মাঠে আসুন ভারতকে সমর্থন করতে। ভারতীয় দলের আবেদন ফেরায়নি ভারতীয় ফুটবলের মক্কা। লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন বা সাদা-কালো ক্লাব ফুটবলের ভাগাভাগি নয়। হাতে হাত রেখে দেশের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল গোটা শহর। মাঠের পরিবেশটাও ছিল আসামন্য। 

আরও পড়ুন - শহরে পা রেখে আপ্লুত মহারাজ, সভাপতি নয় ক্রিকেটার সৌরভকে এগিয়ে রাখলেন তিনি


 

 

আরও পড়ুন - ফুটবল মক্কার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ স্টিমাচের দল, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র করে যুবভারতী থেকে ১ পয়েন্ট সুনীলদের

কিন্তু তাঁরা যুবভারতীর সমর্থকদের হতাশ করেছেন তাঁরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে এমনটাই বলছেন ভারতীয় দলের অধিনায়াক সুনীল ছেত্রী। মঙ্গলবারের ম্যাচ শেষে ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে হতাশার পরিবেশ। টুইট করে এমনটাই জানালেন কলকাতার জামাই। বুধবার টুইটারে সুনীল লেখেন, ‘যুবভারতীর পরিবেশের সঙ্গে সমাঞ্জস্য রেখে আমরা পারফর্ম করতে পারিনি। গোটা ড্রেসিংরুম তাই হতাশ। যে সুযোগ গুলি পেয়েছিলাম আমরা, তা কাজে লাগাতে পারিনি।  তবে এটা একটা প্রক্রিয়া। তাই মাঠে আসুন, আমরাও সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করে যাব।’


আবার কবে ভারতীয় দল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খলবে সেটা আগামী দিনে দেখা যাবে। তবে ভারতীয় দল নিয়ে বর্তমানে যে উত্সাহ তৈরি হয়েছে সেটাই হয়তো প্রাপ্তি। বাংলার বাইরের অনেকেই বলেন তিন প্রধান ছাড়া কলকাতা মাঠে আসে না। মঙ্গলবারের যুবভারতী সেই সব বক্তাদের গালে সজোরে একটা থাপ্পড় কষিয়ে দিল। ফুটবল ভক্তরা বুঝিয়ে দিলেন এই দেশে ফুটবল আবেগে বাংলার স্থানটা শীর্ষে ছিল আছে আর আগামী দিনেও থাকবে। 

আরও পড়ুন - বোর্ড সভাপতি সৌরভ, প্রাক্তন অধিনায়ককে শুভেচ্ছা লক্ষণ শেহওয়াগের