- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- লকডাউন শেষ হতে ফ্যাশনের জলবা, টেলি অভিনেত্রীদের শিখে নিন সাজগোজের পাঁচকাহন
লকডাউন শেষ হতে ফ্যাশনের জলবা, টেলি অভিনেত্রীদের শিখে নিন সাজগোজের পাঁচকাহন
লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে চলেছে ক্রমশ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যার জেরে মানুষের মধ্যে আতঙ্কও করোনা ভাইরাসের থেকে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এই আতঙ্ক কাটাতে সকলের সহায় এখন স্মার্টফোন। আগে দিনে ১০ ঘন্টা ব্যবহার করলে, এখন স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ১৪-১৫ ঘন্টা। সিরিজ, সিনেমা, পিডিএফ-এ বই পড়া এসবই লেগে রয়েছে। এরই মধ্যে অসংখ্য মহিলাদের উৎসাহ ফ্যাশন এবং সাজগোজ নিয়ে। লকডাউন শেষ হলেই বাইরে বেরনো, আশপাশে ঘুরতে যাওয়া, পার্টি করা। এসবের জন্য কোন ফ্যাশন কিরকম ট্রেন্ডে রয়েছে তা জানা খুব প্রয়োজনীয়। আর ফ্যাশন মানে কমফার্টের সঙ্গে কোনও ছেলেখেলা নয়। তাই বাংলা টেলিভিশন অভিনেত্রীদের থেকেই পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ ফ্যাশন টিপস।
- FB
- TW
- Linkdin
দিতিপ্রিয়া রায়ঃ বয়স নেহাতই কম। স্কুলে গণ্ডি পেরিয়ে কলেজের পথে রাণী রাসমণি। তার থেকে ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে সামারের নিট অ্যান্ড ক্লিন ফ্যাশন। গরমের মধ্যে কোনটা সঠিক ফ্যাশন, ওয়েস্টান এবং ইন্ডিয়ান দুই লুকের নমুনাই রয়েছে তার কাছে।
প্রিন্টেড লুজ প্যান্ট তার সঙ্গে হালকা টিশার্ট। গরমের সময় এর চেয়ে ভাল ফ্যাশন আর হয় না। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান লুকের জন্য আনারকলি তো রয়েছেই। দুটো লুকের একটা কমোন ফ্যাক্টর হল ব্রেড করা চুলের ভিন্ন স্টাইল। দুটি লুকই যেকোনও বয়সের সঙ্গে মানানসই।
মনামি ঘোষঃ ফ্যাশনের কথা উঠবে আর সেখানে মনামির প্রসঙ্গ উঠবে না তা কি হয়। লকডাউনে বিভিন্ন ভাবে বিনোদনের একরকম ক্লাসই খুলে ফেলেছেন মনামি। সেখানে রয়েছে ফ্যাশন ক্লাসও। সাদা ঘাঘরা চোলি যেকোনও বিয়েবাড়ির সকালের অনুষ্ঠানের জন্য পারফেক্ট।
যারা বেশি যাঁকজমক সাজ পছন্দ করেন না তাদের কাছে মনামির এই লুক বেশ পছন্দের। অন্যদিকে পার্টি অবতারে ক্রপ টিউব এবং লং স্কার্ট। হাউজ পার্টি, রুফ পার্টিতে অনায়াসে এই পোশাকের সঙ্গে মনামির মত হালকা অ্যাকসেসরির ব্যবহারও করতে পারেন।
ঐন্দ্রিলা সেনঃ ঐন্দ্রিলার ফ্যাশন একেবারে সাধারণ। তিনি একেবারে ঘরোয়া লুক থেকে লাইট সামার লুক ফ্লন্ট করেছেন ঐন্দ্রিলা। একেবারে নো মেক আপ লুকেও রয়েছে ফ্যাশনের ছোঁয়া। বাড়ির টিশার্ট এবং রেগুলার জিনস ক্যাজুয়াল ওয়্যারের জন্য বেস্ট।
অন্যদিকে কোথাও কোনও বন্ধুদের পার্টি থাকলে হট প্যান্ট এবং ফ্লোরাল হাই-লো টপও সেরা। ফ্লোরাল কখনই সামার ফ্যাশনের বাইরে যায় না। হালকা রঙের উপর ফ্লোরাল প্রিন্ট বেছে নেওয়াই আসল ফ্যাশন।
উষসী রায়ঃ নেক্সট ডোর গার্ল থেকে একেবারে মেটালিক চিক। দুই ধরণের লুকই আপনাদের কাজে লাগবে লকডাউনের পর। ক্যাজুয়্যাল কিমোনো ড্রেস কেবল সমুদ্রে নয়, পরতে পারেন বন্ধু বান্ধবদের হাউজ পার্টিতেও।
অন্যদিকে রাতে ক্লাব এবং কোনও রেস্তোরাঁয়ে বড় সড় অনুষ্ঠানে এমন মেটালিক ড্রেস একেবারে আদর্শ। তার সঙ্গে মেকআপেও মেটালিক টাচ। তবে চড়া মেকআপ না করাই ভাল।
মিশমি দাসঃ ফ্যাশন দুনিয়ার মেয়ে মিশমি। রানওয়ে কাঁপানো থেকে বিউটি প্যাজেন্টের বিকিনি শ্যুটে নিজের দাপট রাখা। সবেতেই পারদর্শী মিশমি।
বাড়িতে হোক বা বাইরে, রেস্তোরাঁয়ে হোক বা নাইটক্লাব। মিশমির এই বডিকন ড্রেস সব জায়গায় খাপ খাওয়ার মত। কমফার্টও রয়েছে সম্পূর্ণরূপে।
তৃণা সাহাঃ তৃণার ফ্যাশন সেন্স আপনার সব জায়গায় কাছে লাগবে। ঘরোয়া পারিবারিক অনুষ্ঠাব থেকে শুরু করে ক্যাফেতে বসে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা।
ক্যাজুয়্যাল টিশার্ট জিনস এবং শাড়ির ভিন্ন লুক। জিনস আর টপ আপনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী পরতে পারেন। কিন্তু তৃণার এই ভিন্ন স্টাইলে পরা শাড়ি একবার ফলো করে দেখতেই পারেন।