সংক্ষিপ্ত

  • বুধবার লক্ষ্মীলাভ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের
  • সৌজন্যে অবশ্যই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী
  • আইএসএলে খেলাও স্থির হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের
  • শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়,লাল হলুদের পাশে ছিলেন সৌরভও
     

'দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর নামই ইস্টবেঙ্গল'। 'খোঁচা খাওয়া বাঘ ও ইস্টবেঙ্গল সমার্থক'। 'এবার আইএসএলে প্রবেশ করল আসল রাজারা'। বুধবার ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর প্রাপ্তি ও আইএসএলে খেলা নিশ্চিৎ হয়ে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই সমস্ত পোস্টে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই উচ্ছাস, আবেগের বহিঃপ্রকাশের সৌজন্যে অবশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যে শুধু দিদি-র হাত ইস্টবেঙ্গলের মাথার উপর ছিল তেমনটা নয়, লালহলুদের পাশে ছিলেন 'দাদা' অর্থাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। 

আরও পড়ুনঃজেনে নিন আইপিএলের সবথেকে কালো অধ্যায় সম্পর্কে, যা নাড়িয়ে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকে

সম্প্রতি একাধিক ইনভেস্টরের সঙ্গে কথা হলেও, তা পাকা করতে পারেননি লাল-হলুদ কর্তারা। তার মাঝেই এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইএসএল খেলার কথা ঘোষণা করে মোহনবাগান। সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের পাশে এসে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় 'শ্রী সিমেন্টের' সঙ্গে কথাবার্তা। কিন্তু তখনও প্রশ্ন ছিল স্পনসর পেলেও আইএসএলের দরজা কীভাবে খুলবে ইস্টবেঙ্গলের। কারণ আএএসএল নাম নথিভুক্ত করার সময় ততদিনে পেরিয়ে গিয়েছে। আর এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কও খুব একটা ভাল ছিল না লাল-হলুদ কর্তাদের।

আরও পড়ুনঃআইপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন আরও এক তারকা ক্রিকেটার, মাথায় হাত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের

সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যা ধরেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিষয়টি পুরো নিজের হাতে দেখার দায়িত্ব নেন বাংলার মহারাজ। জানা গিয়েছে, বিবিসিআই প্রেসিডেন্ট নিজে ইস্টবেঙ্গললের আইএসএলে খেলার জন্য নীতা আম্বানি ও আকাশ আম্বানির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন সৌরভ। তাদের বোঝান যে আইএসএলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে ইস্টবেঙ্গলের প্রয়োজন কতটা। পাাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে  এফএসডিএল কর্তাদের যে তিক্ততা রয়েছে তা সমাধানের দায়িত্বও নেন সৌরভ। সবশেষে সৌরভের কথাতেই নাকি ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে নিতে রাজি হয় এফএসডিএল।

আরও পড়ুনঃবাথরুম বদলে দেবে ভাগ্য, জানুন গব্বরের আজব অন্ধবিশ্বাস সম্পর্কে

ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতা হিসেবে এই ভূমিকা নিয়ে নিজে অবশ্য কিছুই বলেননি সৌরভ। আইএসএল খেলা পাকা হয়ে যেতেই ইস্টবেঙ্গলকে শুভেচ্ছা বার্তায় জানিয়েছেন,'ইস্টবেঙ্গল বড় ক্লাব, তারা আইএসএল খেলতই। আমি শুধু ওদের দিকনির্দেশ করেছি।'ইস্টবেঙ্গলের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সচিব কল্যাণ মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সক্রিয় অবদান ছাড়াও তাঁদের মানসিক সমর্থন জুগিয়েছেন আরও অনেকে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম দু'জন হলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই আলাদা করে ইস্টবেঙ্গল সচিব ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৌরভদের।

আরও পড়ুনঃজানুন ভারতীয় ক্রিকেটারদের 'ডান্সার' বউদের সম্পর্কে, যাদের নাচ দেখে 'বোল্ড আউট' সকলেই

শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের স্পনসরশিপ চুক্তির পিছনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সৌরভেরও হাত রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের আর এক শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও সৌরভের অবদানের কথা স্বীকার করে নেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দাদা সব সময় মানসিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। সৌরভ সবরকমভাবেই সাহায্য করেছেন। কঠিন সময়ে আমাদের পাশে থাকা ছাড়াও ক্রমাগত পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার।’ ফলে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার পেছনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা তো প্রশসার অতীত, একইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের প্রতীদ্বন্দ্বী ক্লাব এটিকে মোহনবাগানের বোর্ড অফ ডিরেক্টর হয়েও সৌরভ যে অবদান রাখলেন তাতে ফের প্রমাণিত হল তিনি বাংলার সত্যিই বাংলার 'দাদা'।