সংক্ষিপ্ত
- ইউরোতে জার্মানি বনাম ইংল্যান্ড মহারমণ
- ২-০ গোলে জার্মানিকে হারাল ইংল্যান্ড
- ম্যাচে গোল পেলেন স্টারলিং ও হ্যারি কেন
- শেষ আটে পৌছে গেল গ্যারেথ সাউথগেটের দল
এই জয় যুদ্ধ জয়ের থেকে কোনও কম কিছু নয়। ইউরো ২০২০-র শেষ ষোলোর খেলায় চির প্রতীদ্বন্দ্বী জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে গেল ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ সালে ইউরো সেমি ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে টাই ব্রেকার মিস করেছিলেন গ্যারেথ সাউথগেট। এই জয়ের ফলে ২৫ বছর পুরোনো ক্ষতে পড়ল প্রলেপ। ম্য়াচে ইংল্যান্ডের হয়ে গোল করেম রাহিম স্টারলিং ও হ্যারি কেন। অপরদিকে, এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই শেষ হল জার্মানির ইউরো অভিযান ও জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর ১৫ বছরের সফল কেরিয়ার।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনায় শুরু হয় খেলা। প্রথম থেকেই নিজেদের প্রেসিং ফুটবল খেলার চেষ্টা করে জার্মানি। অপরদিকে, মাঝ মাঠের দখল নিজেদের আয়ত্তে রেখে আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন ট্রিপিয়ের, ফিলিপস, রাইস, লুক শ-রা। যদিও ম্য়াচ শুরুর ৯ মিনিটেই গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল জার্মানি। গোরেৎজকাকে বক্সের ঠিক বাইরে ফাউল করে গোল রক্ষা করে। তারপর দুই দলই দু-একটি সুযোগ তৈরি করলেও, তা গোলে রূপ পায়নি। রাহিম স্টারলিংয়ের একটি শট অনবদ্যভাবে সেভ করেন ম্যানুয়েল নয়্যার। ম্য়াচের প্রথমার্ধের এক শেষ মুহূর্তে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন হ্যারি কেন। কিন্তু গোল করতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই খেলার রাশ পুরোপুরি ধরে নেয় ইংল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা। তেমন একটা ছন্দে দেখা যায়নি জার্মানিকে। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেয় রাহিম স্টারলিং। গোল হজম করার পর আক্রমণের জন্য ঝাপায় জার্মানরা। ম্যাচে সমতা পেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন থমাস মুলার। ইংল্যান্ড গোলরক্ষকে একা পেয়েও বল বাইরে মারেন অভিজ্ঞ জার্মান স্ট্রাইকার। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে খেলার ফল অন্যরকম হতে পারত। তারপরও আক্রমণ তৈরি করতে গিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে আরও একটি গোল হজম করতে হয় জোয়াকিম লোর দলকে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গোল করে দলের ব্যবধান ২-০ করেন হ্যারি কেন। এরপর আর ম্যাচে ফেরার আর কোনও সুযোগ ছিল না জার্মানির। শেষ বাঁশি বাজতেই উৎসব শুরু হয়ে যায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। ২-০ গোলে চির প্রতীদ্বন্দ্বী জার্মানিকে হারিয়ে ইউরো ২০২০-র শেষ আটে পৌছে গেল ব্রিটিশ লায়ন্সরা।