সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের কেরিয়ারের ১০টি এমন রেকর্ড, যা আজও অজানা অনেকের কাছে
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৯৯ বিশ্বকাপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় খেলেছিলেন ১৮৩ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস। তার এই ইনিংসে সাজানো ১৭টি চার ও ৭টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত এটিই কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্য়ানের করা সর্বোচ্চ স্কোর।
বিশ্বের ৫ জন ক্রিকেটারদের মধ্যে সৌরভ গঙ্গোাধ্যায়ের অনন্য কৃতিত্ব রয়েছে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এমন একজন ক্রিকেটার যার নামে ১০০০০ রান, ১০০টি উইকেট ও ১০০টি ক্যাচ ধরার রেকর্ড রয়েছে।
আইসিসি অনুমোদিত ট্রফিরগুলির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অন্যতম। যাকে মিনি বিশ্বকাপও বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে সেই প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকলেও তা আবার শুরু করতে চলেছে আইসিসি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেটের ইতিহাসে সৌরভ প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি তিনটে সেঞ্চুরি করেছেন।
এছাড়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান যিনি আইসিসির নকআউট পর্বে অর্থাৎ ফাইনাল ও সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। যেই রেকর্ড এখনও ক্রিকেট বুকে অটুট রয়েছে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটিও রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। ২০০০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাইনালে ১১৭ রানের একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।
সচিন তেন্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের ওপেনিং জুটি যে বিশ্ব সেরা তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সচিন-সৌরভ ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ ৬৬০৯ রান আছে, যা ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা ও আজও অটুট।
সচিন-সৌরভ শুধু মোট রানের নিরিখে নয়, ওপেনিং জুটিতে শতরানের পার্টনারশিপেও রেকর্ড গড়েছেন এই দুই কিংবদন্তী প্লেয়ার। সচিন-সৌরভ এর ওপেনিং জুটিতে মোট ২১ বার শতরানের পার্টনারশিপ হয়েছে – যা একটি বিশ্বরেকর্ড।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান যিনি পরপর চারটি ম্যাচে একটানা ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে এই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যা আজও অটুট।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে প্রথমবার কোনও ভারত অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট ড্র করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০৩-০৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে অপ্রতিরোধ্য স্টিভ ওয়ার দলকে রুখে দিয়েছিল সৌরভের ভারত।
২০০৪ সালে পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতেছিলেন ২-১ ব্যবধানে ও ৫ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছিলেন ৩-২ ব্যবধান।