- Home
- Sports
- Cricket
- জীবনের সবথেকে বড় ধাক্কা কীভাবে সামলেছিলেন দীনেশ কার্তিক, ক্রিকেট তারকার জন্মদিনে জানুন সেই কাহিনি
জীবনের সবথেকে বড় ধাক্কা কীভাবে সামলেছিলেন দীনেশ কার্তিক, ক্রিকেট তারকার জন্মদিনে জানুন সেই কাহিনি
পয়লা জুন ভারতীয় উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্য়ান দীনেশ কার্তিকের (Dinesh Karthik) জন্মদিন (Biryhday)। ৩৭-এ পা দিলেন ডিকে। এবারের জন্মদিনটা একটু বেশিই স্পেশাল কার্তিকের কাছে। সদ্য সমাপ্ত আপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ আরসিবির (RCB)হয়ে দুরন্ত ব্য়াটিং করেছেন তিনি। যার সুবাদে ফের ভারতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছেন কার্তিক। জন্মদিনের সকাল থেকেই শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন তিনি। এমন দিনে প্রিয় তারকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও জানার কৌতুহল কম নয় ফ্য়ানেদের। তার ক্রিকেট জীবনের মতই ব্যক্তিগত জীবনেও নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন দীনেশ কার্তিক। বিশেষ করে তার সাংসারিক জীবন। তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব ক্রিকেট কেরিয়ারে পড়েছে বলেও দাবি করেন অনেকে। চলুন জানা যাক সেই কাহিনি।
- FB
- TW
- Linkdin
১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় দলে খেলেও, কখনও স্থায়ী জায়গা তৈরি করতে পারেননি দীনেশ কার্তিক। একাধিকবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। আবার একধিকবার দলের বার দলের বাইরেও যেতে হয়েছে তাকে।
শুধু জাতীয় দলেই নয়, আইপিএলেও কোন দলেও স্থিত হতে পারেননি ডিকে। একাধিক দল ঘুরে অবশেষে এবার আরসিবির হয়ে খেলে তিনি। আরসিবির হয়ে ব্য়াট হাতে দারুণ ছন্দে পাওয়া গিয়েছে তাকে।মরসুমে ৩৩০ রান করেঠেন ১৮৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে। পার স্ট্রাইকার অফ দ্য সিজনের খেতাব দেওয়া হয়েছে তাকে ও ফের সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় দলে।
২০০৭ সালে দীনেশ কার্তিক ছোট বেলার বন্ধু ও প্রেম নিকিতাকে বিয়ে কেরছিলেন। বিয়ের পর নিকিতা যখন সন্তান সম্ভবা হন, তখন কার্তিক জানতে পারেন যে তারই সতীর্থ ক্রিকেটার মুরলি বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে নিকিতার।
নিকিতা ও মুরলি বিজয়ের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় আইপিএল ৫ চলাকালীন। তাদের প্রেম প্রকাশ্যে আসার পর কার্তিক ও নিকিতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপরও কার্তিক বিয়ে করেছিলেন স্কোয়াশ প্লেয়ার দীপিকা পাল্লিকলের সঙ্গে।
কিন্তু দীপিকার সঙ্গে কার্তিকের সম্পর্কের গল্পও খুব আকর্ষণীয়। দীপিকা পাল্লিকলের সঙ্গে কার্তিকের আলাপ হয় ২০০৯-১০ সালে। চেন্নাইয়ের একটি জিমে তারা একসঙ্গে জিম করতেন। প্রথমে সেটা না জানলেও, পরে একদিন দুজনের সাক্ষাৎ হয়ে যায়।
জানা যায় দীপিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য কার্তিক আগের তুলনায় খুব ঘনঘন ওই জিমে যাতায়াত শুরু করে। দীপিকাকে দেখার করার প্রস্তাব দিলে প্রথমে তা এড়িয়ে যান তিনি। তবে ধীরে ধীরে একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেন।
যদিও তারপর তারা আরও কাছে আসে ও একে অপরকে ডেটিং শুরু করে। কখনও কখনও দিনে একাধিকবারও কারা দেখা করত বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন দীপিকা। এরপর হঠাৎ একদিন দীপিকাকে প্রপোজ করেন কার্তিক।
দীপিকা এই কথা তার পরিবারকে জানায়। কারণ কার্তিক আগে বিবাহিত ছিলেন । পরে কার্তিক দীপিকার মার সঙ্গেও দেখা করে কথা বলেন। তারপর থেকে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। কার্তিকের অতীত নিয়ে তাদের মধ্যে কোনও সমস্যা হয়নি।
২০১৩ সালে কার্তিক দীপিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ওই বছরই নভেম্বর মাসে দুজন বাগদান সেরে নেন। তারপর ২০১৫ সালের ১৮ অগাস্ট তারা বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের যে ধাক্কা খেয়েছিলেন কার্তিক তা দীপিকা জীবনে আসার পর কিছুটা সামলে ওঠেন।
গত বছর কার্তিকের ও দীপিকার সংসারে আসে সবথেক আনন্দের খবর। যমজ পুত্র সন্তা নের বাবা-মা হন তারা। তাদের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বর্তমানে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন কার্তিক। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিতে মুখিয়ে রয়েছেন ডিকে।