বেপরোয়া যৌন জীবন, একাধিক সম্পর্ক থেকে বিতর্ক, জানুন এমন ১০ ক্রিকেটারদের কাহিনি
কথায় বলে ক্রিকেট জেন্টালম্যান গেম বা ভদ্রলোকের খেলা। কিন্তু মাঝে মাঝে ক্রিকেটারদের নামও এমন কিছু কুকীর্তিতে জড়িয়েছে যাতে নিজেদের তো বটেই মানহানি হয়েছে ক্রিকেটেরও। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বারবার উঠেছে যৌন কেলেঙ্কারি সহ নারী ঘটিত নানান অভিযোগ। যা কলঙ্কিত করেছে ক্রিকেটের গৌরবকে। আবার অনেকের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে মিথ্যে অভিযোগও। আজ এমন কিছু ক্রিকেটারদের কথা আপনাদের কাছে তুলে ধরবো যাদের নাম জড়িয়েছিল যৌন কেলেঙ্কারিতে।
- FB
- TW
- Linkdin
শেন ওয়ার্ন
ক্রিকেটারদের যৌন কেলেঙ্কারি বিতর্কে শেন ওয়ার্নের নাম সব থেকে বেশিবার ওঠে এসেছে। তখন ২০০০ সাল। স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া দলের ডেপুটি ছিলেন ওয়ার্ন। সেই সময়ে ব্রিটিশ নার্স ডোনা রাইটকে পাঠানো ওয়ার্নের যৌন উত্তেজনামূলক ফোনবার্তা ফাঁস হয়। সামনে আসে একাধিক অশ্লীল মেসেজও। যার ফলস্বরূপ সহ অধিনায়কের পদ খোয়াতে হয় ওয়ার্নকে। এর ঠিক তিন বছর পরে আবারও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ান ওয়ার্ন। ২৫ বছরের এক মডেলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। পরবর্তীতে সেই মডেল আবার শেনের ফিটনেসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ২০০৬ সালে ফের এক বার যৌন বিতর্কে উঠে আসে ওয়ার্নের নাম। এমনকী কেরিয়ার শেষ করেও নারী কেলেঙ্কারির 'নেশা' ছাড়তে পারেননি ওয়ার্ন।
কেভিন পিটারসন
প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকা কেভিন পিটারসনের বিরুদ্ধেও উঠেছিল যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী ভ্যানিসা নিমোর সঙ্গে একাধিকবার সহবাসের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ভ্যানিসা জানিয়ে ছিলেন, কেপি নাকি তাকে দিনের মধ্যে বহুবার যৌনমিলনের জন্য জোর করতেন। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।
ক্রিস গেইল
ক্যারেবিয়ান তারকা ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। ২০১২ সালের টি২০ বিশ্বকাপের সময় ক্রিস গেইলকে হোটেলের ঘরে তিন জন ব্রিটিশ মহিলার সঙ্গে হাতানাতে ধরা হয়েছিল। যা নিয়ে খুব বিতর্ক হয়েছিল। এছাড়াও মহিলা সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে গেইলের বিরুদ্ধে।
মহম্মদ শামি
যৌন নিগ্রেহের তালিকায় নাম রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামিরও। ক্রিকেটারের স্ত্রী হাসিন জাহানের অভিযোগ, শামির সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক রয়েছে। হাসিনের দাবি, এ নিয়ে বলতে গেলে তার ওপরে অত্যাচারও চালিয়েছেন মহম্মদ শামি। যদিও এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।
শাহিদ আফ্রিদি
'লেডি কিলার' নামে পরিচিত পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। তার নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার বিতর্ক সকলের জানা। ২০০০ সালে করাচির এক হোটেলে এক ঝাঁক তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় আফ্রিদিকে। ছিলেন আরও কয়েক জন পাক ক্রিকেটার। যদিও পরে আফ্রিদিদের বক্তব্য ছিল যে, করাচির হোটেলে মেয়েরা তাদের অটোগ্রাফ নিতে এসেছিল। যদিও তা বলে বিতর্ক এড়াতে পারেননি পাক তারকা।
মোহাম্মদ আকরাম এবং সাকলাইন মুস্তাক
১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট দল। দলের সঙ্গে ছিলেন দুই নির্ভরযোগ্য বোলার মোহাম্মদ আক্রাম এবং সাকলাইন মুস্তাক। সেই সময়ে ওখানকার বিখ্যাত এক স্ট্রিপ ক্লাবে তাদের ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে কয়েক জনের সঙ্গে মারপিটও হয় দুজনের। যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল পাক ক্রিকেটে।
নাথান লায়ন
অজি তারকা স্পিনার নাথান লায়নের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী মেল ওয়ার্নিং। ব্লগ অ্যাকউন্টে মেল ওয়ার্নিং লিখেছিলেন, অতিরিক্ত ওজন এবং মোটা হওয়ার কারণে তাকে ডিভোর্স দেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার! অবশ্য এই ডিভোর্সের আগে থেকেই এম্মা ম্যাকার্থি নামের এক তরুণীর সঙ্গে ডেট করছিলেন লায়ন। এখনও তাদের প্রেম চলছে। আগের সংসারে তাদের দুটি বাচ্চাও আছে। এই খবর সামনে আসার পর যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল অজি ক্রিকেটারের।
মাইক গেটিং
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক গেটিং জড়িয়েছিলেন বিতর্কে। লুইস শিপম্যান নামে এক নারীর সঙ্গে হোটেলের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছিল গ্যাটিংকে। যদিও সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই খবর অস্বীকার করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। লুইস ছিলেন এক জন মদ বিক্রেতা। এই ঘটনার ফলে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল গেটিংকে।
ড্যারেল টাফি
কিউই ক্রিকেটাররাও বাদ যাননি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ থেকে। ক্রিকেটার এবং ফোন। দুই যেন একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ফোন-বিতর্কে উঠে এসেছে একাধিক ক্রিকেটারের নাম। তেমনই একজন নিউজিল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার ড্যারেল টাফি। ২০০৫ সালে ২৩ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে তার সেক্স ভিডিও ফাঁস হয়। যদিও পরে ওই নারী টাফিকে চেনেন না বলেই দাবি করেন ও বিতর্কে ধামাচাপা পড়ে।
আসাদ রউফ
শুধু ক্রিকেটার নয়, তালিকায় রয়েছে একজন আম্পায়ারও। পাকিস্তানের আম্পায়ার আসাদ রউফের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন এক ভারতীয় মডেল। তাদের কিছু ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যদিও রউফ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলন। কিন্তু ছবি প্রকাশ্যে আসায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রউফকে।