Covid 'নেগেটিভ' হলেও কমছে না আতঙ্ক, করিয়ে নিন এই ৭ টেস্ট, জানুন কতটা ক্ষতি হল শরীরের
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অল্প বয়সীদের জন্য মারাত্মক আকার নিচ্ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোভিড নেগেটিভ হয়েও আতঙ্ক যেন কমছে না। করোনা থেকে সেরে উঠেও শরীরের কতটা ক্ষতি হল তা জানাটা সবার আগে জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাকে জয় করার পর এই বিশেষ ৭ টেস্ট করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা, জেনে নিন বিস্তারিত।
| Published : May 06 2021, 11:30 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
নিউরো ফাংশন টেস্ট:
করোনায় আক্রান্ত হলেই স্নায়ুতন্ত্রেও প্রভাব ফেলছে। রোগীদের মধ্যে বিশেষত, চল্লিশোর্ধ্ব মহিলারা সেরে ওঠার পরও ঝিমুনি অনুভব করছেন। সঠিক চিন্তা করার ক্ষমতা থাকছে না অনেকেরই। সুতরাং কোভিড নেগেটিভ মানেই রোগ সেরে ওঠা নয়, এই টেস্ট করা অবশ্যই দরকার।
অ্যান্টিবডি টেস্ট:
কোভিড নেগেটিভ হয়েও আতঙ্ক যেন কমছে না। করোনা থেকে সেরে উঠেও শরীরের কতটা ক্ষতি হল তা জানাটা সবার আগে জরুরি। ভ্যাকসিন শরীরে যাওয়ার পরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এবং এই টেস্টই বলে দেবে শরীরে অ্যান্টিবডির লেভেল ঠিক কতটা রয়েছে। এর পাশাপাশি আরও জেনে যাবেন ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আপনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা। এছাড়াও করোনা থেকে সেরে ওঠার এক মাস পর প্লাজমা দিতে গেলে অবশ্যই এই টেস্ট করিয়ে নিন।
চেস্ট স্ক্যান:
এই ভাইরাস মানুষের হার্টের জন্য ক্ষতিকারক। যা হার্টে রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। জমাট বাঁধা রক্ত ফুসফুস এবং ধমনীতে জমা হতে পারে। যার ফলে রোগীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোভিড ১৯ মূলত প্রভাব ফেলে ফুসফুসে। তাই ফুসফুস কতটা ঠিক আছে, তা জানতে এই টেস্ট করা জরুরি।
ব্লাড প্রেশার টেস্ট:
কোভিডে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরের গ্লুকোজ লেভেল এবং ব্লাড প্রেশারে প্রভাব পরে । করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পর অবশ্যই এই টেস্টটি করিয়ে নেবেন ।
ব্লাড টেস্ট:
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের রক্তকণিকা, শ্বেতকণিকা কমে যায়, যার প্রভাব ফেলে প্লেটলেট কাউন্টেও। ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে তা যাচাই করে নেওয়া দরকার।
ভিটামিন ডি টেস্ট:
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে ভিটামিনের অভাব হচ্ছে কি না তা জানার জন্য অবশ্যই ভিটামিন ডি টেস্ট করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
কার্ডিয়াক স্ক্রিনিং:
কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রভাবে অনেকভাবেই শরীরের ক্ষতি করে। যেমন করোনায় আক্রান্ত হলে অনেকেরই শরীর ফুলে যায়, হার্টের চারপাশেও ফোলা ভাব দেখা দেয়। হার্ট সুস্থ আছে কি না, তা জানা যাবে এই টেস্টের মাধ্যমে।