জ্বর-সর্দির ভাইরাসে জব্দ কোভিড ১৯, বলছে নতুন গবেষণা
- FB
- TW
- Linkdin
জ্বর, সর্দি, গলাখুসখুস বা গলাব্যাথার সাধারণ ভাইরাসে মানব শরীরে কাবু হয় করোনা। তার নাম রাইনোভাইরাস। তেমনই দাবি করা হয়েছে জার্নাল অব অক্সপেরিমেন্টাল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে।
বিজ্ঞানীদের দাবি একই সঙ্গে করোনাভাইরাস আর রাইনোভাইরাস যদি মানব শরীরে প্রবেশ করে তাহলে রাইনোভাইরাস দ্রুত সক্রিয় হয়। দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর সেই কারণেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকে দিতে সক্ষম হয়।রাইনোভাইরাস সার্স কোভি২ এর প্রজনন বন্ধ করতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে।
আমেরিকার ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক এলেন ফক্সনম্যান বলেছেন এই ভাইরাস কোভিড সংক্রমণ চলাকালী মানুষ শরীরকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হয়। এটি চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। ইন্টারফেরন রোগীদের চিকিৎসা করা, একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা সিস্টেম প্রোটিন যা ড্রাগ হিসেবে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি সময়ের ওপর নির্ভর করে।
পূর্ববর্তী একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে উচ্চ ইন্টারফেরন স্তরগুলি আরও খারাপ রোগের ফলাফলের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। এটি ওভারটিভ ইমিউন প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোভিড ১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে ইস্টারফেরন-উদ্দীপ্ত জিনগুলি প্রতিরক্ষা দিতে সক্ষম হয়। আর সেই কারণেই গবেষকরা খতিয়ে দেখছেন রাইনোভাইরাস কোভিডেরএ র কতটা উপকারী প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে।
গবেষকরা ল্যাব বর্ধিত মানব টিস্যুটিকে ভাইরাস দ্বার সংক্রমিত করেছে। আবিষ্কার করেছে প্রথম তিনদিন ধরে টিস্যুতে ভাইরাল লোভ প্রতি ৬ ঘণ্টার অন্তর দ্বিগুণ হয়। তাতেই দেখা গেছে কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রজনন টিস্যুটিতে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আর সেখানে রাইনোভাইরাসের প্রভাব বাড়ছিল।
গবেষকরা সংক্রমই শুরুর কাছাকাছি চিহ্নিত রোগীদের আনুনাসিক সোয়াব নমুনাগুলিও খতি দেখেছেন। সেখানেও দেখা সংক্রমণের প্রথম কয়েক দিনে সাধারণ ভাইরাসটি দ্রুতহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬ ঘণ্টার তা দ্বিগুণ হয়েছে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আরও দ্রুততার সঙ্গে বেড়েছে ভাইরাসটি।
গবেষক দলের প্রধান জানিয়েছেন ইন্টারফেরন চিকিৎসা করা যেতে পারে। কিন্তু এটি জটিল হতে পারে। কারণ সংক্রমণের পরিরে দিনগুলিতে এটি বেশি কার্যকর হবেষ। যখন অনেক লক্ষণ দেখা যাবে না। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের ইন্টারফেরন প্রক্রিয়ার চিকিৎসা করাযেতে পারে। ইন্টারফেরন পক্রিয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে পরীক্ষা চলছে বলেও জানিয়েছেন গবেষকদলের প্রধান।