- Home
- Sports
- Cricket
- Virat vs Rohit: কীভাবে ১২০ দিনে ভেঙে পড়ল ৭ বছরের বিরাট 'দুর্গ', কোহলির 'রাজত্ব' গেল রোহিতের দখলে
Virat vs Rohit: কীভাবে ১২০ দিনে ভেঙে পড়ল ৭ বছরের বিরাট 'দুর্গ', কোহলির 'রাজত্ব' গেল রোহিতের দখলে
প্রথমে টি২০ (T20), তারপর ওডিআই (ODI), শেষে টেস্ট (Test)। ধাপে ধাপে ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেট থেকে অবসান হল অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli) যুগের। মাত্র ১২০ দিনের মধ্যেই বিরাট দুর্গের পতন হল। টি২০ ও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বিরাট কোহলির পরবর্তি সময়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্বভার নিয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এবার টেস্টেও রোহিতের অধিনায়ক হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। দেখে নিন কীভাবে এই ৪ মাসে ভারতীয় ক্রিকেটে (Indian Cricket)হল এই পট পরিবর্তন।
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট দুর্গের পতনের শুরুটা বলা চলে নিজের হাতেই করেছিলেন বিরাট কোহলি। গত বছর টি২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা। টি২০ বিশ্বকাপের পর অধিনায়কত্ব ছাড়বেন সেই সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন।
আশা ছিল টি২০ বিশ্বকাপে দেশকে দ্বিতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন করে মাথা উচু করে অধিনায়কত্ব ছাড়বেন। কিন্তু আদতে তা হয়নি। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।
টি২০ বিশ্বকাপে বিদায় নিশ্চিৎ হওয়ার পর ৮ নভেম্বর গ্রুপ পর্বের ষ ম্যাচ নামিবিয়ার বিরুদ্ধে খেলে ভারত। আর সেই ম্যাচেই শেষ বার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে নেতৃত্ব দেন বিরাট কোহলি। কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীরও ছিল শেষ ম্য়াচ।
টি২০ ফর্ম্যাটে বিরাট কোহলি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর সেই জায়গায় যে রোহিত শর্মা যে দায়িত্ব নেবেন তা এক প্রকার ঠিকই ছিল। টি২০ বিশ্বকাপের পর রোহিতকে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে টি২০ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারায় রোহিত শর্মার দল।
টি২০ ফর্ম্যাটে অধিনায়কত্ব ছাড়লেও একদিনের ক্রিকেট ও টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। বিশেষ করে ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলেন বিরাট।
কিন্তু গত ৮ ডিসেম্বর বিরাট কোহলিকে ওডিআই-এর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। সেই জায়গায় রোহিত শর্মাকে তারা অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয়। কারণ বিসিসিাই সাদা বলের ক্রিকেটে একজনকেই অধিনায়ক রাখার তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিল।
স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়লেও কোহলি ওডিআই নেতৃত্ব ছাড়তে চাননি। জোর করেই তাঁকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই। বোর্ড নাকি কোহলিকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল, কিন্তু কোহলি রাজি না হওয়ায় তাঁকে বিসিসিআই-এর তরফেই সরিয়ে দেওয়া হয়।
টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোহলির মত-পার্থক্য ঘিরে তীব্র জলঘোলা হয়েছে। যা ওডিআই অধিবনায়কত্ব থেকে বিরাটকে সরানোর পর আরও চরমে ওঠে। শেষে প্রেস কনফারেন্স করে বিরাটকে সামাল দিতে হয় পরিস্থিতি। বিরাট বনাম বিসিসিআইয়ের রেশ এখনও রয়েছে।
অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পর ১৫ জানুয়ারি সন্ধেয় টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা করেন বিরাট কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানান তিনি। ধন্যবাদ জানান বিসিসিআই, ধোনি ও রবি শাস্ত্রীকে।
ঘোষণা না হলেও একপ্রকার নিশ্চিৎ যে বিরাট কোহলির পর টেস্টেও অধিনায়কের মুকুট উঠতে চলেছে রোহিত শর্মার মাথায়। ফলে বিরাটের ছেড়ে যাওয়া 'সিংহাসনে' বসে ভারতীয় ক্রিকেটের সব ফর্ম্যাটেই 'রাজত্ব' সামলাবেন রোহিত শর্মা।