'আর যাই হোক বাবার মত জীবনসঙ্গী চাই না', বিস্ফোরক আলিয়া
- FB
- TW
- Linkdin
মুকেশ ভাট সম্প্রতি জানিয়েছেন, যে তিনি এবং মহেশ জানতেন সুশান্ত এমন কাজ করতে চলেছেন। প্রথম দেখাতেই, সুশান্তের কথা শুনেই তাঁর এবং মহেশ ভাটের মনে হয়েছিল সুশান্তের মধ্যে কোনও সমস্যা আছে। কথা বললেও তিনি নিজের মধ্যে নেই।
মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার কি এমন সম্পর্ক ছিল যে প্রেমিকের দুরাবস্থায় তাঁকে একা ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন মহেশ ভাটের কথায়। মহেশ ভাট এবং রিয়াকে এই নিয়ে ট্রোল করে চলেছে নেটদুনিয়া।
মহেশ ভাটের চরিত্র নিয়ে নানা লোক নানা কথা বপলে থাকেন। সম্প্রতি পায়েল রোহাতগিও মহেশ ভাটের চরিত্র সম্বন্ধে বলেছেন, "নিজের মেয়ের সঙ্গে চুম্বনরত হতে যিনি দ্বিধাবোধ করেন না তাঁর থেকে আর কী বা আশা করা যায়।"
এরই মধ্যে আলিয়া ভাটের একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের কথা বেশ মনে পড়ে। যেখানে তিনি বলেছিলেন, জীবনে আর যাই হোক বাবা মহেশ ভাটের মত জীবনসঙ্গী পেতে চান না তিনি।
তবে কি সকলে যে অভিযোগ আনছেন তা কি সত্যি। সাধারণত অধিকাংশ মেয়ের কাছেই জীবনসঙ্গীর উদাহরণস্বরূপ বাবার চিত্রই ভেসে আসে। বাবার মত জীবনসঙ্গী পেতে চায় অনেকেই।
সেখানে তিনি সরাসরি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি বাবার মত জীবনসঙ্গী চান না। অনুপম খেরে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন আলিয়া।
সেই সময় তিনি সবেমাত্র বলিউডে পদার্পণ করেছেন। অনুপম খের তাঁকে প্রশ্ন করেন, সকল মেয়েদেরই ইচ্ছে থাকে বাবার মত জীবনসঙ্গী পাওয়ার, আলিয়ার ইচ্ছে কী।
আলিয়া সরাসরি উত্তর দেন, বাবার মত জীবনসঙ্গী নয়, নিজের মত কাউকেই চান। তারপরই খানিক স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বাবার নাম সুশান্তের মৃত্যু মামলায় উঠে আসতে আলিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নিজের ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট সেকশনের অপশনটি বন্ধ করে রেখেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মহেশ ভাটের ঘনিষ্ঠ মহলের একজন লেখিকা সুরিতা সেনগুপ্ত, রিয়া-সুশান্তের সম্পর্ক এবং সুশান্তের মানসিক অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন সম্প্রতি। তাঁর কথায়, সুশান্তকে নানা রকম আওয়াজ শুনতে পেতেন, বারবার বলতেন, কারা নাকি তাঁকে মারতে চায়।
এমনকি রিয়ার সামনেও এভাবে রিয়্যাক্ট করেছেন বহুবার। একদিন সুশান্তের বাড়িতে রিয়া এবং সুশান্ত বসে অনুরাগ কাশ্যপের একটি ছবি দেখছিলেন। সেই সময় হঠাৎ সুশান্ত বলে ওঠেন, "আমি অনুরাগকে একটি ছবির জন্য নাকোচ করেছিলাম। ও আমায় মেরে ফেলবে।"
কথাটি শুনেই রিয়া হতবাক। কীভাবে রিয়্যাক্ট করবেন বুঝতে পারেননি। সুশান্তের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেননি তিনি। বরং তাঁর বাড়ি থেকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে আসেন।
যদিও সুরিতার কথায়, রিয়া একাধিকবার সুশান্তকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন, তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করেন। সুশান্তই নাকি তাঁকে দূরে ঠেলে দেন। তিনি জানান, মহেশ ভাটই রিয়াকে সুশান্তকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। কারণ সুশান্তের মানসিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। যা রীতিমত ভয় পাইয়ে দিয়েছিল রিয়াকে।