৩৬ রানে অলআউট থেকে সিরিজ জয় , ছবিতে দেখুন অসম্ভবকে সম্ভব করা ভারতের গৌরবগাথা
- FB
- TW
- Linkdin
অ্যাডিলেডে দিন রাতের টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছিল ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার-গাভাসকর টেস্ট সিরিজ। যেই ম্য়াচে প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচ হারের ফলে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় ভারতীয় দলকে। টেস্ট সিরিজের ফল কী হবে তা ভেবে আতঙ্কে ছিলেন অনেকেই। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তো বলেই দিয়েছিল ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতবে ভারত।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফেরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কঠিন সময়ে দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলান অজিঙ্কে রাহানে। যদিও ধীরে ধীরো গোটা টেস্ট সিরিজে চোটের কারণে বাদ পড়তে থাকেন শামি, উমেশ, বুমরা, জাদেজা, হনুমা বিহারীর মত প্রথম দলের তারকা প্লেয়াররা।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দল। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ম্যাচের হার তাদের ভেঙে দেয়নি, মানসিকভাবে আরও উজ্জ্বীবিত করেছে ভালো কিছু করে দেখানোর জন্য। বছরের শেষ ম্যাচ জিতে দেশবাসীকে নতুন বছরের উপহার দেয় ভারতীয় দল।
তৃতীয় টেস্টে সিডনিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। টেস্ট জয়ের দোড়গোঁড়াতে পৌছে গিয়েছিল ব্যাগি গ্রিনরা। কিন্তু শেষ দিন প্রথমে পুজারা ও পন্থ অনবদ্য ব্যাট করেন। তারপর অশ্বিন ও হনুমা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার মুখের জয় ছিনিয়ে নিয়ে ম্যাচ ড্র করে।
কিন্তু চোট সমস্যা পিছু ছাড়েনি ভারতীয় দলের। চোটের কারণে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ থেকে ছিটকে যান বুমরা, অশ্বিন, জাদেজা ও হুনমা বিহারী। ফলে ফাইনাল টেস্টের আগে চাপ বাড়ে ভারতীয় দলের।
ব্রিসবেন টেস্টে প্রথম দিন থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রান করে ব্যাগি গ্রিনরা। অনবদ্য সেঞ্চুরি করেন মাপান্স লাবুশানে।
প্রথম ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে এক সময় ১৮৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। সেই সময় অনবদ্য ব্যাটিং করেন দুই টেলেন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর ও শার্দুল ঠাকুর। প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রানের সম্মানজনক স্কোরে পৌছায় ভারতীয় দল।
৩৩ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৪ শেষে হয় টিম পেইনের দলের ইনিংস। ৫ উইকেট নিয়ে অনবদ্য বোলিং করেন মহম্মদ সিরাজ, ৪ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।
৩২৮ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে শুভমান গিলের ৯১ রানের ইনিংস, চেতেশ্বর পুজারার ৫৬ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিং ও শেষে ঋষভ পন্থের ৮৯ রানের ম্যাচ ফিনিশিংয়ের সৌজন্যে সিরিজ জিতল ভারত।
চোটের কারণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রথম দলের ৯ জন প্লেয়ারের না থাকা তারপরও তরউ ক্রিকেটারদের নিয়ে সিরিজ জয়। এই সিরিজ আরও এক তরুণ ভারতীয় দলের জন্ম দিল বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
Team India