সংক্ষিপ্ত

অনন্য নজির গড়লেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। সপ্তমবার ব্যালন  ডি'অর (Ballon D'Or)  জিতলেন আর্জেন্টাইন (Argentine) ফুটবল তারকা। মেসির হাতে ট্রফি তুলে দিলেন লুইস সুয়ারেজ (Luis Suarez)। ক্রিশ্চিয়ানোর রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়ালেন  মেসি।
 

২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯-এর পর ২০২১। আরও একবার ব্যালন ডি'অর (Ballon d’Or)  জিতে অনন্য নজির তৈরি করলেন আধুনিক ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। বিশ্বের প্রথম ফুটবলার  হিসেবে এই অনন্য নজির গড়লেন আর্জেন্টাইন ফুটবল মহাতারকা। এর আগে ৬বার  যখনই ব্যালন ডি'অর জিতেছেন লিওনেল মেসি বার্সোলোনায় (Barcelona)থাককালীন। এই প্রথম বার ফরাসী ক্লাব পিএসজিতে (PSG) থাকাকালীন ফ্রান্স ফুটবল সংস্থার দেওয়া সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন মেসি (Messi)। একইসঙ্গে চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী  ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) থেকেও ব্যবধান অনেকটাই বাড়ালেন লিওনেল মেসি। রোনাল্ডো ব্যালন  ডি'অর জিতেছেন ৫ বার। প্রিয় তারকার সপ্তম বার ব্যালন  ডি'অর জয়ে খুশি বিশ্ব জুড়ে মেসি ভক্তরা।

 

 

২০২০ সালে করোনা অতিমারীর কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল ব্যালন ডি'অর পুরষ্কার  প্রদান।  গতবার পারফরমেন্সের নিরিখে এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার সবথেকে প্রবল দাবিদার ছিলেন রবার্ট লেওনডস্কি। কিন্তু এবার এই সম্মান যে লিও মেসির দখলে যেতে চলেছে তার আভাস অনেক  দিন আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। অবশেষে সকল উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে মেসির নাম ঘোষণা  করা হয়। লিওনেল মেসির হাতে ব্যালন ডি’অর তুলে দেন বার্সেলোনার প্রাক্তন সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। ব্যালন ডি'অর জয়ের পর মেসি বলেন, ‘আবারও ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর জিতে আমি সত্যিই গর্বিত। সপ্তমবারের মতো এটি জিততে পারাটা অবিশ্বাস্য। ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পরিবার, বন্ধুদের এবং যারা আমাকে অনুসরণ করে, সবসময় আমাকে সমর্থন করে। তাদেরকে ছাড়া আমি এটি অর্জন করতে পারতাম না।’

 

 

তবে গতবার রবার্ট লেওনডস্কি এই সম্মান না পাওয়ার জন্য আক্ষেপের সুরও শোনা গেল মেসির গলায়। মেসির থেকে ৩৩ ভোট কম পেয়ে পুরস্কার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছেন লেওয়ানডোস্কি। তবে মেসির মতে গতবারে লেওয়ানডোস্কিই সেরা খেলোয়ড় ছিলেন এবং ফ্রান্স ফুটবল সংস্থার উচিত ২০২০ সালের ব্যালন ডি'অর দিয়ে পোলিশ স্ট্রাইকারকে পুরস্কৃত করা। তিনি বলেন,  ‘আমি রবার্ট লেওয়ানডোস্কির নাম উল্লেখ করতে চাই। তোমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা সত্যিই গর্বের বিষয়। সবাই জানে এবং আমরা সকলেই মানি যে গত বছর তুমিই এই পুরস্কারের বিজেতা হতে। আমার মতে ফ্রান্স ফুটবলের তোমাকে ২০২০ সালে ব্যালন ডি'অর দিয়ে পুরস্কৃত করা উচিত এবং সেই পুরস্কার তোমার বাড়িতে শোভা বর্ধন করবে।’ প্রতীদ্বন্দ্বীদের প্রতিও যে মেসির কতটা সম্মান এই বক্তব্য় থেকে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। প্রসঙ্গত, এদিন অনূর্ধ্ব ২১ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন পেড্রি। বিশ্বের সেরা গোলকিপার হলেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা। তবে মেসির সপ্তম বার ব্যালন  ডি'অর জয় ছাপিয়ে গিয়েছে সবকিছু।