- Home
- Entertainment
- Bollywood
- "দেশের সেবায় নিজেকে হিরো ভেবে নয় ভালবেসে এগোতে হয়", গুঞ্জন সাক্সেনা নিয়ে জাহ্নবীর মন্তব্য
"দেশের সেবায় নিজেকে হিরো ভেবে নয় ভালবেসে এগোতে হয়", গুঞ্জন সাক্সেনা নিয়ে জাহ্নবীর মন্তব্য
- FB
- TW
- Linkdin
প্রথমবার গুঞ্জন সাক্সেনার সঙ্গে দেখা করে জাহ্নবী বুঝতেই পারেননি তিনি প্রথম লেফ্টানেন্টকে দেখছেন নাকি একাবের সাদামাটা একজন মহিলাকে। সেই সাদামাটার মধ্যেই লুকিয়ে এক অসাধারণ হিরো।
আর পাঁচজন মানুষের মতই কথা বলার ধরণ তাঁর, অথচ সেই কথাতেই চাপা পড়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ছকে বাঁধা মানবিকতাকে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে মাটিতে।
গুঞ্জন সাক্সেনার কথার মধ্যে জাহ্নবী খুঁজে পেয়েছিলেন সেই সাহস। নিজের ওয়েট ট্রেনিং, পরিশ্রমের মাঝেও তাঁকে সাহস জুগিয়েছিল সাক্সেনার কথাগুলি।
গুঞ্জন থেকে অফিসার সাক্সেনার যাত্রা কতটা কঠিন ছিল তা পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে গেলে প্রয়োজন পড়ত তাঁকে কাছ থেকে চেনা, তাঁকে দেখে এগোনো, আর সেই পথ ধরেই আজ ছবিটি সফল হয়।
জাহ্নবী জানান, "আমার মনে হয় যখন কেউ দেশের জন্য কাজ করতে যায়, সে এটা ভাবে না যে আমি হিরো হব। এটাই মাথায় থাকে যে দেশের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। আমি সেই কাজই করছি যা আমি ভালবাসি করতে।"
গুঞ্জন সাক্সেনার চরিত্রে নিজেকে ভেঙে গড়ে তৈরি করতে গিয়ে প্রথমেই জাহ্নবীকে প্রায় ৪ থেকে ৬ কেজি ওজন বাড়াতে হয়। এছাড়া ছিল ওয়েট ট্রেনিং।
অবস্টেকল কোর্স ট্রেনিং থেকে মার্চ পাস্ট ট্রেনিং ছিল তাঁর প্রস্তুতির মধ্যে। চপার চালানোর ট্রেনিং ছিল বেশ কঠিন। মন দিয়ে সেটাই আগে শিখতে হয় জাহ্নবীকে। এসএসপি ট্রেনিংয়ের অ্যাকাডেমিতেও চলতে থাকে তাঁর প্রশিক্ষণ।
ছবিটি জাহ্নবীর কেরিয়ারে দ্বিতীয় ছবি। একটি ছবির পরই গুঞ্জন সাক্সেনার বায়োপিকে কাজ করা একেবারেই সহজ ছিল না। তবুও পরিচালক শরণ শর্মা, সহ অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি, অঙ্গদ বেদির সহযোগিতায় তাঁর পক্ষে এই ছবিতে কাজ করাও সম্ভব হয়েছে।