- Home
- Entertainment
- Bollywood
- একাধিক প্রেম থেকে পাক মহিলার নেশায় সায়রার সঙ্গে বিচ্ছেদ, রঙিন দিলীপ কুমার আজ শুধু স্মৃতি
একাধিক প্রেম থেকে পাক মহিলার নেশায় সায়রার সঙ্গে বিচ্ছেদ, রঙিন দিলীপ কুমার আজ শুধু স্মৃতি
- FB
- TW
- Linkdin
গত ৩০ জুন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে পিডি হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি হন দিলীপ কুমার। তারপর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই সবটা শেষ। বুধবার সকালেই প্রয়াত হলেন অভিনেতা। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন দিলীপ কুমার। ফুসফুসের সমস্যা দীর্ঘ ১ বছর শয্যাশায়ী ছিলেন দিলীপ। আজই সকাল ৮ টা নাগাদ সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউডের দিলীপ সাহাব।
জীবনে এসেছে একাধিক প্রেম। বারেবারে প্রেমে পড়েও আজীবন ছায়াসঙ্গী হিসেবেও থেকেছেন সায়রার পাশে। বলিউডের ছয় দশকের জীবনে চড়াই-উতরাই সামলে অবসান হল এক যুগের।
হতে চেয়েছিলেন ব্যবসায়ী হয়ে গেলেন বলিউডের ট্র্যাজেডি কিং। অভিনেতার জীবন যেন রূপোলি পর্দার কাহিনি। বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বেরিয়ে গেছিলেন কিশোর ইউসুফ।
নিজের একটি স্যান্ডউইচের দোকান খুলেছিলেন এবং খুব তাড়াতাড়ি ব্য়বসাও দাঁড় করিয়ে ফেলেছিলেন। পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরেও জীবনের লক্ষ ছিল ব্যবসায়ী হওয়া। কিন্তু তার জায়গা যে এখানে নয়, তা বুঝে গিয়েছিলেন মাসানি। তিনিই তাকে বম্বে টকিজে নিয়ে যান।
প্রথমে গল্প বাছাই ও চিত্রনাট্য লেখার কাছ করতেন ইউসুফ। খুব তাড়তাড়ি কাজেও সাফল্য পান। তারপরই অভিনেত্রী দেবিকারানি তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। এবং দেবকারানির পরামর্শেই জোয়ার ভাটা ছবিতে তার নাম পাল্টে হয় দিলীপ কুমার। আর বাকিটা ইতিহাস।
বলিউডে ছয় দশকের কেরিয়ারে ৬৫টিরও বেশি ছবি করেছেন দিলীপ কুমার। তারপর থেকেই হয়ে গেলেন বলিউডের ট্র্যাজেডি কিং। প্রথম খানের জীবনটা কেরিয়ারের মতোই বর্ণময় ছিল।
সালটা ১৯৪৮। 'শহিদ' ছবিতে কামিনী কৌশলের সঙ্গে অভিনয় করার সময়ে প্রেম হয় তাদের। বিয়ে করবেন বলে ঠিক করলেও কামিনীর দাদর বাঁধাতে ভেঙে যায় বিয়ে।
তারপরেই আসে বলিউডের অমর প্রেমকাহিনি। দিলীপ কুমারের প্রেমে পড়েন মধুবালা। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করলেও ইগোর কারণেই ভেঙে গিয়েছিল সম্পর্ক।
১৯৬০ সালে মধুবালা বিয়ে করেন কিশোর কুমারকে। দিলীপ কুমার সম্পর্ক থেকে দূরে ছিলেন বেশ কিছুদিন।
'ঝুক গয়া আসমান' ছবির সেটেই সায়রা বানুকে প্রোপোজ করেন দিলীপ সাব। তার অনেক আগে থেকেই সায়রা বানু পাগল ছিলেন দিলীপের প্রেমে। ১২ বছর বয়স থেকেইে দিলীপ কুমারের অন্ধ ভক্ত ছিলেন সায়রা বানু।
২২ বছরের ছোট সায়রা বানুকে ১৯৬৬ সালে বিয়ে করেছিলেন দিলীপ কুমার। তার বিয়ের খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলেন মধুবালা। এবং তার তিন বছর পরেই ৩৬ বছর বয়সে মারা যান মধুবালা।
দিলীপ কুমারের প্রোপোজ পেয়েই হ্যাঁ করে দিয়েছিলে সায়রা বানু। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও বিয়ের ১৬ বছর সংসার করার পর তাঁকে ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন দিলীপ কুমার।
আটের দশকের গোড়াতেই পাক অভিনেত্রী আসমা রেহমানের প্রেমে পড়ে সায়রা বানুকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় বিয়েও মাত্র স্থায়ী হয়েছিল ২ বছর।
দ্বিতীয় বিয়ে যে কত বড় ভুল ছিল তা পরবর্তী সময়ে নিজেই স্বীকার করে ফিরে গিয়েছিলেন প্রথম স্ত্রীর সায়রার কাছে। আবারও বিয়ে করে সংসার পাতেন দিলীপ।
পাঁচ দশকের সঙ্গীকে নিয়ে একাই দিব্যি ছিলেন দিলীপ কুমার। দীর্ঘদিনের সংসারে ছিল না কোনও সন্তান। তারপরও ছিল না আক্ষেপ। একে অপরকে আগলে রাখতেন দুজনে। সমস্ত বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ পাঁচ দশকের সঙ্গীকে আর পারলেন না আগলে রাখতে।
অবশেষে ছিন্ন হয়ে গেল দিলীপ-সায়রার ভালোবাসার জন্ম জন্মান্তরের বাঁধন, সারাজীবনের মতো সায়রা বানুকে একে রেখে চলে গেলেন দিলীপ সাহাব।