আইএসএলে (ISL) টানা দ্বিতীয় হার এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)। জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC)বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হার অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের (Antonio Lopez Habas)দলের।  এই হারের ফলে ৫ নম্বরে নেমে এল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। ২ নম্বরে উঠে এল জামশেদপুর। 

মুম্বই সিটি এফসির (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে ৫-১ গোলের হারের ধাক্কা কাটিয়ে জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে ঘুড়ে দাঁড়াবে ভেবেছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। কিন্তু জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে হারতে হল অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের (Antonio Lopez Habas) দলকে। প্রথম দুই ম্য়াচে কেরালার ব্লাস্টার্স (Kerala Blaster)ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal)বিরুদ্ধে আইএসএল মরসুমের শুরুটা দুরন্ত করেছিল রয় কৃষ্ণা,হুগো বুমোস, জনি কাউকোরা। কিন্তু মুম্বই সিটিএফসির বিরুদ্ধে ম্য়াচটা দলের ছন্দটাই অনেকটা নষ্ট করে দিল। হারের ধাক্কা সামলে ওঠা তো দুরস্থ সোমবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হেরে পরপর দুই ম্য়াচে পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডকে। ম্য়াচে জামশেদপুরের হয়ে দুটি গোল করেন লেন ডঙ্গেল (Seiminlen Doungel) ও অ্য়ালেক্স (Alex Lima)। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে একটি গোল প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)শোধ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। 

Scroll to load tweet…

এদিন ম্য়াচের শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করে। মাঝ মাঠের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে এটিকে মোহনবাগান ও জামশেদপুর এফসি। তবে প্রথম থেকেই নড়বড়ে দেখাচ্ছিল মিত রাঠি এবং আশুতোষ মেহতাকে নিয়ে গড়া সবুজ-মেরুণের রক্ষণ। তিরি অভাব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাকে নামানোর ঝুঁকি নেননি বাগান কোচ। যার ফলে বারবার হাবাসের দলে বক্সে হানা দিচ্ছিল র নেরিয়ুস ভাল্সকিস, অ্যালেক্স লিমারা। হুগো বুমোসর ফ্রিক থেকে রয় কৃষ্ণা একটি সুযোগ পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু অফসাইডের জালে আটকে যান। এরপর একের পর আক্রমণ থেকে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় জামশেদপুর।মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছিল। জিতেন্দ্র সিংহ একাই মোহনবাগানের কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পাস দেন ডানদিকে। চলতি বলে দুরন্ত শটে এটিকে মোহনবাগানের জালে বল জড়ালেন লেন ডঙ্গেল। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় জামশেদপুর।

Scroll to load tweet…

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু জামশেদপুরের রক্ষণ ভাঙতে সমর্থ হচ্ছিলেন না বাগানের অ্যাটাকিং লাইন। রয় কৃষ্ণা এদিন একাধিক সুযোগ নষ্ট করে। এদিনও খেলায় রেফারিংয়ের মান নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই গেল। কারণ একটি হ্যান্ডবল পেনাল্টি দেওয়ার যোগ্য হলেও, তা দেননি রেফারি। এরই ফাঁকে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় জামশেদপুর। এক ঝাঁক ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে গোল করে যান অ্যালেক্স লিমা। ম্য়াচের ৮৮ মিনিটে বাগানের হয়ে একটি গোল শোধ করেন প্রীতম কোটাল। সেই গোল নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। কর্নার থেকে শট ফিস্ট করেন রেহনেশ। তা প্রীতমের হাঁটুতে লাগার পর আশুতোষের গায়ে লেগে ঢোকে। আশুতোষ অফসাইডে ছিলেন বলে প্রতিবাদ জানায় জামশেদপুর। যদিও গোল বজায় রাখেন রেফারি। এই ম্য়াচ হারের ফলে ৪ ম্য়াচে ৬ পয়েন্ট লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে নেমে এল এটিকে মোহনবাগান ও ৪ ম্য়াচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল জামশেদপুর।