- Home
- Entertainment
- Bollywood
- সুশান্তকে হাই ডোজের ওষুধ খাওয়াতেন রিয়া, ঘরবন্দি করে তাঁর বাড়িতেই পার্টি করতেন নায়িকা সহ তাঁর পরিবার
সুশান্তকে হাই ডোজের ওষুধ খাওয়াতেন রিয়া, ঘরবন্দি করে তাঁর বাড়িতেই পার্টি করতেন নায়িকা সহ তাঁর পরিবার
রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এসেই চলেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের তরফ থেকে। প্রকাশ্যে এসেছে সুশান্তের ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট। জানা গিয়েছে, রিয়া চক্রবর্তীর পিছনে কমপক্ষে পনেরো কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এক বছরে। চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার হোটেল বিল। পঞ্চাশ হাজারের বেশি টাকার গিয়েছে হেয়ার স্টাইল এবং মেকাপের সামগ্রীর জন্য। এমনকি রয়েছে অভিনেত্রীর মা, বাবা এবং ভাইয়ের পিছনে খরচ বাবদ বিপুল পরিমাণে টাকা। এই সমস্ত অভিযোগের জেরে নাজেহাল হয়ে রিয়ার একটি ভিডিও এক অজ্ঞাত জায়গা থেকে ভাইরাল হয়। যেখানে রিয়া প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থায় বিচার চাইছেন দেশের আইন ব্যবস্থার কাছে থেকে।
- FB
- TW
- Linkdin
তিনি এর আগেও জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যে এবং তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। অন্যদিকে সম্প্রতি এই সমস্ত অভিযোগ সত্যি বলে দাবি করেছেন সুশান্ত দেহরক্ষী।
সুশান্তের বাড়িতে অযথা পার্টি এবং ফূর্তি করা, অতিরিক্ত টাকা খরচ করা, এই ধরনের নানা বিষয় নিয়ে খোলসা করলেন দেহরক্ষী। তিনি এও জানাম, পুরনো সকল কর্মীদের কাজ থেকে বের করে দিয়েছিলেন রিয়া।
তাদের বদলে নতুন কর্মী নিয়োগ করেন তিনি নিজেই। এবং সেই কর্মীরাও নাকি বাড়িতে হওয়া অতিরিক্ত মজলিসে হয়রান হয়ে যায়। সুশান্ত কেন সেই প্রতিটি পার্টিতে উপস্থিত থাকতেন না, সেই নিয়েও প্রশ্ন থাকত তাদের।
দিনভর ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতেন সুশান্ত। দেহরক্ষী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, রিয়া দেখাও করতে দেননি। বরং বলেছেন সুশান্ত অসুস্থ, এখন দেখা করতে পারবেন না।
একটি ইউরোপ ট্রিপের পর থেকেই সুস্থ সবল সুশান্ত হঠাৎ করে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাঁর এই শারীরিক দুর্বলতা পুরনো কর্মীদের চোখে লাগতে থাকে। দেহরক্ষীর কথায়, এমন ভাবে তিনি সুশান্তকে আগে কখনও দেখেননি।
রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে আসার পর থেকেই সুশান্তেরর ব্যবহারে বদল ঘটে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রিয়া যে ধরনের ওষধ এই দেহরক্ষীকে আনতে দিতেন সেই ওষুধগুলি অত্যন্ত হাই ডোজের ছিল।
ওষুধের দোকানে গেলেও দোকানের কর্মীরা জিজ্ঞেস করতেন এই ওষুধ কাকে দেওয়া হচ্ছে এবং কেন দেয়া হচ্ছে। এরকম হাই ডোজের ওষুধ সাধারণত কোনো সুস্থ মানুষকে দেওয়া হয় না।
দেহরক্ষীর আরও অভিযোগ বাড়িতে সর্বক্ষণ নিজের ঘরে থাকতে কোন পার্টিতে যোগদান করতেন না সুশান্ত। অন্যদিকে রিয়ার মা, বাবা এবং ভাই প্রায় সর্বক্ষণ আসতেন সুশান্তের বাড়িতে।
এছাড়া কোনোভাবেই সুশান্তের পরিবারের কোনও সদস্যই আসতেন না। বহু আগে সুশান্তের বড় দিদি প্রিয়ঙ্কা এসে থাকতেন। পরবর্তীতে তাঁর আসা-যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর কোনও পরিবারের সদস্যকে দেখা যায়নি।