- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই ফ্রেমে অভিনয়, সারা জীবনের সঞ্চয়, প্রাণ খোলা আড্ডায় সামন্তক
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই ফ্রেমে অভিনয়, সারা জীবনের সঞ্চয়, প্রাণ খোলা আড্ডায় সামন্তক
ছোটপর্দা হোক বা বিগ স্ক্রিন, সামন্তক দ্যুতি মৈত্র এক পরিচিত নাম, পরিচিত মুখ। বাংলার দর্শকের ড্রইং রুমেই যাঁর বেড়ে ওঠা। ধীরে ধীরে বড় পর্দায় পা রাখছে সামন্তক। ১০ বছরের অভিনয় সফর, ভবিষ্যতে নিজেকে কোন পদে দেখতে চায় সামন্তক, সেট-পড়াশুনা দুইয়ের মাঝে ব্যালেন্স-ই বা করছে কীভাবে, মন খুলে আড্ডা দিল সকলের প্রিয় অভিনেতা সামন্তক...
| Dec 24 2020, 02:15 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
)
প্রাণ খোলা হাসি যেন সব সময় ঠোঁটে লেগে আছে। প্রশ্ন করতেই ছোট্ট সামন্তকের উত্ত- আমি খুব ভালো আছি।
Subscribe to get breaking news alerts
প্রথমা কাদম্বিনী তো করছি, পাশাপাশি ছবির কাজ চলছে। মার্চ মাসে রিলিজ। দুটোই একসঙ্গে করতে হচ্ছে। এখন প্রথমা কাদম্বিনীর ট্র্যাক পাল্টেছে, তাই কাজের চাপ একটু বেড়েছে। সপ্তাহে চার পাঁচ দিন তো শ্যুট থেকেই যায়।
চলছে একই সঙ্গে। এবার ক্লাস এইট। পড়ার চাপ তো বাড়বেই। পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসও থাকে। মা সেটে বই সঙ্গেই রাখেন। বাড়িতেও পড়া হয়, কাজের ফাঁকে শ্যুটিং সেট হোক বা লং জার্নি মাঝে মধ্যেই ঝালিয়ে নিতে হয় পাঠ্য বই আগা পাঁচতলা।
ক্লাস শুরু জানুয়ারী মাসে। তার আগে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং নেই কারণ পরের যে ছবিটা করছি, তাতে একটা বড় আউটডর শ্যুট আছে। সেই কারণেই আপাতত ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি কোভিডের জন্যও মা-বাবা বাইরে যেতে দিতে চাইছে না।
শ্যুটিং-এ সেভাবে সমস্যা হচ্ছে না। আমি আমাদের বাড়ির গাড়িতেই যাতায়াত করছি। মা বাড়ির খাবার বানিয়ে নিয়ে যান। তাই খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। তবে মাস্ক পরে থাকা আর স্যানিটাইজেশনটা তো করতেই হচ্ছে।
বরুণবাবুর বন্ধু-র সেটে দাদু নাতীর সম্পর্ক। তুমি যেভাবে বললে, সেভাবেই সকলে জানতে চায় ভয় করেছিল, কঠিন লেগেছিল! না, কোনোটাই হয়নি। কারণ দাদু খুব সহজ করে তুলতেন বিষয়টা। বুঝিয়ে দিতেন বুঝতে সমস্যা হলে। আমার সত্যি বলতে তেমন কোনও সমস্যাই হয়নি। আমি অনেক কিছু শিখেছি। অভিনয়টা অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে।
দশ বছর হল ক্যামেরার সামনে কাজ করছি। শিখেছি অনেককিছু। অনেক কিছু শেখার বাকি রয়েছে। আপাতত যা শিখেছি তা দিয়ে কাজটা মন থেকে করার চেষ্টা করি, যেখানে সমস্যা হয় কথা বলি, আমাকে খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ভুল তো এখনও হয়, হবেও, তবে অভিনয়টা আমার ভাল লাগে।
না সেভাবে সেটে কিছু পার্থক্য বুঝতে পারিনি। তবে সৌমিত্র দাদুর থেকে যা শিখেছি তা তো আর পাওয়ার নয়। সকলের সঙ্গে কাজ করেই আমার ভীষণ ভালো লাগে। সবার থেকে কিছু না কিছু শেখার আছে।
নিঃসন্দেহে অভিনয় থাকবে আমার সঙ্গে। বড় পর্দাতেও থাকব আমি। তবে আমি হতে চাই পুলিশ বা গোয়েন্দ। অভিনয় ছাড়ব না, তবে আমার স্বপ্ন এই দুই কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।
এখন যেভাবে চেষ্টা করছি করব। একান্ত যদি না হয় তখন একটা দিকই কিছুদিনের জন্য বেছে নিতে হবে। যদিও এখন এসব নিয়ে ভাবিনি কিছু, তখনকার কথা তখনই ভেবে দেখব।
সত্যি বলতে আগে সেভাবে নজর দেওয়া হত না। তবে এখন দিয়ে থাকি। কিছুদিন হল বাবা আমায় নিয়ে রোজ সকালে মাঠে যান। সেখানেই শরীরচর্চা করি। তবে খাওয়াটা এখনও খুব একটা বেঁধে রাখিনি। ব্যায়াম করছি, স্কিপিং করছি, ঘড়ি ধরে হাঁটছি।
না, দুজনেই সব সময় আমার পাশে থেকেছেন। একই সঙ্গে সেটে যাওয়া, আমার সিডিউল দেখে দেওয়া সবটাই তো তাঁরাই করেন। মা-বাবার সাপোর্ট না থাকলে এভাবে কাজ করে যাওয়া, হয় কখনও, বিশেষ করে এই অতিমারীর সময়, তাঁরা যেভাবে দেখে দেখে রাখে আমায় সেটে, মাঝে মধ্যে বকা খেতে হয় ঠিকই। কিন্তু আমি ভাষায় বোঝাতে পারবো না, মা-বাবা কীভাবে আমার পাশে রয়েছেন।