- Home
- Entertainment
- Bollywood
- 'শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এখনই যেতে হবে হাসপাতালে', গান শুনে কেন এমনটা ভেবেছিলেন আশা ভোঁসলের ড্রাইভার
'শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এখনই যেতে হবে হাসপাতালে', গান শুনে কেন এমনটা ভেবেছিলেন আশা ভোঁসলের ড্রাইভার
- FB
- TW
- Linkdin
৮৮-তে পা দিলেন বলিউডের তথা বিশ্বের কিংবদন্তী গায়িকা আশা ভোঁসলে । একটানা প্রায় ৬ দশক ধরে সিনেমা তথা অ্যালবামে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন আশা ভোঁসলে।
তার সুরেলা কন্ঠস্বরের জাঁদুতে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। ১৯৪৩ সালে কর্মজীবন শুরু করেন আশা ভোঁসলে। তারপর থেকেই শুরু হয় পথচলা।
দীর্ঘ এত বছরেও তার গলার জাঁদুতে মজে আট থেকে অষ্টাদশী। ২০১১ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এও নাম ওঠে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার জন্য।
দেশ থেকে বিদেশে তাঁর অনুরাগীদের সংখ্যাও আকাশছোঁয়া। এই বয়সে দাঁড়িয়ে আইটেম নম্বর-এ নিউকামারদের বলে বলে গোল দিতে পারেন আশা ভোঁসলে।
তার অজস্র গানের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত কিছু গান, যা শুনেই হাত-পা দুলে ওঠে। যেমন- 'পিয়া তু অব তো আজা', 'দম মারো দাম', 'ঝুমকা গিরা রে', 'আও না গলে লগাও না'- ভক্তদের মন জুঁড়ে রয়েছে।
২০০৮ সালে 'পদ্মবিভূষণ' সম্মানে ভূষিত হন আশা ভোঁসলে। এছাড়াও একাধিক পুরস্কারও রয়েছে আশা-জির ঝুলিতে। তার এই মধুর কণ্ঠ দিয়ে কয়েক দশক ধরে ভক্তদের মুগ্ধ করে চলেছেন আশা ভোঁসলে।
ইন্ডিয়ান আইডল ১২ -এর বিচারক হিসেবে তখন ছিলেন আশা ভোঁসলে । রিয়্যালিটি শো-তেই একটি আকর্ষণীয় ঘটনা প্রকাশ করেছিলেন আশাজি যখন প্রতিযোগী নিহাল তাওরো আজা আজা ম্যায় হ্যুন পেয়ার তেরা গেয়েছিলেন।
আশা ভোঁসলে জানিয়েছেন, এই গানটি গাওয়া তার জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। যখন তিনি শোনোন, আর ডি বর্মনের 'ও আজা, আহা আহা' অংশটি শুনেছেন, তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি এটি করতে কখনওই সক্ষম হবেন না। আশা ভোঁসলে জানান, যে তিনি তাকে জানিয়েছিলেন যে চার-পাঁচ দিন পরে গানটি গাওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপরই গানটির রেওয়াজ শুরু করেন আশা।
আশা ভোঁসলে আরও বলেন, একদিন গাড়ির মধ্যে বসেই গানটির রেওয়াজ জোরকদমে শুরু করেন । আর তখনই গাড়ির ড্রাইভার চিন্তিত হয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি হাসপাতালে যেতে চান কিনা কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে আশাজি শ্বাস নিতে হাঁফাচ্ছেন।
আর এই মুহূর্তটা এতটাই হাস্যকর ছিল যে তিনি কোনওদিনই সেটা ভুলতে পারবেন না। এবং এই গানটিই পরবর্তীকালে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্র্যাকগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হয়ে ওঠে।