- Home
- Entertainment
- Bollywood
- ইডি-র তলবে সিদ্ধার্থের হাজিরা, সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত থেকে পালাতে গিয়ে কি অসফল পিঠানি
ইডি-র তলবে সিদ্ধার্থের হাজিরা, সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত থেকে পালাতে গিয়ে কি অসফল পিঠানি
সুশান্ত সিং রাজপুতের কাছের বন্ধু ছিলেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটেই থাকতেন তাঁর সঙ্গে। সম্প্রতি নিজের সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন রিয়ার বুঝিয়ে দেওয়া ওষুধই তিনি সুশান্তকে নিত্যদিন খাওয়াতেন। সুশান্তের সঙ্গে এক বছর একি বাড়িতে থেকেও তিনি সাক্ষাৎকারে বারংবার বলে গিয়েছেন যে উনি সুশান্ত এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এই বক্তব্যের পর থেকেই তাঁর প্রতি সন্দেহ আরও গাঢ়় হয়েছে। নেটিজেনের কথায়, তিনি নিজের কথার জালে ফেঁসে গিয়েছেন। তিনিই সুশান্তের মৃত্যুর জন্য দায়ী কিংবা তিনি সুশান্তের মৃত্যুর কারণ জেনেও লুকিয়ে যাচ্ছে। এবার ইডি-র তলবে হাজিরা দিতে হল সিদ্ধার্থ পিঠানিকে।
- FB
- TW
- Linkdin
ইডি-র দরফতরের সামনে দেখা গেল সিদ্ধার্থকে। রিয়ার মতই তাঁকে দেখেও সংবাদমাধ্যমের উত্তেজনা কম কিছু ছিল না। তিনি এক মুহূর্তের জন্যও ক্যামেরায় না তাকিয়ে সোজা ঢুকে গেলেন বিল্ডিংয়ে।
এদিকে সকাল থেকেই চলছে রিয়া এবং তাঁর ভাইয়ের জেরা। তাঁদের সকালেই ইডি-র দফতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গেই কি চলবে সিদ্ধার্থের জেরা নাকি আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে, উঠছে প্রশ্ন।
সিদ্ধার্থকে ইডি সুশান্তের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে। নেটিজেনের দাবি, সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত থেকে পালাতে চেয়েছিলেন সিদ্ধার্থখ। অবশেষে সিবিআই কাছে তদন্তভার যেতেই অসফল হলেন তিনি। সম্প্রতি সুশান্তের জামাইবাবু ওপি সিংয়ের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের চ্যাট প্রকাশ্যে এনেছেন।
রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধার্থকেও এখন প্রশ্নবানে বিদ্ধ করছে নেটিজেনরা। তাই প্রকাশ্যে বেশ কিছু চ্যাটের স্ক্রিনশটকে পেশ করেছেন সিদ্ধার্থ। এসব চ্যাট সুশান্তের জামাই বাবু ওপি সিং এবং সিদ্ধার্থের মধ্যেকার। সুশান্তের সঙ্গে মাসের পর মাস তাঁর পরিবার যোগাযোগ করতে পারত না।
এমনই দাবি সিদ্ধার্থের। এবং সেই জন্যই সুশান্তের জামাই বাবু সিদ্ধার্থকে মেসেজ করতেন। সিদ্ধার্থের দাবি, সুশান্তের ব্যবহারে হতাশ ছিলেন তাঁর দিদি ও জামাই বাবু। সেই কারণে প্রয়োজনীয় মেসেজ সিদ্ধার্থকেই পাঠাতেন তাঁরা।
সিদ্ধার্থ যে স্ক্রিনশট পেশ করেছেন, তাতে লেখা রয়েছে, "আমার স্ত্রী (রীতু)কে নিজের সমস্যা থেকে দূরে রাখো। এর কারণ তুমি যে সংস্থা খুলেছ তার পরিচালনায় তোমার অদক্ষতা এবং অব্যবস্থা। আমি চাইনা আমার স্ত্রী এর জেরে কোনও সমস্যায় পরুক।"
সিদ্ধার্থের পেশ করা স্ক্রিনশট মেসেজ থেকে আরও জানা যাচ্ছে- "আমার স্ত্রীকে এর মধ্যে আর জড়িও না। ও তোমার সংস্থার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নয়। তোমার সংস্থার প্রতি তাঁর কোনও দায়বদ্ধতা নেই। ও ভাল মানুষ বলে ওকে শাস্তি দিও না।"
স্ক্রিনশট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, "আমি জেনে অত্যন্ত খুশি হলাম যে তুমি তোমার জীবন চালনা করো না। আমি সঠিক সময় এই পরিস্থিতিটি বুঝতে পেরেছি এবং সেভাবেই এগিয়েছি।" রিয়ার প্রসঙ্গও তাঁর পাঠানো মেসেজে টেনে এনেছিলেন সুশান্তের জামাই বাবু ওপি সিং।
তিনি মেসেজে লিখেছিলেন, "আমিই একমাত্র যে তোমায় সাহায্য করতে পারি। প্রয়োজনে, তোমার প্রেমিকা এবং তাঁর পরিবার, এবং ম্যানেজারকে নিয়ে যদি তুমি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চাও তাহলে আমার অফিসে বসে বিষয়টি মধ্যস্থতা করা যেতে পারে।"
সিদ্ধার্থের পেশ করা এই স্ক্রিনশটের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ এই স্ক্রিনশটগুলিতে বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে এলেও তার উত্তর মিলছে না। যেমন সুশান্তের সংস্থা নিয়ে কেন হতাশ ছিলেন জামাইবাবু ওপি সিং। কী সমস্যা হয়েছিল সুশান্তের সংস্থাতে।
সিদ্ধার্থের এই স্ক্রিনশটে উঠে আসছে আরও কিছু প্রশ্ন। যেমন, রিয়াকে নিয়ে সুশান্তের পরিবার যে খুব খুশি ছিল না তা জলের মত পরিষ্কার। তাহলে সুশান্ত কেন কোনও পদক্ষেপ নেননি। না তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আর সেই পদক্ষেপের সঙ্গেই কি জড়িয়ে গিয়েছে সুশান্তের চরম পরিণতি।