- Home
- Entertainment
- Bollywood
- সঙ্গমের নেশায় আসক্ত বনি, শ্রীদেবীর শরীরের লোভেই কি সংসার-সন্তান ছেড়েছিলেন অর্জুনের বাবা ?
সঙ্গমের নেশায় আসক্ত বনি, শ্রীদেবীর শরীরের লোভেই কি সংসার-সন্তান ছেড়েছিলেন অর্জুনের বাবা ?
বলিউডের হাজার পুরুষের ড্রিম গার্ল হয়েও দুই সন্তানের বাবার গলায় শেষমেষ মালাটা পরিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বলিউডের চাঁদনি আজ বেঁচে না থাকলেও সবার মনে তিনি বেঁচে রয়েছেন। কেটে গিয়েছে অনেকগুলি বছর। আজও তাকে ভুলতে পারেননি দর্শককূল। শ্রী না থাকলেও শুধু পড়ে রয়েছে অমলিন স্মৃতি। অভিনেত্রীর মৃত্যুটা যেন বড্ডই আকস্মিক। বনির প্রথম স্ত্রী অর্থাৎ অর্জুন কাপুরের মা মোনা কাপুর যখন জানতে পেরেছিল তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গেছিল,সেই আক্ষেপ বরাবরই তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা কাপুরকে। বনিই বা কেন নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে শ্রীদেবীকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন, এই নিয়ে আজও বিস্তর জল্পনা রয়েছে। এমনকী নিজের মায়ের জায়গায় অর্জুনও কোনওদিন বসাতে পারেননি শ্রী-কে। বাবা বনি এবং মা মোনার বিবাহবিচ্ছেদের পর আজও নিজেকে সামলাতে পারেন না অর্জুন কাপুর। বলিউডের এত নায়ক থাকতে কেন তিনি বনিকে বেছে নিয়েছিলেন,তার পিছনে রয়েছে অনেক কারণ, যা জানলে চমকে যাবেন।
| Published : Apr 25 2022, 12:28 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
বলিউডের চাঁদনি শ্রীদেবী। বি-টাউনের এভারগ্রীণ অভিনেত্রীর প্রেমে হাজার পুরুষ হাবুডুবু খেলেও শেষমেষ পরিচালক তথা দুই সন্তানের বাবা বনি কাপুরের গলাতেই মালা দিয়েছিলেন তিনি।
এত নায়ক থাকতে কেন তিনি বনিকে বেছে নিয়েছিলেন। আর বনিই বা কেন নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে শ্রীদেবীকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন, এই নিয়ে আজও বিস্তর জল্পনা রয়েছে।
বলিউডের চাঁদনি শ্রীদেবীর প্রেমে পড়ার আগেই বিবাহিত ছিলেন বলি পরিচালক বনি কাপুর। তবে শুধু বিবাহিতই নন, দুই সন্তান অর্জুন কাপুর ও অনুষা কাপুরের বাবাও ছিলেন বনি। শ্রীদেবী পাওয়ার জন্য মোনা কাপুরকে ছেড়ে দিয়েছিলেন বনি। শুধু তাই নয়, দুই সন্তান সহ স্ত্রীকে ছেড়ে শ্রী এর সঙ্গে ঘর শুরু করেছিলেন বনি কাপুর।
নিজের মায়ের জায়গায় অর্জুনও কোনওদিন বসাতে পারেননি শ্রী-কে। বাবা বনি এবং মা মোনার বিবাহবিচ্ছেদের পর নিজেকে সামলাতে পারতেন না অর্জুন কাপুর। সালটা ১৯৯৬। বাবা বনি কাপুরের মাকে ছেড়ে দেওয়াটা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি অর্জুন। আবেগ সামলাতে অন্যভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন অভিনেতা।
সূত্র থেকে জানা গেছে, শ্রীদেবী প্রথমে বনির প্রেমে পড়েন নি। কিন্তু শ্রী-কে আকর্ষিত করতেই তার কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলেন বনি। আশ্চর্য বিষয় হল বনি কাপুরের স্ত্রী মোনা কাপুরের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন শ্রী। আর সেই বন্ধুত্বের খাতিরে মাঝেমধ্যেই বনির বাড়িতেও যাতায়াত ছিল শ্রীদেবীর।
একটি সাক্ষাৎকারে বনি জানিয়েছিলেন, শ্রী-কে প্রথম ভালবাসার কথা বলা সময় ভীষণ রেগেছিলেন অভিনেত্রী। এবং প্রায় ৮ মাস কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার সময় শ্রী একটি হোটেলে ছিলেন। তখন অভিনেত্রীর মাকে বলে শ্রীকে বনির বাড়িতে পাঠানোর জন্য রাজি করান।
'রূপ কি রানি চোরো কা রাজা' ছবির ১ মাস বনির বাড়িতে ছিলেন শ্রী। সালটা ১৯৯৬। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন শ্রী। এই খবর শুনেই হতবাক হয়েছিলেন মোনা। এতটা ঘনিষ্ঠতার খবর জানতে অনেকটা বেশিই যেন দেরি করে ফেলেছিলেন মোনা। রিপোর্টে এও জানা গিয়েছিল বনির সন্তানের মা হতে চলেছেন শ্রীদেবী এই খবর শুনে মোনার মা শ্রী-কে মারধরও করেছিলেন।
একবার শ্রীদেবীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এবং সেই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থও শ্রীদেবীর কাছে ছিল না। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন বনি। সবরকম ভাবেই আর্থিক সহায়তা থেকে শ্রী-এর মাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বনি। তারপরেই তাদের সম্পর্ক আরও গভীরে পৌঁছেছিল। ১৯৯৩ সালে বনি শ্রী-কে প্রোপোজ করেছিল। এবং প্রোপোজ করার সময়ও ভীষণ চিন্তিত ছিল।
ঠিক তারপরেই মোনা ও সন্তানদের ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বনি কাপুর। এবং শ্রীদেবীর সঙ্গেই সংসার করতে শুরু করেছিলেন। তারপর থেকেই শ্রী-কে হোম-ব্রেকারও বলা হত। এমনকী মোনা-অর্জুন-অংশুলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করারও দায় উঠেছিল তার উপরেই। ১৯৯৬ সালে জাহ্নবী কাপুরের জন্ম হয়েছিল। তখনও মোনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে ছিলেন বনি। তারপর ২০১২ সালে মাল্টিপল অর্গান ফেলিওর হয়ে মারা যান মোনা। বিতর্কিত পরিস্থিতিতেই ১৯৯৬ সালে তারা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সবসময়েই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন শ্রী।
সালটা ২০১৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি। শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বিশ্ব। শ্রী-র মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। হোটেলের বাথটব থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল শ্রী-কে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলেই ঘোষণা করেছিল। এবং দুবাই সরকারও দুর্ঘটনাজনক মৃত্যু বলে আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু হাজারো ব্যাখা মিললে তার মৃত্যু নিয়ে জল্পনা আজও চলেই আসছে।