- Home
- Sports
- Cricket
- মরসুম জুড়ে কেন ব্যর্থ কেকেআর, প্লে অফের আগেই বিদায়, জেনে নিন নাইটদের ব্যর্থতার কারণগুলি
মরসুম জুড়ে কেন ব্যর্থ কেকেআর, প্লে অফের আগেই বিদায়, জেনে নিন নাইটদের ব্যর্থতার কারণগুলি
আইপএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গ্রুপ পর্বের মাস্ট উইন ম্য়াচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে কেকেআর (KKR)। প্রিয় দল প্লে অফে উঠতে না পারায় হতাস কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) সমর্থকরা। মরসুম জুড়েই ভালো পারফর্ম করতে পারেনি নাইটরা। নিলামে নতুন অধিনায়ক, থেকে একাদিক নতুন প্লেয়ার কেনা, গতবারের ৪ তারকাকে ধরে রাখা, সব কিছুর পরই কেন ব্যর্থ কেকেআর। জেনে নিনি কলকাতার ব্যর্থতার কারণগুলি।
- FB
- TW
- Linkdin
ওপেনিং জুটি ব্যর্থ-
ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা এবারের কেকেআরের ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ। মরসুম জুড়ে একটি ম্য়াচ ছাড়া কোনও ম্য়াচে কলকাতা নাইট রাইডার্সেরর ওপেনাররা ভালো শুরু করতে পারেননি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগের ম্য়াচে ওপেনি জুটিত ৬০ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন অজিঙ্কে রাহানে ও ভেঙ্কটেশ আইয়র। এছাড়া কোনও ম্যাচে সাফল্য নেই কেকেআরের ওপেনিং জুটির।
একাধিক ওপেনিং জুটি-
এবারের আইপিএলে একাধিক ওপেনিং জুটি খেলিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্য়ানেজমেন্ট।
প্রথমের দিকে ম্য়াচগুলিতে ওপেনিং করতে নামতেন অজিঙ্ক রহাণে ও বেঙ্কটেশ আয়ার। পরের দিকে রাহানেকে সরিয়ে অ্যারন ফিঞ্চকে আনা হয়েছে দলে। বেঙ্কটেশের জায়গায় সুনীল নারাইন ওপেন করেছেন। কোনও ভাবেই ভাল শুরু পায়নি কেকেআর। এছাড়া স্যাম বিলিংস, বাবা ইন্দ্রজিৎ, অভিজিৎ তোমর একাধিক ওপেনাপ নামিয়ে পরীক্ষা করে গিয়েছে কেকেআর।
মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকতার অভাব-
মিডল অর্ডারও ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলতে পারেনি কেকেআরের। শ্রেয়স আইয়র ২-৩ টি ম্য়াচ ছাড়া বড় রান পায়নি। নীতিশ রানা শেষের দিকে ফর্মে ফিরলেও মরসুমের বেশির ভাগ ম্য়াচে চুপ থেকেছে তার ব্যাট। শেলডন জ্য়াকসন একেবারেই ভালো পারফর্ম করচে পারেনি। ফর্ম ওঠা নামা করেছে স্যাম বিলিংসের।
ব্যর্থ অধিনায়ক শ্রেয়স-
দলের অধিনায়ক সমস্যা মেটাতে আইপিএল মেগা নিলামে শ্রেয়স আইয়রের জন্য সর্বস্ব দিয়ে ঝাপিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তাকে কিনেছিল কেকেআর। কিন্তু ব্য়াট হাতে হোক আর অধিনায়ক হিসেবে হোত একেবারেই ব্যর্থ বলা যেতে পারে শ্রেয়স আইযরকে। মরসুমে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে দলকে প্লে অফে তুলতেও ব্যর্থ হয়েছেন।
বোলাররা ছন্দে নেই-
কলকাতার অন্যতম বড় শক্তি ছিল দলের বোলিং আক্রমণ। কিন্তু এ বার ২-১ জন বাদে বোলারদের খুব একটা ছন্দে পাওয়া যায়নি। একমাত্র সুনীল নারিন ও উমেশ যাদব ভালো পারফর্ম করেছেন। তাছাড়া প্য়াট কামিন্স, বরুণ চক্রবর্তী, শিবম মাভিরা একেবারেই ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। যার কারণে ডুবতে হয়েছে কেকেআরকে।
প্রথম একাদশ বাছতে সমস্যা-
প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলে একাধিক বদল হয়েছে কেকেআরে। ওপেনিং জুটি থেকে বোলিং আক্রমণ সব ক্ষেত্রেই তা দেখা গিয়েছে পরিবর্তন। টিম সাউদি যে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন, ভাল বল করেছেন। কিন্তু প্যাট কামিন্স আসতেই তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্যাম বিলিংসকেও বাদ পড়তে হয়েছে ফিঞ্চের জন্য। কোনও ম্যাচে আমন খান, কোনও ম্যাচে শিবম মাভি, কোনও ম্য়াচে রাসিখ সালাম খেলছেন। সেট প্রথম একাদশ গড়তে পারেনি কেকেআর।
ধরে রাখা ক্রিকেটারদের খারাপ ফর্ম-
এ বারের নিলামের আগে সুনীল নারিন ও আন্দ্রে রাসেল বাদে বেঙ্কটেশ আয়ার ও বরুণ চক্রবর্তীকে ধরে রেখেছিল কেকেআর। কিন্তু দুই ভারতীয় ক্রিকেটার খুব খারাপ পারফর্ম করেছেন। বেঙ্কটেশের ব্যাটে মরসুমে দুটি ম্যাচ ছাড়া কোনও ম্য়াচে রান করতে পারেননি। বরুণকে দিয়ে পুরো চার ওভার বল করানো পর্যন্ত যায়নি। যার ফলে ভেঙ্কটেশ ও বরুণকে বাদ পড়তে হয়েছিল দল থেকে।
রাসেলের ধারাবাহিকতার অভাব-
এবার আইপিএলে আন্দ্রে রাসেল ব্যাট ও বল হাতে ভালো পারফর্ম করলেও ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগেছেন। মরসুমে ৩৩৫ রান ও ১৭টি উইকেট নিয়ে কেকেআরের সেরা পারফর্মার হলেও, অনেক ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন রাসেল। বিশেষ করে শট বল, ইয়র্কার, বডি লাই বোলিংয়ে যে রাসেলের দুর্বলতা রয়েছে তা বুঝে গিয়েছে অন্যান্য দল। তাই আগের থেকে ধার অনেকটাই কমেছে রাসেলের।