সংক্ষিপ্ত
- ইতালি বনাম স্পেন ইউরো সেমি ফাইনাল
- নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে খেলার ফল ১-১
- টাইব্রেকারে স্পেনকে ৪-২ ব্যবধানে জিতল ইতালি
- ফাইনালে খেলবে ইংল্যান্ড-ডেনমার্ক ম্যাচে জয়ীর সঙ্গে
ইউরো ২০২০-র প্রথম সেমি ফাইনালে টানটান রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখল ফুটবল বিশ্ব। দেখল দুই ঘরানার ফুটবল যুদ্ধ। দেখল দুই কোচ রবের্তো মানচিনি ও লুই এনরিকের ফুটবল মস্তিষ্কের লড়াই। কিন্তু শেষ হাসি হাসল মানচিনির ইতালি। ৭১ শতাংশ বল পজিশন ধরে রেখেও জয়ের মালা উঠল না এনরিকের দলের গলায়। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে খেলার ফল ১-১ থাকায় শেষ পর্যন্ত ম্য়াচ গড়ায় টাই ব্রেকারে। কিন্তু কোয়ার্টারের ফাইনালের মত সাথ দেয়নি স্পেনের ভাগ্য। ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ইউরোর ফাইনালে পৌছল ইতালি।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের চেনা ছন্দে বল পজিশন ধরে রেখে বিপক্ষকে বিব্রত করতে থাকে লুই এনরিকের দল। মোরাতাকে প্রথম একাদশে না রেখে ওয়ারজাবালকে নামিয়ে চমক দেন স্পেনে কোচ। তিন ফরোয়ার্ড ওইয়ারহাবাল, দানি ওলমো ও ফেরান তোরেস তিন প্রান্ত ধকে আক্রমণ শানাবে ও নিজেদের মধ্যে জায়গা পরিবর্তন করে ইতালির স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করবে। পাল্টা প্রেসিং ফুটবল খেলে স্পেনকে চারে রাখার চেষ্টা করে ইমোবাইল, ইনসিগনে, বারেল্লেরা। প্রথমার্ধে দুই দলই কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও দুই গোলরক্ষক ডোনারুমা ও সিমন তা রুখে দেয়। ফলে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করে মানচিনির দল। ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল ফেড্রিকো কিয়েসাকে। ম্যাচে ৬০ মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেয় কিয়েসা। গোল হজম করার পর আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় স্পেন। আলবারো মোরাতাকেও মাঠে নামান এনরিকে। ম্যাচের ৮০ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোল করে স্পেনকে সমতায় ফেরান মোরাতা। তারপর নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও, গোলর মুখ খোলেনি।
টাইব্রেকারের প্রথম শট নষ্ট করে দু’দলই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শট থেকে উভয় দলই গোল করে। চতুর্থ শট থেকে ইটালির বের্নাডেস্কি গোল করলেও মোরাতার দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন দোনারুমা। পঞ্চম শট থেকে জর্জিনহো গোল করে ইটালিকে নিয়ে যান ফাইনালে। পঞ্চম শট নেওয়ার আর দরকার পড়েনি স্পেনের। ফলে ম্য়াচে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয় নায়ক হওয়ার দিনই, টাই ব্রেকার মিস করে খলনায়ক বনে গেলেন মোরাতা। আর ইউরো কাপে ফাইনালে পৌছল ইতালি।