সংক্ষিপ্ত
- এবার ফিফার দ্বারস্থ আইলিগের ছয় ক্লাব
- ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফ্যান্তিনোকে চিঠি দেওয়া হল
- এআইএফএফ-এর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি ইস্ট-মোহনের
- এর আগে নরেন্দ্র মোদীকেও এই নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়
ফুটবল মাঠে দুই দলের মধ্যে রয়েছে চিরশত্রুতা। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে আপাতত দুই দলই এককাট্টা। সঙ্গে রয়েছে আরও চার আইলিগ ক্লাব - চার্চিল ব্রাদার্স, আইজল এফসি, গোকুলাম কেরল এফসি, ওমিনার্ভা পঞ্জাব। এআইএফএফ ভারতের এক নম্বর লিগ হিসেবে আইএসএলকে ঘোষণা করতে চলেছে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেই তার বিরোধিতা করে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিযানি ইনফান্তিনোকে একটি চিঠি দিল এই ক্লাবগুলি।
২০১০ সালে আইএমজি-রিলায়েন্স সংস্থার সঙ্গে মাস্টার রাইট এগ্রিমেন্টে আইএসএল-কেই শীর্ষ লিগ হিসেবে ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এআইএফএফ। এতদিনেও তা করে উঠতে না পারলেও, সম্প্রতি নীতা অম্বানির সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে এই বিষয়ে তীব্র চাপ দিয়েছে। এই বছরই সেই ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছে আইলিগের এই ৬টি ক্লাব।
এর বিরোধিতা করে তারা প্রথমে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেয়, এমনকী বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়-এর সঙ্গে দেখা করে ভারতীয় ফুটবলের এই সঙ্কট কাটাতে তাঁদের হস্তক্ষেপ চেয়েছে আইলিগ ক্লাবগুলি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি ফুটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকেই বিষয়টি নিয়ে অবহিত করতে চাইল মোহন-ইস্ট।
ইনফ্যান্তিনো-কে ক্লাবগুলি জানিয়েছে, ২০১৩ সালে শুরু হওয়া আইএসএল-কে দেশের শীর্ষ লিগ করতে চলেছে এআইএফএফ। অথচ ২০০৭ সালে দেশের প্রথম পেশাদার লিগ হিসেবে চালু হয়েছিল আইলিগ। আইলিগ-ই এখনও নিয়মিত নতুন ফুটবলার তুলে আনে। আর এই লিগকেই দ্বিতীয় সারিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
আরও বলা হয়েছে গত কয়েক বছরে হঠাত করে ভারতীয় ফুটবলের মান নামছে। অথচ গোটা বিশ্বের মতো ভারতেও ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু সেই জনপ্রিয়তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারে এমন দরকারি ও দক্ষ প্রশাসনের অভাব রয়েছে। তাই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাজ-কারবার নিয়ে ফিফার তদন্ত দাবি করেছে তারা।