সংক্ষিপ্ত

জয় দিয়ে ডুরান্ড কাপ ২০২২ (Durand Cup 2022) অভিযান শুরু করল মহমেডান এসসি (Mohammedan SC)। এফসি গোয়াকে (FC Goa) পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলে হারাল সাদা-কালো ব্রিগেড। দলের জয়ে খুশি সমর্থকরা। 
 

একেই বলে মধুর প্রতিশোধ। গত বছর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে হেরে ট্রফি জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল মহামেডান এফসির। আর ডুরান্ড কাপ ২০২২-এর প্রথ ম্যাচে গতবারের ফাইনাল হারের বদলা সুদে আসলে নিল কলকাতার অপর প্রধান ক্লাব। সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এফসি গোয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দুরন্ত জয় পেল সাদা-কালো ব্রিগেড।  ম্যাচে প্রথমে ১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং। সেখান থেকে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে দল ও শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবদানে পায় মহমেডান স্পোর্টিং।  বড় ব্যবধানে জয় দিয়ে মরসুম শুরু করতে পেরে খুশি সাদা-কালো ব্রিগেড।

এবার ডুরান্ড কাপে কোনও বিদেশী ছাড়াই খেলতে এসেছে গোয়ার দলটি। অপরদিকে মহমেডান এফসি নেমেছিল মার্কাস জোসেফ, ওসমান এবং নুরুদ্দিন দারবানভ তিন বিদেশী নিয়ে। এদিন ম্যাচের শুরুততে দুই দলই খুব একটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেনি। রক্ষণ সামলে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলছিল দুই দল। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে রাশ অনেকটাই নিজেদের হাতে রেখেছিল এফসি গোয়া। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে যদিও ফাইনালে হারের বদলা নিতে মরিয়া ছিল সাদা-কালো বাহিনী। ৩৪ মিনিটে মহম্মদ নেমিল গোল করে এগিয়ে দেন গোয়ার দলটিকে। গোল হজম করার পর প্রথমার্ধে সেইভাবে গোল শোধ করার তেমন কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মহমেডান এফসি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় এফসি গোয়া। 

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ অন্য মহমেডানকে দেখল ফুটবল প্রেমিরা। বিরতিতে কোচের পরামর্শে দ্বিতীয়ার্ধে আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়  সাদা কালো ব্রিগেডকে। একের পলল এক আক্রমণ গড়ে তোলে কলকাতার দল। ৪৮ মিনিটেই প্রীতম সিংহের গোলে সমতা ফেরায় মহমেডান। গোল পাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় তারা। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে গোয়ার বক্সে। বল পায়ে রাখার ক্ষেত্রেও প্রতিপক্ষের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল মহমেডান। ৮৪ মিনিটে আভাস থাপার ক্রশ থেকে মহমেডানের দ্বিতীয় গোল করেন ফাসলু রহমান। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধান ধরে রাখেন মহমেডান ফুটবলাররা। এর পর সংযুক্ত সময়ের তিন মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন মার্কাস জোসেফ। ফলে ক্যারিবিয়ান কোবরার গোলেই শেষ হাসি হেসে মাঠ ছাড়ল মহামেডান স্পোর্টিং। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত মহমেডান এফসি।