- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- Mahalaya- আর দিন কয়েক পরেই মহালয়া, জি-বাংলা সামনে নিয়ে এল 'নানা রূপে মহামায়া'-র লুক
Mahalaya- আর দিন কয়েক পরেই মহালয়া, জি-বাংলা সামনে নিয়ে এল 'নানা রূপে মহামায়া'-র লুক
মহালয়া মানেই পুজোর বোধন। আর সেই সঙ্গে বাঙালির পুজোর ফাইনাল পর্বের এন্ট্রি। অতিমারির সঙ্কট গত বছরের মহালয়ার উন্মাদনাকে এক্কেবারেই শুইয়ে দিয়েছিল। পুজোর আনন্দেও ছিল ওই কোনওমতে একটু ঠাকুর নাম আওড়ে নেওয়ার মতো। কিন্তু, অতিমারির সঙ্কটেও মানুষ আতঙ্ককে ভুলে এক হওয়ার উপায়টা শিখে নিয়েছে। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং, মাস্ক-স্যানিটাইজারের ব্যবহার মানুষকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি জুগিয়েছে। তাই মানুষ যখন মানসিকভাবে এখন অনেকবেশই সাহসী-তাহলে সেখানে পুজোর আনন্দ কে আটকায়। আর এই পুজোর আনন্দ ভোগের দরজাটা খুলে দেবে মহালয়া। সুতরাং, মহালয়ার দিনে জি-বাংলা-র নানা রূপে মহামায়ার- নারী শক্তিদের দিকে একবার না তাকালেই নয়- রইল গ্যালারি আপনাদের জন্য-
| Published : Sep 24 2021, 02:02 PM IST / Updated: Sep 24 2021, 03:52 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
পুরাণে কথিত রয়েছে উমা-র থেকে একাধিক নারী শক্তির উদ্ভব হয়েছে (The Origin of Goddess Uma)। আর এই সব নারীশক্তির মূল যে শক্তি তা হল আদিশক্তি (Adyashakti), যাকে হিন্দু শাস্ত্র (Hindu Shastra) মতে আদ্যাশক্তি বলা হয়। এই আদ্যাশক্তির রূপেই অভিনয় করছেন শুভশ্রী (Subhashree Ganguly)। জি বাংলা (Zee Bangla) কর্তৃপক্ষ সেই আদ্যাশক্তির রূপের একটা রূপ প্রকাশ করেছেন।
শুভশ্রী-র (Subhashree Ganguly) আরও একটি রূপও প্রকাশ করেছে জি-বাংলা (Zee-Bangla) কর্তৃপক্ষ। আর সেটা হল মহিষাসুরমর্দিনী (Mahishasura Mardini)। লাল গারদে সাক্ষাৎ মা-প্রতিমার মতো রূপ নিয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছে শুভশ্রীর লুক। জি-বাংলা কর্তৃপক্ষ এবার তাদের মহালয়া অনুষ্ঠানের নাম রেখেছেন নানা রূপে মহামায়া বলে। যা মহালয়ার দিন সকালে জি-বাংলার পর্দায় এবং জি-৫ অ্যাপ-এ (Zee-5 App) দেখা যাবে।
মহালয়া মানেই পুজোর বোধন। আর সেই সঙ্গে বাঙালির পুজোর ফাইনাল পর্বের এন্ট্রি। অতিমারির সঙ্কট গত বছরের মহালয়ার উন্মাদনাকে এক্কেবারেই শুইয়ে দিয়েছিল। পুজোর আনন্দেও ছিল ওই কোনওমতে একটু ঠাকুর নাম আওড়ে নেওয়ার মতো।
