- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- মগনলাল-মন্দার-আচার্য মশাই, দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে আজ বিরাজমান সত্যজিতের 'দুষ্টু লোক'
মগনলাল-মন্দার-আচার্য মশাই, দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে আজ বিরাজমান সত্যজিতের 'দুষ্টু লোক'
ভিলেন বলতে একাধিক সিনেপ্রেমীরা যা বোঝে তা কিন্তু সত্যজিৎ রায়ের জগতে কখনই ছিল না। ধুন্ধুমার মারপিটের দৃশ্য নয়, তবে রয়েছে খুনোখুনি। হিংস্রতায় ভরা দৃশ্য নয়, তবে প্রাণনাশের হুমকি আছে। 'দুষ্টু লোক'র ভিন্ন এক চেহারা দেখে এসেছি আমরা সত্যজিতের নিজস্ব পর্দায়। সে যেন এক আলাদা জগৎ। যেখানে ভিলেনদের দেখলেও যেন এক অদ্ভুত পৃথিবী। হেট্রেড শব্দটা যেন কাজ করে না সেই সব ভিলেনদের ক্ষেত্রে। ঠিক যেন শার্লক হোমসের প্রফেসর মরিয়ার্টি। যার বুদ্ধিতে হতবাক হয়েছে প্রত্যেক পাঠকরা। তেমনই সত্যজিতের ভিলেনরাও দর্শকের মনে কোথাও যেন একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
হীরক রাজাঃ "ওরা যত বেশি পরে, তত বেশি জানে, তত কম মানে", এই বলে পাঠশালা বন্ধ করে দিয়েছিলেন হীরক রাজা। দুর্নীতির আরেক নাম হল হীরক রাজা।
মগজ ধোলাইকে হাতিয়ার করে গোটা হীরক রাজ্যের অবসানের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন হীরক রাজা। তবে সে ভয় পেত শিক্ষাকে। সে জানত তাঁকে একমাত্র শিক্ষাই হারাতে পারবে।
হাল্লা রাজাঃ সুন্ডীর রাজা এবং হাল্লার রাজা। ভাইকে সরিয়ে সিংহাসন হরপ করার ষড়যন্ত্র। অত্যন্ত অত্যাচারিত রাজা হিসেবে পরিচিত এই হাল্লার রাজা।
অপরদিকে সুন্ডীর রাজা নিজের প্রজাদের ভাল-মন্দ নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। অবশেষে বরফির সাহায্যে গুপি-বাঘা মাত দিল হাল্লার রাজাকে।
মন্দার বোসঃ সোনার কেল্লার মুকুলের কাছে 'দুষ্টু লোক' বলতে একজনই , মন্দার বোস। যার কুবুদ্ধি, ষড়যন্ত্র দেখলে হারহিম হবে যে কারও।
ফেলুদার ঘরে কাকড়াবিছে ছেড়ে দিয়ে তাকে মারার চেষ্টা। ডাক্তার হেমাঙ্গ হাজরাকে প্রাণে মারার চেষ্টা। মুকুলকে জাতিস্বর ভেবে সোনার কেল্লার গুপ্তধন উদ্ধার করার লোভে মন্দার বোস ধারণ করে সাংঘাতিক রূপ।
মগনলাল মেগরাজঃ 'জয় বাবা ফেলুনাথ'র মগনলাল অনেকটা সাইকোপ্যাথের মত। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন মানুষের বাড়িতে ডাকাতি করার কথা। খুনের কথা।
যদিও খুনের দায় একেবারেই নেই মগনলালের। তাঁর বিশিষ্ট সাগরেদের দল রয়েছে এসব করার জন্য। তাই ফেলু মিত্তির হোক বা শশিবাবু, কাউকে মারতেই দ্বিধাবোধ নেই তাঁর।
ব্রহ্মানন্দ আচার্যঃ 'গুপি বাঘা ফিরে এল'র এই চরিত্রটি যেন সকলের কাছে একটু অন্যরকম ভাবে ছাপ ফেলেছিল। বুদ্ধিদিপ্ত দুই চোখ, অত্যন্ত ভদ্র ব্যবহার। সেই ব্রহ্মানন্দ আচার্য বিক্রম নামক ১৪ বছর বালককে শেষ করে ফেলতে পারেন।
অবশেষে সফল হননি। বিক্রমের নিষ্পাপ চোখই ধ্বংশ করেছিল তাঁকে। গুপির গলায় 'ওরে শয়তান, তোর শয়তানির আজ হল অবসান'-এই মাটিতে মিশিয়ে গেল ব্রহ্মানন্দ আচার্য।