সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আক্রান্ত হয়ে আতঙ্কে আত্মহত্যা রেইমসের চিকিৎসক বার্নার্ড গঞ্জালেস
  • ফরাসী ফুটবল ক্লাব রেইমসের দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক ছিলেন  বার্নাড গঞ্জলেস
  • করোনা আক্রান্ত হয়ে অবসাদ থেকে আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি
  • বার্নার্ডের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ ফরাসী লিগ ওয়ান ক্লাব রেইমসের
     

মারণ ভাইরাস করোনার  তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ইউরোপের ফুটবল। বন্ধ ইপিএল, লা লিগা, সিরি এ, ফ্রেঞ্চ লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ সহ সমস্ত ফুটবল টুর্নামেন্ট। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একাধিক ফুটবলার, কোচ সহ সাপোর্টিং স্টাফ। কোভিড ১৯-এর প্রকোপে প্রাণও গিয়েছে একাধিক ফুটবল ব্যক্তিত্বের। এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এই খবর জানতে পেরে আত্মঘাতী হলেন ফ্রান্সের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব রেইমসের চিকিৎসক বার্নার্ড গঞ্জালেস। 

আরও পড়ুনঃআতঙ্কের মাঝেই আশার বাণী,নির্দিষ্ট সময়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ করতে চায় আইসিসি

এক কথায় ক্লাবের ঘরের ছেলেই ছিলেন বার্নার্ড গঞ্জালেস। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি রেইমসের সঙ্গে চিকিৎসক ছিলেন। বর্তমানে ফ্রান্সেও ব্যাপক প্রবাব করোনা ভাইরাসের। বার্নার্ড গঞ্জালেসেরও সম্প্রতি করোনা টেস্ট পজেটিভ ধরা পড়ে। তার পর থেকেই  চূড়ান্ত আতঙ্কিত এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বার্নাড অবসাদেই আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে খবর। ঘটনায় রেইমসের মেয়র আর্নড রবিনেট বলেন, “জানতে পারলাম একটি সুইসাইড নোটও রেখে গিয়েছেন ডা. গঞ্জালেস। যেখানে উল্লেখ করেছেন যে তিনি করোনা পজিটিভ। ওর মৃত্যুর খবর শুনে মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। কারণ ওকে অনেকদিন ধরে আমি চিনি। শুধু ক্লাব নয়, ওর বহু অনুরাগীও শোকস্তব্ধ।” বার্নাডের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তার ক্লাব রেইমসও। লিগ ওয়ানের ক্লাবের তরফেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,  “এই মহামারি (করোনা) আমাদের থেকে একজন অত্যন্ত প্রিয় এবং প্রতিভাবান মানুষকে ছিনিয়ে নিল। বিধ্বস্ত হয়ে পড়ল রেইমস। ফুটবলের এই পরিবার ওকে খুব মিস করবে। রেইমসের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকে ওর শূন্যতা অনুভব করবে।”

আরও পড়ুনঃকরোনা মোকাবিলায় ১ কোটি টাকার বেশি অনুদান দিল ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন

আরও পড়ুনঃকরোনা যুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা দিলেন যুবরাজ, রোজ ৫ হাজার লোকের খাওয়ার দায়িত্ব নিলেন হরভজন

দিন কয়েক আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ফরাসি লিগ ওয়ানের বিখ্যাত ক্লাব মার্সেইয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পাফ দিউফের। নিজের দেশ সেনেগালে বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। দ্রুতগতিতে অবস্থার অবণতি হচ্ছিল দিউফের। চিকিৎসায় সাড়া দেওয় বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পাফ দিউফের আগে করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন প্রাক্তন আফ্রিকান তারকা ফুটবলার আব্দুল কাদির মহম্মদ ফারা। প্রথম আফ্রিকান ফুটবলার হিসেবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্পেনের ২১ বছর বয়সী এক তরুণ ফুটবল কোচের। নাম ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া। এবার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন বার্নার্ড গঞ্জালেস। করোনার জেরে একের পর এক ফুটবল ব্যক্তিত্বের প্রয়াণে আতঙ্কে ক্রমেই বাড়ছে ফুটবল বিশ্বে।