সংক্ষিপ্ত

আইএসএলের (ISL) তৃতীয় ম্যাচে ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে পিছিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। খেলার ফল ৩-১। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ম্যানুয়েল দিয়াজের (Manuel Diaz) দল।
 

প্রথম ম্য়াচে জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে ড্র। দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)বিরুদ্ধে কলকাতা ডার্বিতে ৩-০ গলে লজ্জার হার। তৃতীয় ম্য়াচে অন্তত দল ঘুড়ে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের প্রথম জয় উপহার দেবে এমনটাই আশা করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)সমর্থকরা। কিন্তু ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে খেলার ফল ইঙ্গত দিচ্ছে আরও একটি লজ্জাজনক হারের। ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩ গোল হজমকরা হয়ে গিয়েছে ম্যানুয়েল দিয়াজের (Manuel Diaz) দলের। কিন্তু এদিন  প্রথম গোল করেছিল লাল-হলুদ বাহিনী। ড্যারেন সিডোয়েলের (Darren Sidoel)গোলে এগিয়ে গেলেও, প্রথমার্ধের শেষ ১২ মিনিটে ৩ গোল খেয়ে বসে এসসি ইস্টবেঙ্গল।  প্রথমার্ধের  খেলা শেষে ওড়িশা  এফসি ৩ ও এসসি ইস্টবেঙ্গল ১।

এদিন ম্যাচের শুরুটা  খুব একটা খারাপ করে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে কিছুটা সঙ্ঘবদ্ধ মনে হয়েছিল ম্যানুয়েল দিয়াজের দলকে। যার ফল মেলে ম্য়াচের ১৩ মিনিটেই। ড্যারেন সিডোয়েল গোল করে এগিয়ে দেয় লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরুতেই প্রিয় দল গোল পাওয়ায় ছন্দের ফেরার আশা করছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ থেকে সমর্থকরা। কিন্তু প্রথম গোল করার পরই ম্যাচের রাশ নিতে হালকা হতে শুরু করে দিয়াজের দলের। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তুলতে শুরু করে কিকো  রামিরেজের দল। ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে জাভি হার্নান্ডেজ, নন্দ কুমার, ক্রাসনিকিরা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোলের মুখ খুলে ফেলে ওড়িশা। হেক্টর রোডাস প্রথম গোল করে সমতায় ফেরায় ওড়িশা এফসিকে। প্রথম গোল হজম করার পরই ম্যাচেই খেই একেবারেই হারিয়ে ফেলে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের দখল পুরোপুরি চলে  যায় ওড়িশার হাতে।

এরপর একের পর এক ওড়িশার আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে লাল-হলুদ ডিফেন্সে। যা সামলাতে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় দিয়াজে দলকে। দ্বিতীয় গোল পেতে তাই বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৪০ মিনিটেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল। নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন হেক্টর রোডাস। ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও দমে যায়নি ওড়িশা এফসি। প্রথমার্ধের শেষ কয়েক মিনিটও আক্রমণ চালিয়ে যায় কিকো রামিরেজের দল। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে জাভি হার্নান্ডেজের গোল করে দলের পক্ষে ব্যবধান ৩-১ করেন। প্রথমার্ধের বাঁশি বাজা পর্যন্ত ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ওড়িশা। দ্বিতীয়ার্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গল  ম্য়াচে ফিরতে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার। 

.