- Home
- Sports
- Cricket
- কীভাবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করল টিম ইন্ডিয়া, দেখুন এজবাস্টন টেস্টের হাইলাইটস
কীভাবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করল টিম ইন্ডিয়া, দেখুন এজবাস্টন টেস্টের হাইলাইটস
ম্যাচের ৩ দিন পর্যন্ত এজবাস্টনে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের (India vs England) টেস্টের রাশ ছিল পুরোপুরি টিম ইন্ডিয়ার (Team India)হাতে। ম্যাচ জয় ও সিরিজ জয়ের প্রহরও গুনতে শুরু করেছিল ভারতীয় ফ্য়ানেররা। কিন্তু ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। চতুর্থ দিনে বদলে গেল পুরো ছবিটা। আর পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে খেলা শেষ। ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ২-২ ড্র করল ইংল্য়ান্ড। কোন পথে জেতা ম্য়াচ হাতছাড়া করল জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah)ভারত, দেখুন হাইলাইটস (Highlights)।
- FB
- TW
- Linkdin
এজবাস্টন টেস্টে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়র বেন স্টোকস। ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতীয় দলের। ইংল্যান্ড পেসারদের দাপটে টপ অর্ডারকে খুইয়ে চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। একসম ভারতীয় দলের স্কোর ছিল ৯৮ রানে ৫ উইকেট।
সেখান থেকে ২২২ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে ম্য়াচে ফেরান ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাদেজা। ঋষভ পন্থের পাল্টা মারের নীতি বা আগ্রাসী মনোভাব কাজে দেয়। তাকে যোগ্য সঙ্গে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১৪৬ রান করেন ঋষভ পন্থ ও ১০৪ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা।
শেষের দিকে ছোট হলেও বিধ্বংসী ব্য়াটিং করেন বুমরা। স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে আসে ৩৫ রান। নো বল ও ওয়াইড বাদে ব্য়াট হাতে বুমরা করেন এক ওভারে ২৯। যা কিনা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান। শেষে দিকে বুমরার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ৪০০ রানেক গণ্ডি টপকে যায় ভারত। ৪১৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ২৮৪ রানে শেষ হয় ইংল্য়ান্ডের প্রথম ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৬ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা, ২টি উইকেট নেন মহম্মদ শামি, একটি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।
প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানের লিড পায় ভারতীয় দল। সেই লিড টিম ইন্ডিয়াতে বাড়তি আত্মতুষ্টি এনে দেয় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ম্য়াচের তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ১২৫ রানে ৩ উইকেট। তখনই চালকের আসনে ভারত। ক্রিজে রয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা ও ঋষভ পন্থ।
চতুর্থ দিন থেকে খেলা বদলাতে শুরু করে। দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্ত বল করে ইংল্যান্ড বোলাররা। যার ফলে চতুর্থ দিনে ২৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করে পুাজারা ও পন্থ ৫৭ রান করেন। প্রথম ইনিংসে লিডের সৌজন্য ইংল্য়ান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৭৮ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪টি উইকেট নেন বেন স্টোকস।
দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রাউলি দুরন্ত শুরু করেন। অ্যাটাকিং ব্য়াটিং করেন তারা। ওপেনিং জুটতে শতরান করেন তারা। অর্ধশতরান পূরণ করেন লিস। কিন্তু পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে ইংল্যান্ডষ সেখান থেকে জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট ইনিংসের রাশ ধরেন। ১০৯ থেকে চতুর্থ দিনের শেষে দলের স্কোর নিয়ে যান ২৫৯-এ। অর্ধশতরান করেন দুজনেই।
পঞ্চম দিনে ইংল্য়ান্ড দলের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ চতুর্থ দিনেই খেলা ঘুড়িয়ে দিয়েছিলেন রুট ও বেয়ারস্টো। শেষ দিনে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্য়াট করে শতরান পূরণ করে তারা। একইসঙ্গে প্রথম সেশনেই দলকে জয় এনে দেন। এই জয়ের ফলে ৫ ম্য়াচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করল বেন স্টোকসের দল।