পুরাণ-এ দেবীর যে রূপের কথা বলা রয়েছে, তাতে ছিন্নমস্তা (Goddess Chinnamasta) একটি অন্যতম রূপ। এই দেবীর আরাধনা করলে সংসারে শান্তি ও শ্রী আসে। ফসল বৃদ্ধি হয় এবং বাণিজ্যেও সাফল্য আসে। এই দেবী রক্তবর্ণ মুক্তকেশী- ভয়ঙ্কর রূপ তাঁর।
পুরাণ মতে মহাদেবের ভষ্ম থেকে তৈরি হয়েছিল ঘোরাসুর। এই অসুর এবং দলের অত্যাচারে যখন দেবলোকে ত্রাহি রব তখন আবির্ভাব হয় মা-কালী। যিনি পার্বতীর একটি রূপ। দেবী এই রূপ অতি ভয়ঙ্কর। তিনি শ্যামবর্ণা এবং মুক্তকেশী। মুণ্ডমালা গলায় পরা। দেবী-র পা-এ অবস্থিত মহাদেব।
পুরাণে বর্ণিত রয়েছে যে বন্ধাসুর এবং তার ছেলেদের বধ করতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ললিতা ত্রিপুরাসুন্দরী। এই দেবীর রূপ অতি মুগ্ধকর এবং তিনি সর্বালঙ্কাভূষিতা। কথিত রয়েছে দেবী ললিতা ত্রিপুরাসুন্দরীর আরাধনায় শত্রুর বশ হয় এবং সংসারে শান্তি আসে।
বালা ত্রিপুরাসুন্দরী দেবী ললিতা ত্রিপুরাসুন্দরীর কুমারী রূপ। এখানে ত্রিপুরাসুন্দরীর দুই রূপের কথা বলা হয়েছে। বালা ত্রিপুরাসুন্দরীর চরিত্রে অভিনয় করছেন মিঠাই সিরিয়ালের পার্শ্বচরিত্র নিপা-র অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা।
চণ্ডীমঙ্গলে দেবী-র এই রূপের উল্লেখ পাওয়া যায়। জি-বাংলা-র নানা রূপে মহামায়া-তে দেবীর সঙ্গে বণিক ধনপতি এবং তাঁর পুত্র শ্রীমন্ত-র লীলখেলা-কে তুলে ধরা হয়েছে। দেবী কমলে কামিনী চতুর্ভূজা । পদ্মফুলের উপর তিনি অধিষ্ঠান করেন। কথিত রয়েছে দেবীর এই রূপ প্রাণীজগতের এবং বনভূমি বা গাছেদের জন্য রক্ষাকারিনীর।
চামুণ্ডা হলেন আদ্যাশক্তি ভগবতী। তিনি সপ্ত মাতৃকার অন্যতম। তাঁর অপরন নাম চামুণ্ডী, চামুণ্ডেশ্বরী ও চর্চিকা। দেবী দুর্গাতন্ত্রে উল্লিখিত চৌষট্টি বা চুরাশি জন সহচরী বা যোগিনীর অন্যতম হলেন চামুণ্ডা। আবার তিনিই হলেন ভগবতী দুর্গা।
পুরাণে কথিত রয়েছে যে পার্বতী হলেন মহাদেব শিব-এর স্ত্রী। তিনি একজন আদি পরাশক্তি। অন্যান্য দেবীরা তাঁর অংশ থেকে জাত অথবা তাঁর অবতার। তাঁকে বিভিন্ন রূপে পূজো করা হয়। আর সেই কারণে তাঁকে হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ দেবী রূপা পূজা করা হয়। পার্বতী আদি পরাশক্তি সর্বোচ্চ দেবী মহামায়া।
পুরাণে কথিত রয়েছে শুম্ভ-নিশুম্ভ এবং রক্তবীজে-র মতো অসুরদের বধ করতেই আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী কৌশিকী। এই দেবীর রূপ ব্রহ্মরূপিনী এবং শুভ্রবর্ণা। তিনি অষ্টভূজা। দেবী প্রসন্নতা লাভ করলে পরম জ্ঞানের অধিকারী হওয়া যায় বলে কথিত রয়েছে।