হলিউডে বর্ণবিদ্বেষের ভয়, এই কারণেই কি স্কিন লাইটেনিংয়ের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ঐশ্বর্য

মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্মদিনে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, পেশাগত জীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে সেটাই স্বাভাবিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় উঠেছে জন্মদিনের শুভেচ্ছায়। পঞ্চাশের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছেন বিশ্বসুন্দরী। অথচ নিজেকে আজও প্রায় একই রকম ধরে রেখেছেন ঐশ্বর্য। তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা জুড়ে চলছে একের পর এক বার্থডে পোস্ট। তবে ঐশ্বর্য নিজেকে এমন যৌবনের বেড়াজালে ধরে রেখেছেন কীকরে। প্রশ্ন অনেকের। তবে উত্তরও দিয়েছে একাধিক নিন্দুকেরা। 

প্লাস্টিক সার্জারি, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট, স্কিন লাইটেনিংই নাকি এর উত্তর। এরই সাহায্যে ঐশ্বর্য নিজের যৌবন এবং রূপ ধরে রেখেছেন।

ঐশ্বর্যের প্লাস্টিক সার্জারি অবশ্য বলিউডের ওপেন সিক্রেটের মত। তাঁর মুখের মধ্যে বহু পার্থক্য পাওয়া গিয়েছে বছর বছর ধরে। 

একাধিক সিনেপ্রেমীদের কথায়, তিনি নাক ও ঠোঁটের সার্জারি করিয়েছিলেন বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জেতার পর। 

তারপরই তাঁর বলিউডে পদার্পণ। বলিউডে কাজ করতে করতেও নাকি বহুবার সার্জারির সাহায্য নিয়েছেন। 

কখনও বয়স কমানোর জন্য স্কিন টাইটেনিং সার্জারি তো কখনও মুখ থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট ঝড়ানোর ট্রিটমেন্ট। 

এমনকি বলিউড থেকে তিনি যখন হলিউডে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, সেই সময় তিনি রীতিমত নিজের গায়ের রঙ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। 

নিন্দুকদের কথায়, হলিউডে বর্ণবিদ্বেষের ভয় গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ থেকে ফর্সা করিয়েছিলেন রাই সুন্দরী। 

যদিও প্লাস্টিক সার্জারি, স্কিন লাইটেনিং, এ সমস্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নন ঐশ্বর্য। তিনি নিজের সৌন্দর্য নিয়ে একাধিক সাক্ষাৎকারে কথা বললেও প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে কোনও কথপোকথনে যেতে চান না।